ভালো নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট। পাড় করছে দুঃসময়। তিন ফরম্যাটের কোনোটাতেই নেই ছন্দে, টানা আট ম্যাচে অধরা জয়ের মুখ। যেখানের হারের চেয়েও দৃষ্টিকটু হারের ধরনে, নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারছেন না শান্তরা, করছেন অসহায় আত্মসমর্পণ।
সবশেষ বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার যেন তার উদাহরণ। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে না হয় শক্তির পার্থক্য, কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষেও লড়াই করতে না পারার ব্যর্থতা ভুলে যাওয়া বেশি কঠিন।
২০১৫ সালের আগের সময়ে বাংলাদেশ দল যখন মাঠে নামতোই নিশ্চিত হার জেনে, এক-দু’টি জয় হয়ে উঠতো বিশাল প্রাপ্তি। এখন যেন অনেকটা সেই পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। সমর্থকদের মাঝেও তাই কমে এসেছে রেশ।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও করতে পারেনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও পারেনি স্মরণীয় কিছু করতে। ধারা ধরে রেখেছে আফগানদের বিপক্ষেও।
শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বুধবার ৯২ রানে হারে বাংলাদেশ। রশিদ খানদের দেয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে। যা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ৪ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় হার।
এদিকে বাড়ছে শারজায় বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষা। ‘অপয়া’ এই ভেন্যুতে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি টাইগাররা। এক-দু’বার নয়, শারজায় বাংলাদেশ হেরেছে টানা নয় ম্যাচে। ৩৪ বছরেও জয়টা মরীচিকাই হয়ে রইল।
এক ভেন্যুতে কোনো ম্যাচ না জিতে কিংবা ড্র না করে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশিভাগ হেরেছে শারজাতে। একই রেকর্ড আছে নিউজিল্যান্ডের মাঠ ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালেও। এই দু’মাঠে জয় এখনো অধরা টাইগারদের।
অবশ্য ক্রাইস্টচার্চকে পেছনে ফেলার ‘সুবর্ণ’ সুযোগ আছে এই সিরিজই। শনিবার আফগানিস্তানের কাছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ হেরে গেলে শারজা ছাড়িয়ে যাবে ক্রাইস্টচার্চকে। গড়বে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশিবার হারের রেকর্ড।
যা শুধু নিছকই কোনো রেকর্ড না, হবে বিশ্ব রেকর্ডও বটে। এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে শতভাগ হারের রেকর্ডটা এখন কেবল মালদ্বীপের। তারা টানা ১০টি ম্যাচ হেরেছে ওয়েস্ট অ্যান্ড পার্ক ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
আর মাত্র একটা হার বাংলাদেশকে বসিয়ে দিতে পারে মালদ্বীপের পাশে, লজ্জার রেকর্ডে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন