দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘কয়লার দাম ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়েছে আদানি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে গত জুন পর্যন্ত ১৫ মাসে শুধু কয়লার দাম বাবদ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়েছে ভারতের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আদানি। রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার সময় সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ডিসকাউন্ট (মূল্যছাড়) পাওয়া গেলেও আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা পায়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। নিজের খনি থেকে কয়লা সরবরাহ করা আদানি এ ক্ষেত্রে কোনো ডিসকাউন্ট দেয়নি। কেবল তা-ই নয়, খারাপ মানের কয়লা দেওয়ার পরও চড়া দাম নিচ্ছে আদানি। চুক্তির দুর্বলতার কারণে এসব নিয়ে আদানির সঙ্গে আলোচনায়ও পেরে উঠছে না পিডিবি।
পিডিবির একাধিক প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা বাবদ গড় খরচ ছিল ৮ টাকা ১৭ পয়সা। একই সময়ে ইউনিটপ্রতি কয়লার খরচ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছিল ৯ টাকা ৮৬ পয়সা এবং আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছিল ৮ টাকা ৫৩ পয়সা। কিন্তু এরপরেই আদানির কেন্দ্রে জ্বালানি খরচ রামপালকেও পেছনে ফেলে যায়। ২০২৩ সালের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য কয়লার দাম নিয়েছে গড়ে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা। একই সময়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েছে গড়ে ৭ টাকা ৯২ পয়সা, আর আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েছে গড়ে ৮ টাকা ১৫ পয়সা। সেই হিসাবে পায়রার তুলনায় ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৪১ পয়সা, আর রামপালের তুলনায় ২৩ পয়সা বেশি নিয়েছে আদানি।
আদানির চুক্তি ও আদানির কয়লা কেনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি টন ৪৬০০ কিলো ক্যালরির কয়লা ৯০ ডলারে কিনছে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার টাকা দিচ্ছে পিডিবি।
অন্যদিকে একই মানের কয়লা পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কিনছে ৬৮ ডলারে। সে হিসাবে প্রতি টনে ২০ থেকে ২২ ডলার বেশি নিচ্ছে আদানি। আদানি আবার এই কয়লা নিজের খনি থেকে কিনছে। আদানির কয়লায় ডিসকাউন্ট না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি টনপ্রতি বাড়তি ২০ থেকে ২২ ডলার নিচ্ছে। আর বছর শেষে অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাচ্ছে শুধু কয়লা বিক্রি করে।
কেন কয়লার দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে আদানি
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য পিডিবির ‘পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ)’ করে থাকে। এসব চুক্তিতে জ্বালানি ব্যয় বা জ্বালানির দাম, কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্রভাড়া, বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালন ব্যয়, ব্যাংকের সুদ, মুনাফা, জ্বালানির দাম, বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবচয় ব্যয়সহ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিতে জ্বালানির মূল্য কী পদ্ধতিতে ঠিক করা হবে, তারও একটি ফর্মুলা থাকে। এতে প্রধান শর্ত থাকে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম যখন যে দামে কেনা হবে, সেই দাম দেওয়া হবে। কেন্দ্র পর্যন্ত জ্বালানি আনতে যত ব্যয় হবে, সেটাও ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের মূল্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যখন ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কেনার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তি করে, তখন তারা সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবে—এমন শর্তে চুক্তিটি করে। রামপালও বছরব্যাপী কয়লা কেনার ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট রাখার শর্তেই চুক্তি করে। কিন্তু আদানির কেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার চুক্তিতে ডিসকাউন্টের বিষয়টি নেই। এই সুযোগটিই নিচ্ছে আদানি গ্রুপ।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘এলএনজি ব্যবসায় চক্র, নেপথ্যে নসরুল হামিদ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘুরেফিরে চারটি কোম্পানি বেশি কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি কাজ পেয়েছে সরকার পতনের পরও। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এলএনজি ব্যবসার এই চক্র মূলত গড়ে উঠেছে সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের মাধ্যমে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ছয় অর্থবছরে এলএনজি আমদানির (জিটুজি ও খোলাবাজার) পেছনে সরকার খরচ করেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে গত অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৪২ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা।
দেশে প্রথমবারের মতো এলএনজি আমদানি শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে। প্রথম দিকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) আমদানি হয়। এর পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে খোলাবাজার থেকে আমদানি শুরু হয় ২০২০ সালের দিকে। তখন থেকে ঘুরেফিরে বেশি কাজ পাওয়া চারটি কোম্পানি হলো সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া ও গানভর, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকসিলারেট এনার্জি। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ৬০ শতাংশের বেশি এলএনজি সরবরাহ করেছে ভিটল এশিয়া ও গানভর। এই দুটি কোম্পানির সঙ্গে নসরুল হামিদের পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও পারিবারিক কোম্পানির ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এলএনজি সরবরাহে কোনো কাজ পায়নি ভিটল এশিয়া। তবে অক্টোবরে দুটি করে মোট চারটি এলএনজি কার্গো সরবরাহের কাজ পেয়েছে টোটাল ও গানভর।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভিটল এশিয়া, গানভর ও টোটালের ব্যবসা নিয়ে বিশ্বে বিতর্ক আছে। দেশে এলএনজি আমদানি শুরুর পর তারা এখানে ব্যবসা শুরু করে। এর মধ্যে টোটালের ঢাকায় কার্যালয় রয়েছে। আর ভিটল এশিয়া ও গানভরের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন এজাজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তিনি ওকিইউ ট্রেডিংয়েরও স্থানীয় প্রতিনিধি বলে জানা গেছে। দুটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির (জিটুজি) আওতায় ওমানের ওকিইউ ট্রেডিং ও কাতার এনার্জি থেকে এলএনজি আমদানি করে বাংলাদেশ। এজাজুর দীর্ঘদিন ধরে ভিটল এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরকারকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে আসছেন। বিগত সরকারের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তাঁকে এলএনজি ব্যবসায় যুক্ত করেন বলে অভিযোগ করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তরা। নসরুল হামিদ ২০১৪ থেকে টানা তিন দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
যুগান্তর
‘চড়া মূল্যস্ফীতির চাপে নাকাল ভোক্তা’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা পৌনে তিন বছর ধরে সাধারণ ভোক্তারা চড়া মূল্যস্ফীতির যন্ত্রণায় ভুগছেন। দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতি নামের চড়া কর দিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভোক্তারা। এর জন্য প্রধানত দায়ী ছিল বিগত সরকারের ভুল নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার, ছাপানো টাকায় দেশ পরিচালনা অন্যতম।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলে ভোক্তারা আশায় বুক বেঁধেছিল, এবার দুর্নীতি কমবে, টাকা পাচার বন্ধ হবে, পণ্যমূল্য কমবে। কমে আসবে মূল্যস্ফীতির বেপরোয়া চোখ রাঙানি। নতুন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হলো আজ। এর মধ্যে পণ্যমূল্য কমেনি। উলটো আরও বেড়েছে। ব্যবস্থাগত কারণে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু এখনো ডাবল ডিজিটের খুব কাছাকাছি রয়েছে।
মূল্যস্ফীতির হার কমাতে মুদ্রানীতি সংকোচনমুখী করা ছাড়া অন্য কোনো শক্তিশালী পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে না। এতে ভোক্তার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যকার বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে শিগগিরই সহসা কমে আসবে পণ্যমূল্য। একই সঙ্গে কমবে মূল্যস্ফীতির হারও।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভোক্তার মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে বেশি। ওই সময়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং মজুরি বেড়েছিল ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল দশমিক ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ভোক্তার আয়ের চেয়ে খরচ বেশি ছিল। এই প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। তবে আয় ও ব্যয়ের মধ্যকার ব্যবধান আরও বেড়েছে। ২০২২ সালের আগস্টে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে সাড়ে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ওই মাসে আয় বেড়েছিল ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। আয়ের চেয়ে খরচ বেশি ছিল ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। দীর্ঘ সময় ধরে চলা আয়-ব্যয়ের মধ্যকার ভারসাম্যহীনতার কারণে জীবিকা নির্বাহ করতে ভোক্তারা যেমন সঞ্চয় ভেঙেছে, তেমনি ঋণগ্রস্ত হয়েছে। জীবনযাত্রার মান কমিয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার স্বাধীনভাবে নিরূপণ করেছে বিবিএস। যে কারণে ওই মাসে এ হার আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠেছে। আয় বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ওই সময়ে আয়-ব্যয়ের মধ্যকার ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড। অভিযোগ রয়েছে, আগে সরকার মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে ও মজুরির হার বাড়িয়ে দেখাত। এখন সেটি হচ্ছে না বলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘বিচারের আওতায় পতিত স্বৈরাচার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাসে বড় সাফল্য হলো পতিত স্বৈরাচারী সরকারের অনেককে গ্রেপ্তার এবং তাঁদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা। গুম-খুনের তদন্ত, একতরফা ও অনিয়মের ভোটে নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত সংসদ বিলুপ্ত করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ, পুলিশ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিতদের একাংশকে সরিয়ে দিয়ে বিচারের সম্মুখীন করাও এই সাফল্যের মধ্যে পড়ে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা শৃঙ্খলা আনাটাও এই সরকারের অন্যতম সাফল্য। এই মূল্যায়ন অনেকের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দেশ ছাড়েন। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ এ সরকারের তিন মাস পূর্ণ হচ্ছে।
এই তিন মাসে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কথাও আলোচনায় আছে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে গতানুগতিক ও আমলাতান্ত্রিক ধারার কারণে সাফল্য সীমিত বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, একজন উপদেষ্টাকে অনেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার কারণে কাজের অগ্রগতি কম। প্রশাসন এখনো স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত হতে পারেনি।
সমকাল
‘গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিয়ে ঝুঁকিতে নারীরা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জন্মনিয়ন্ত্রণে আগ্রহী নারীদের সারাদেশে সরকারি খরচে ইনজেকশন (ভায়াল) দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিন মাস মেয়াদের ইনজেকশনে বেশ কয়েকটি জেলায় ওষুধের পরিমাণ কম পাওয়া গেছে। শরীরে প্রয়োগ করার পর বিষয়টি মাঠকর্মীদের নজরে আসে। ফলে ইনজেকশন গ্রহণকারী অনেকের এখন অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের।
মানিকগঞ্জ, জামালপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শেরপুর, নওগাঁসহ বেশ কয়েকটি জেলায় পরিমাণে কম ওষুধ থাকা ভায়াল প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সারাদেশে এ ইনজেকশন সরবরাহ করে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। মাঠকর্মীদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিকে শোকজ করে। এর পর ইনজেকশন প্রয়োগ বন্ধের নির্দেশ ছাড়াও পরিমাণ কম থাকা ভায়ালের গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভনিরোধ ইনজেকশন খুবই সংবেদনশীল। এতে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
টেকনো ড্রাগসের সরবরাহ করা ‘প্রভেরা’ ইনজেকশনে পরিমাণের তুলনায় কম ওষুধ থাকলে, এটিতে গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকেই যাবে। যাদের শরীরে প্রয়োগ হয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত’। খবরে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রণীত বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পুনরায় উপস্থাপন করবে।
সাইবারস্পেসে সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করার বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাচিবিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি পৃথক আইনি কাঠামো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করবে বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার সরকার। ৮ অক্টোবর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুদিন পরই আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ সব কালো আইন বাতিল করা হবে। এরপর থেকেই উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই এই আইন বাতিল বা সংশোধনের বিষয়ে বলা হচ্ছিল। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরাও সাইবার নিরাপত্তা আইনকে মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য অন্তরায় হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিলের কথা জানান। এর মধ্যে গত ৩ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত বছর বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে তার বদলে নতুন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। কিন্তু এই আইন নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়।
নয়া দিগন্ত
‘মুজিববর্ষে অপচয় প্রকাশ করবে সরকার’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বহু বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের ১২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া বিগত মুজিববর্ষে মূর্তি নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে কোন মন্ত্রণালয়ে কত টাকা অপচয় হয়েছে তার তথ্যাদি সংগ্রহের পর প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে গতকাল সন্ধ্যায় শফিকুল আলম জানান, গত বছর পতিত স্বৈরাচার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন বোতলে এনে নাম দিয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। কিন্তু উদ্দেশ্য একই ছিল। উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠরোধ করা। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে অনেক মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের অনেককে জেলও দেয়া হয়েছে। কেবিনেটে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এটি রিপিল (বাতিল) করার।
তিনি বলেন, এটা বাতিল করার পরে দ্রুত একটা ল’ (আইন) করা হবে। সাইবার সিকিউরিটির একটা উল্লেখযোগ্য জিনিস হচ্ছে সাইবার সেফটি। বিশেষ করে মহিলাদের সেফটি এবং ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি; বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ড। এ ছাড়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহারকারীদের সেফটি, যেগুলোর মাধ্যমে সাইবার সমস্যা তৈরি বা হ্যাকিং হয়। মূল ফোকাস থাকবে আমাদের ভারনারেবল জনগোষ্ঠী বা ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্র্যাস্টাকচার যাতে আমরা প্রটেক্ট করতে পারি।
সাইবার সিকিউরিটি আইনে যেসব মামলা হয়েছে সেসব মামলার কী হবে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আইন মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে বলবে। আমরা কিছু কিছু মামলা যেমন- সাইবার রিলেটেড সেগুলো হয়তো থাকবে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছিল যেসব মামলা, একজনকে ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বললে ৭ বছরের জেল হয়ে গেছে, সেসব মামলা হয়তো বাদ দেয়া হবে। তবে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি বা মেয়েদের সিকিউরিটির মামলাগুলো হয়তো চলবে। বৈঠকে ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবে। এ কমিটির মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ পরিমার্জনপূর্বক পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করবে। উচ্চপর্যায়ের এই কমিটির প্রধান হবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়ে ১২.৬৬%’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি দুই মাস ধরে ঋণাত্মক। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে থাকায় দেশটিতে এখন মূল্য সংকোচন দেখা যাচ্ছে। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। এখানে আরো অবনতি হয়েছে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির। গত মাসে (অক্টোবর) মূল্যস্ফীতি আবারো দুই অংক ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গতকাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
গত মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। আর সেপ্টেম্বরে এ হার খাদ্যপণ্যে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির তীব্রতা বেড়েছে। অক্টোবরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে পড়ে ২০২২ সালের প্রথমার্ধে। ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক বিপত্তির প্রভাবে দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি জর্জরিত দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠে শ্রীলংকা। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ঠেকে ৭০ শতাংশে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে এ বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে থাকে বৈদেশিক দায় পরিশোধের ব্যর্থতায় নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করা দেশটি। নিয়ন্ত্রণে চলে আসে মূল্যস্ফীতি। সর্বশেষ গত দুই মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ঋণাত্মক। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ঋণাত্মক দশমিক ৫ শতাংশ। অক্টোবরে দাঁড়ায় ঋণাত্মক দশমিক ৮ শতাংশে।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের ‘CSA getting scrapped’ অর্থাৎ ‘সিএসএ বাতিল হয়ে যাচ্ছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব ও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিত) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর একটি খসড়ার অস্থায়ী অনুমোদন দিয়েছে, যা উপদেষ্টাদের চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের আগে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এখন পরীক্ষা করে দেখবে।
সাইবার জগতে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় আইসিটি বিভাগের সাচিবিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি পৃথক আইন প্রণয়ন করবে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর পরিবর্তে সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস করে।
দেশ রূপান্তর
‘চাকরির শঙ্কায় ৩৫৭৪ পুলিশ!’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় উপপরিদর্শক (এসআই) পদের ৩১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন প্রশিক্ষণরত ৩ হাজার ৫৭৪ জন কনস্টেবল। এই উভয় পদের জনবল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদের সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ ৩ হাজার ৫৭৪ জন কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাধান্য পেয়েছে বিশেষ জেলাগুলো। আর এজন্য তাদের বিষয়ে জোরালো তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই কনস্টেবলরা নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা ও রাঙ্গামাটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে তাদের নিয়োগ বাতিল করবে নাকি কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হবে, তা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আলোচনা চলছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, চাকরিচ্যুত এসআইদের কেউ কেউ ক্ষোভ জানাচ্ছেন। সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দাবি করেছেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো কাজ তারা করেননি। কী কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো, তা বুঝতেই পারছেন না। ক্ষোভ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “আল্লাহর কাছে বলে রাখলাম, যদি তিনি আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে যেন এই অন্যায় অবিচারের বিচার একদিন না একদিন এই বাংলার মাটিতে দেখে যাওয়ার সুযোগ দেন। তোমরা যদি জমিনে জুলুম লেখো, আসমানে ইনকিলাব লেখা হবে। সব মনে রাখা হবে, সবকিছু মনে রাখা হবে। বিদায় স্বপ্নের ‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি’।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন