জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন সংবিধান প্রণেতা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।
আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সব সংবিধানিক সংস্কার করতে হবে। মৌলিক বিষয়ে হাত দেওয়া যাবে না। ব্যক্তির ইচ্ছায় নয়, জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক, মালিকদের দায়িত্ব অনেক। প্রত্যেক নাগরিককে প্রহরীর ভূমিকায় থাকতে হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, গত জুলাই-আগস্টে আমরা একটি মর্মান্তিক পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি। বিগত সরকারের আমলে দেশের মানুষের ওপর বৈষম্য-নির্যাতন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এ দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের ১৯৭১ সালের সাংবিধানিক অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এ দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই আজকের প্রেক্ষাপটে আমাদের সংবিধানকে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ সংবিধান যাতে কোনোভাবে অত্যাচারের সুযোগ না দেয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধান সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।
কামাল হোসেন বলেন, জনগণ মনে করলে সংবিধান সংশোধনী আনা যেতে পারে। সংবিধানে ষোলোটি সংশোধনী হয়েছে। যখন দেখা গেছে সংবিধানে কোনো ঘাটতি তৈরি হয়েছে, মানুষের স্বার্থে কাজে লাগছে না, তখন সংবিধান বদলানো হয়েছে। তবে তা করতে হবে মানুষকে নিয়ে। কোনো ব্যক্তি এমনকি রাষ্ট্রপতিও কলমের খোঁচায় সংবিধান বদলাতে পারবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মত গড়ে উঠলে সংবিধানে হাত দেওয়া যেতে পারে। যেন-তেনভাবে এটাতে হাত দেওয়া যাবে না। এমনকি সংসদও মৌলিক বিষয়ে হাত দিতে পারে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন