আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সম্প্রতি দেখা যায় একটি পোস্ট। যাতে লেখা, ‘১০ নভেম্বর আসুন জিরো পয়েন্টে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’। পরে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে অপর এক পোস্টে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে লেখা হয়, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, গণতন্ত্র ও সুবিচার প্রতিষ্ঠায় দলে দলে ঢাকায় আসুন।’ পোস্টে বিকাল ৩টায় কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানানো হয়।
এই কর্মসূচির উত্তরে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে করা পোস্টে রোববার (১০ নভেম্বর) গণজমায়েতের ডাক দিয়ে লিখেছেন, ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েত’।
এরপর আজ দুপুর ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। প্রথমেই সবার উদ্দেশে হাসনাত বলেন, আজ হবে আপা নিধন কর্মসূচি।দীর্ঘ এক যুগ থেকে বার বার বলা হতো, ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইও না’। যারা একথা বলতেন তাদের বলছি, আপনারা দয়া করে দেখা দেন প্লিজ! কারণ, আপনাদের দেখার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আপনাদের আমরা একটু দেখতে চাই।
মূলত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আপা’ সম্বোধন করেন হাসনাত। তিনি আরও বলেন, আপার বাহিনী যারা বিদেশে বসে নিজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তারা অন্তত ১টা মিনিটের জন্য হলেও দেখা দিয়েন। দেশের মানুষ আপার বাহিনীর লোকজনকে একটু দেখতে চায়, সামনাসামনি কথা বলতে চায়।
আওয়ামী লীগের সদস্যদের তিরস্কার করে হাসনাত বলেন, দেখেন! এতো সহজ না। বিদেশের মাটিতে বসে পরিকল্পনা করা সহজ। কিন্তু যারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে গণঅভ্যুত্থানে এসেছিল, তারা আপার প্রতিষ্ঠিত বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
হাসনাত প্রশ্ন করেন, রাস্তায় এসে কাদের ভয় দেখান? ছাত্ররা সব ধরনের প্রতিষ্ঠিত বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছে, কথা বলেছে। যারা আপার বাহিনীদের উৎখাত করেছে, তারা কেন পালিয়ে যাবে?
তিনি মশকরা করে বলেন, ছাত্রলীগ কিংবা মুজিববাদের যারা রয়েছে, তারা মূর্খ। পড়াশোনার সাথে তাদের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমেন্ট করার ক্ষেত্রে তাদের কোন যোগ্যতা নেই। একটা কমেন্ট সবাই না বুঝে কপি-পেস্ট করছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন