র্যাব পরিচালিত আটটি গোপন কক্ষের সন্ধান পেয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় থাকা এসব কক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আটক করে নির্যাতন করা হতো বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
গতলকার মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কমিশনে গুমের এক হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।
এর মধ্যে তারা ৩৮৩টি অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে জানিয়ে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে এসব বাহিনীর আটটি গোপন বন্দিশালা পেয়েছে কমিশন, যেখানে বছরের পর বছর গুম হওয়া ব্যক্তিদের রেখে নির্যাতন করা হতো।
কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, এমন একটি সেল পেয়েছি, যা র্যাব পরিচালিত ছিল। ওই সেলটি ছিল মাত্র ৩.৫ বাই ৪ ফুট আয়তনের।
সেখানে কোনো আলো ঢোকার ব্যবস্থা ছিল না, এবং একটি ড্রেন ছাড়া কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থা ছিল না।
কমিশন জানিয়েছে, তারা গুমের ৪০০টি অভিযোগ যাচাই করেছে। এর মধ্যে ১৭২টি ঘটনায় র্যাব, ৩৭টি ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ২৬টি ঘটনায় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ৫৫টি ঘটনায় গোয়েন্দা শাখা, ২৫টি ঘটনায় পুলিশ এবং ৬৮টি ঘটনায় অন্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন