শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বরে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। আজ রোববার ভোর থেকে এই শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নূর হোসেন চত্বরে দেখা যায়, সেখানে বেশ কয়েকজন উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছে। যান চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।
সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একদল মানুষকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাঁরা নিজেদের শাহবাগ যুবদল বলে পরিচয় দেন।
‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘গুম খুনের অপরাধে খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দেন তাঁরা। সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।
নূর হোসেন চত্বরে যেসব সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, গণসংহতি আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ছাত্র ফোরাম, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় গণফ্রন্ট, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, জাতীয় গণফ্রন্ট।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে রাজপথে মিছিলে নেমেছিলেন। সেদিন পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান। ১৯৮৭ সালে তাঁকে হত্যার আজকের এই দিনে ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করার পর তা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
দলটির ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে গতকাল শনিবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এক ফেসবুক পোস্টে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজপথে কোনো মিছিল-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে আজ দুপুর ১২টায় ঢাকায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচির শিরোনাম পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন