ঘোষণা দিয়েই ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ রোববার ঢাকায় সচিবালয়ে ‘বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছিল, আগের সরকারগুলোও শ্রম অসন্তোষের পেছনে ষড়যন্ত্র খুঁজত, বর্তমান সরকারও খুঁজছে। ষড়যন্ত্রতত্ত্ব থেকে মুক্তি মিলবে কবে?
জবাবে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে অফিশিয়াল পেজ আছে, দেশের বাইরে বসে পোস্ট করে; সেখানে কিন্তু শ্রমিকদের উসকে দেওয়ার মতো কিছু পোস্ট গতকাল আপনাদের দেখার কথা। আমার চোখে পড়েছে। ষড়যন্ত্র তো ঘোষণা দিয়েই হচ্ছে, ভাই। সেটা তো সোশ্যাল মিডিয়ার সবাই দেখছে। এগুলো কাউন্টার করার ক্ষেত্রে আপনাদের (সাংবাদিক) একটা ভূমিকা থাকা উচিত। আমরা কাজ করছি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আহ্বানে শ্রমিকেরা মাঠে নামেননি। কারণ, বড় অংশের কাছে মনঃপূত হয়নি (কনভিন্সড না)। হলে আওয়ামী লীগের আহ্বানে শ্রমিকেরা আজ মিছিল নিয়ে ঢাকার দিকে আসতেন। কেউ তো আসেননি।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধতা দিতে অধ্যাদেশ জারি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকারের বৈধতা হলো গণ-অভ্যুত্থান। গত তিন মাস আমাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি আপনারা দেখেছেন। সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়মিত বসছেন।’
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্যই সংস্কার কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে জানিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার রূপরেখা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আশা করি, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে কথা আমরা মুখে বলছি, তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ একটা জটিল বিষয়। ব্যাংক ও মালিকপক্ষ আছে এখানে। মালিক বললেন, ৫ কোটি টাকা তিনি ব্যাংক থেকে পাচ্ছেন না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ২০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২ হাজার ১৪০টি কারখানার মধ্যে ২ হাজার ১২৩টি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিম্নতম মজুরি দিয়েছে। ১৭টিতে তা এখনো প্রক্রিয়াধীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন