দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম প্রশাসনে সাড়ে ১০ লাখ ‘আ. লীগ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংখ্যাটা বিশাল। প্রায় সাত লাখ। যার পুরোটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া। তাদের সঙ্গে ওই সময়ে পদোন্নতি পাওয়া আরও সাড়ে তিন লাখের বেশি যোগ হবে।
সবমিলিয়ে সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ জনে, যা প্রশাসনে হিমালয়ের মতো বিশাল এক খাম্বা। শূন্য পদ বাদে বর্তমানে কর্মরত মোট ১২ লাখ ৩১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তাদের খুঁজে বের করতে গেলে লোম বাছতে কম্বল উজাড় হওয়ার জোগাড় হবে বলে মনে করছেন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৯ জনকে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিয়োগের হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৬ হাজার ৩৫৭ জনকে।
অন্যদিকে ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে পদোন্নতি পান ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৩৯ জন। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পদোন্নতির হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে পদোন্নতি পান আরও ২৩ হাজার ৬৮৮ জন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের তথ্য তালাশ হচ্ছে। নাস্তা নিয়ে নাস্তানাবুদ করার অভিযোগে প্রশিক্ষণের প্রায় শেষপ্রান্ত ছুঁয়েও পুলিশে ‘আপাতত’ নিয়োগবঞ্চিত হচ্ছেন কয়েকশ প্রশিক্ষণার্থী এসআই। অর্ধডজন বিসিএস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসবের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বক্তব্যে প্রশাসন গুলজারময় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে দলীয় বিবেচনায় চাকরি পাওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতে গত ১৫ বছরে প্রায় সবই দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিছু লোক ঢুকে পড়েছে যারা কোনোমতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তারা নানা কায়দা-কানুন করে চাকরিতে ঢুকেছে। কিছু লোক টাকার বিনিময়ে ঢুকেছে। প্রশাসনের জানামতে ভিন্নমতের লোকদের চাকরিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের বাইরে যেন কেউ ঢুকতে না পারে সেজন্য দফায় দফায় তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। বিশেষ করে ক্যাডার সার্ভিস ও কিছু নন-ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়ার আগে দুটি সংস্থাকে দিয়ে প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এরপরও সন্দেহ হলে জেলা প্রশাসন পুনরায় তদন্ত করেছে। সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের বলতে হয়েছে তারা আওয়ামী লীগ সমর্থক। আর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় যত ভালো করুক না কেন জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য চাকরিতে ঢোকা ছিল লোককাহিনি বেহুলা-লক্ষ্মীন্দরের বাসরঘরে প্রবেশের মতোই কঠিন।
প্রথম আলো
‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএফআইইউ অর্থ পাচারের সহযোগী’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, দেশের ব্যাংক খাতকে যেভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে, তার জন্য মূল দায়ী প্রতিষ্ঠান দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার করা ও ঢেলে সাজানো ছাড়া বিকল্প নেই।
গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান। ইআরএফ ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইফতেখারুজ্জামান। গ্রিনওয়াচ ঢাকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করা হচ্ছে যে দেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়। তবে এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং তার আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকাকে দায়ী করে টিআইবির পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রথম কঠোর বক্তব্য দেওয়া হলো। সরকার বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরত আনা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তসংস্থা টাস্কফোর্স সম্প্রতি পুনর্গঠন করেছে, যার সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে।
সেমিনারে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বলয় প্রতিষ্ঠা করে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের মাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা—এই ত্রিমুখী আঁতাত মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে। সব প্রতিষ্ঠানেই দীর্ঘ সময় ধরে দলীয়করণের চর্চা হয়েছে, গত ১৫-১৬ বছরে যার চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি। এই প্রক্রিয়ায় আমলাতন্ত্রকে কর্তৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক শক্তি, আর তা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থাকে। ফলে এসব জায়গায় কতটুকু পরিবর্তন আনা যাবে, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে পরিবর্তনই আসবে বলে আমরা আশা করছি, তা যেন টেকসই হয়।’
বাংলাদেশ থেকে মোট কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয় বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ব্যবহার করে ১৭ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচারের কথা জানা যায়। তবে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে।
যুগান্তর
‘দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের চাপ’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, কর্মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারছে না দেশের প্রচলিত শিক্ষা। এজন্য দিন দিন শিক্ষিত ও তরুণ বেকারের চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকার আশঙ্কাজনক। ফলে সম্ভাবনাময় এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে হতাশা এবং দেশ বঞ্চিত হচ্ছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনমিতির সুবিধা থেকে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ (বিবিএস) বিভিন্ন সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষিত তরুণরা বেকার থাকায় রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি সম্পদের অপচয় হচ্ছে। ফলে দক্ষতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার মান বাড়িয়ে বাস্তব কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করার এখনই সময়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষিত ও তরুণ বেকার বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগজনক। কেননা যারা শিক্ষিত তারা যে কোনো কাজ করতে পারেন না। তারা চান প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা সোভন কাজ। কিন্তু আমাদের দেশে ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই অপ্রাতিষ্ঠানিক। এখানে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা কম। ফলে তারা বেকার থাকছেন।
দেশের শিক্ষাকর্মের বাজারের চাহিদা উপযোগী নয়। ফলে এখানে একটা মিস ম্যাচ আছে। কিন্তু শিক্ষার হার বাড়ছে, ফলে শিক্ষিত বেকার বাড়তেই থাকবে। এজন্য শিক্ষাকে বাস্তবমুখী করা দরকার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যারা শিক্ষা গ্রহণ করছে তারা তো ব্যক্তিগতভাবে অনেক খরচ করছে। আবার তাদের পেছনে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ আছে। যখন এসব শিক্ষার্থী বেকার থাকছে তখন উভয় বিনিয়োগই অপচয় হচ্ছে।
চলতি বছরের ২৪ মার্চ প্রকাশিত বিআইডিএস’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। কেননা এ দেশে যে শিক্ষা দেওয়া হয় সেগুলো বাস্তবতা কিংবা কর্মের সঙ্গে সংযোগ নেই। শিক্ষিত বেকার সংখ্যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার তিন বছর পরও শিক্ষার্থীদের ২৮ শতাংশ বেকার থাকছেন।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘বিনিয়োগ সংকটে শিল্পোৎপাদন তলানিতে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ সুদের হার, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা চলছে। এর ফলে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। আর তলানিতে এসে ঠেকেছে শিল্পোৎপাদন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রায় তরুণদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির চাহিদার মধ্যে নানামুখী সংকটে জর্জরিত উদ্যোক্তারা।
তাঁরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত না হওয়ায় নতুন বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে নীতি সুদহার বাড়ানোয় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকঋণের সুদহারও। এতে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা।
তাঁরা বলছেন, অতিরিক্ত সুদের চাপে কমতে পারে বিনিয়োগ, কমবে কর্মসংস্থানও।
চলমান অস্থিরতায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের বিক্রিতেও ধস নেমেছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, ভয়াবহ করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে মাজা সোজা করে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দামে উল্লম্ফনে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বোঝা এখনো বয়ে চলেছে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ। গত বছরের প্রথম দিকে যুদ্ধের প্রভাবে কাঁচামাল আমদানিতে সংকট দেখা দেয়।
এরপর ডলার সাশ্রয়ে আসে আমদানিতে কড়াকড়ি। সময়মতো এলসি করতে না পারা, জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে কারখানার উৎপাদন নেমেছে শূন্যের কোঠায়। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বন্ধ ছিল। কারখানায় বিক্ষোভ, হামলা-মামলার কারণে ভারী শিল্প, পোশাক ও টেক্সটাইল খাত মারাত্মক সংকটের মধ্যে পড়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে। এসব সংকটের কারণে অর্থনীতিতে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বৈদেশিক দায়দেনার পরিমাণ বেড়ে গেছে, বেড়েছে আমদানি খরচও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত সরকারের শেষ দিকে নানা কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির ছিল, নতুন সরকার আসার পর প্রত্যাশা ছিল ব্যবসায় গতি আসবে, তার আগেই শিল্প-কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, ব্যবসায়ীদের নামে হত্যা মামলা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আশাহত হয়েছেন। নতুন বিনিয়োগ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম খেলছে ‘সিন্ডিকেট, বাগে নেই চালের বাজার’। খবরে বলা হয়, ভরপুর উৎপাদন, শুল্ক কমে তলানিতে, আমদানির দরজাও খোলা; পাশাপাশি জোরদার বাজার তদারকি কার্যক্রম। সরকারের এতসব আয়োজনেও বাগে আসছে না চালের বাজার। গেল এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। পর্দার আড়ালে বাজারে খেলছে ‘সিন্ডিকেট’। ফলে বিফলে যাচ্ছে সরকারের ইতিবাচক সব উদ্যোগ।
খাদ্যশস্য মজুতেরও আছে নিয়ম। তবে সেই নিয়মের ধার না ধেরে হাজার হাজার টন চাল গুদামে ভরে রেখেছেন উৎপাদন এলাকার মিলার ও মজুতদাররা। চালের সংকট না থাকলেও বাজারে সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিমভাবে দামের ঘোড়া ছোটাচ্ছেন তারা। এ কারসাজির সঙ্গে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধা পাওয়া বড় মিলার ও উৎপাদন অঞ্চলের কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী জড়িত। ঢাকার বাদামতলী, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারের কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীও রয়েছেন এই চক্রে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চালের মিল, বাজার ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পেয়েছে সমকাল।
সরকার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিল বা বাজারে চালের কমতি নেই। সরকারকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়াচ্ছেন। প্রয়োজনে জড়িতদের ব্যাপারে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
ইত্তেফাক
‘একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি থাকতে পারবেন না বিচারকরা’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগ পৃথককরণের ১৭ বছর পর অবশেষে নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য বদলি ও পদায়ন নীতিমালা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী একই কর্মস্থলে কোনো বিচারক তিন বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। রাজধানী ঢাকায় বিচারকের কর্মকাল ছয় বছরের বেশি হবে না। ঢাকায় কোনো পদে তিন বছর চাকরি করলে তাকে অবশ্যই রাজধানীর বাইরে পদায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা-বিধান এবং চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী) বিধিমালা, ২০০৭ অধিক কার্যকর করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালায় ফিট লিস্ট প্রণয়ন করে সেখান থেকে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ পদে বিচারকদের পদায়ন করতে বলা হয়েছে। হত্যা মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় লেখার অভিজ্ঞতা এবং বিচার প্রশাসন চালানোর দক্ষতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জেলা ও মহানগর জজশিপের গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি পদে বিচারকদের পদায়ন করতে বলা হয়েছে। এখন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মস্থলে চাকরির কার্যকাল আড়াই বছর পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট বিচারক বদলিযোগ্য হবেন। বদলিকৃত কর্মস্থলে যৌক্তিক কারণ ব্যতীত যোগদান না করে নিজের পছন্দমত স্থানে বা পদে বদলির জন্য বা জারিকৃত বদলির আদেশ বাতিলে তদবিরের আশ্রয় নিলে সংশ্লিষ্ট বিচারক অসদাচরণের দোষে দোষী হবেন। তখন ঐ বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে।
নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, পার্বত্য এলাকা ও চৌকি আদালতের কর্মস্থলে কোনো বিচারককে দুই বছরের বেশি রাখা যাবে না। এসব কর্মস্থলে কোনো বিচারককে তার সম্মতি ব্যতিরেকে চার বছরের বেশি রাখার সুযোগ নাই। তবে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব পদের ক্ষেত্রে তিন বছর কর্মকালের শর্তের প্রয়োগ শিথিল করা যেতে পারে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘$12-15b laundered every year during the AL rule’ অর্থাৎ ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়’।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার দেশ থেকে পাচার হয়েছে। এক বছরে পাচারকৃত অর্থের আংশিক উদাহরণও প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উদাহরণস্বরূপ, ট্রেড মিস ইনভয়েসিং এবং দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের মাধ্যমে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচারের মধ্যে তিন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।
এছাড়া অসাধু জনশক্তি রপ্তানির দালালদের মাধ্যমে দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। যারা বিদেশি চাকরি প্রত্যাশীদের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য বিদেশে অর্থ পাঠিয়েছিল।
নয়া দিগন্ত
‘মামলার জট খুলছে তারেক রহমানের’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর সাজা, জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার মামলাসহ পাঁচটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের আবেদনে দেশের সব গণমাধ্যমে তার বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ওয়ান-ইলেভেনের পর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো প্রায় ৮০টি মামলা দায়ের করা হয়। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার জট খুলতে শুরু করেছে।
এর মধ্যে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা ৩০ থেকে ৩৫টি মামলা আদালতের মাধ্যমে খারিজ বা বাতিল হয়েছে বলে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান আইন, আদালত ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উনার মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে একটি অন্তর্বর্তী সরকার কায়েম হয়েছে। সেই সরকার আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। আইনগত পদক্ষেপের মাধ্যমেই তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবেলা করবেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক বলেন, তারেক রহমান এ দেশের নাগরিক। অন্যান্য নাগরিকের মতো যেকোনো সময় তার দেশে আসার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দেশের মানুষের প্রত্যাশা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের আবেগ ভালোবাসার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি যথাসময়ে দেশে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘আইএমএফের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়েও সংকোচনশীল মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ’। খবরে বলা হয়, ঋণ কর্মসূচির শর্ত হিসেবে প্রান্তিক ভিত্তিতে বাংলাদেশের রিজার্ভ মুদ্রা বা মুদ্রাবাজারে থাকা তারল্যের সীমা বেঁধে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যদিও আইএমএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিক শেষে বাজারে প্রকৃত রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ ছিল আইএমএফের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়ে কম।
গত মার্চ শেষে আইএমএফের বেঁধে দেয়া রিজার্ভ মুদ্রার সীমা ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ সময়ে বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ সীমার তুলনায় রিজার্ভ মুদ্রা কম ছিল ৬০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। গত জুনে আইএমএফের বেঁধে দেয়া ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা সীমার বিপরীতে প্রকৃত রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে পার্থক্য ছিল ১২ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ মুদ্রার পার্থক্য ছিল ৩০ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত নোট ও বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা থাকা ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থ তথা সিআরআরের পরিমাণই হচ্ছে রিজার্ভ মুদ্রা। চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে ২ শতাংশ। যদিও গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রা প্রবৃদ্ধির ধারায় না থেকে বরং ঋণাত্মক হয়েছে।
গত ১ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রা কমেছে ৪৭ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। ১৫ সেপ্টেম্বর দেশে রিজার্ভ মুদ্রা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা ছিল। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক তথা মাইনাস ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আইএমএফের সীমা অনুসারে, এ বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ কোটি এবং ডিসেম্বর শেষে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রা রাখার সুযোগ রয়েছে।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘গুলি করা ৭৪৭ পুলিশ চিহ্নিত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী অস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের তালিকা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পুলিশের অন্তত ৭৪৭ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তা গত ১৮ থেকে ২১ জুলাই গুলি করেছেন। তালিকাটি যাচাই-বাছাই করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ওই চার দিনে হতাহতের ঘটনায় পুলিশের করা মামলাগুলোর এজাহার থেকেই গুলি-বর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁরা গুলি করার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানেননি। গুলি করার নির্দেশদাতা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সূত্র বলেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ আহ্বান করেছিল। ১৮ থেকে ২১ জুলাই—এ চার দিনে দেশে সবচেয়ে বেশি গুলি চলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে। পুলিশের ৩৫৭ সদস্য এ সময় প্রায় ৮ হাজার প্রাণঘাতী গুলি করেন। এতে অনেক বিক্ষোভকারী নিহত এবং কয়েক শ আহত হয়।
জানতে চাইলে গতকাল শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতি বলপ্রয়োগকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অনেকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত করছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১১৫টি মামলা হয়। এগুলোর মধ্যে ১০০টির এজাহার পর্যালোচনা করে ‘লয়ার ফর এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ নামে আইনজীবীদের একটি সংগঠন। সেই পর্যালোচনার একটি প্রতিবেদন সংগঠনটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে দিয়েছে। সেখানেই ওই চার দিনে প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তালিকা করা হয়েছে।
লয়ার ফর এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অন্যতম সংগঠক আব্দুল্লাহ আবু নোমান বলেন, ১৮-২১ জুলাইয়ের ঘটনায় পুলিশের করা মামলাগুলোর এজাহারে গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের নাম ও গুলির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিল অজ্ঞাতনামা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। মামলাগুলোতে তখন বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সেই মামলাগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওই তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণকারী হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭৫৪ জন সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পুলিশ সদস্য হলেন ৭৪৭ জন। যাঁদের মধ্যে কনস্টেবল ৪৬৭ জন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ১০৬, উপপরিদর্শক (এসআই) ১৫৭, পরিদর্শক দুজন এবং এএসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। বাকি ১৪ জন পুলিশের নায়েব, সুবেদার ও চালক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন