কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে সন্ত্রাসী কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তাদের কয়েকজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাজে লাগিয়ে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ দিচ্ছেন। এতে করে ভেঙে পড়েছে বিভাগের শৃঙ্খলা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ সালে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে প্রতিষ্ঠা হয় ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি’ বা ‘পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল’ বিভাগ। এই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৮ সালের ১১ মার্চ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি’, ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’, ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’, ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ’ ও ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে প্রার্থীদের থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে চারজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
আবেদনের যোগ্যতা না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপুল রায়
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের শিক্ষক হন বিপুল রায়। তিনি স্নাতক করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি’ বিভাগের ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’ বিষয়ে। স্নাতকোত্তর করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’ বিভাগ থেকে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’ বিষয়ে। ২০১৮ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তার এই বিষয়ের নাম ছিল না। সেই হিসেবে তিনি আবেদনের অযোগ্য। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী প্রশাসন তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
পিএইচডি সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
বিপুল রায়ের পিএইচডি সুপারভাইজার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান, হামলা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ জনের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে পরেশ চন্দ্র বর্মণের নাম রয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায়কে ফোন করে মন্তব্য চাওয়ার আগেই তিনি ফোন কেটে দেন।
বিভাগের নাম পরিবর্তন
বিভাগের নাম ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি’ পরিবর্তন করে ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ করতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৪০ শিক্ষার্থী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৩৯ শিক্ষার্থী এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ৫১ শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরাবর জমা দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর। ওই আবেদনের পর বিভাগে একাডেমিক কমিটির ২৩তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভাগের চারজন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন বিভাগের নাম পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পক্ষে মত দেন। তবে শিক্ষার্থীদের আবেদনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিপুল রায়। তিনি বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থান নেন। সভার ৬ নম্বর কার্যবিবরণী সিদ্ধান্তের এসব কথা জানিয়ে ২০২২ সালের ১২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি আবেদন করেন তৎকালীন বিভাগের সভাপতি মো. ইনজামুল হক।
ওই আবেদনের পর ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিষদের ১২৪তম সভার সিদ্ধান্ত এবং ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সিন্ডিকেটের ২৫৬তম সভায় বিভাগের নাম ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি’ পরিবর্তন করে ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ করার সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বলা হয়, এই নামকরণ বিভাগটি প্রতিষ্ঠার সময় অর্থাৎ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে।
বিভাগের নাম পরিবর্তনে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়, ‘উক্ত নাম পরিবর্তনের কারণে দেশের এবং দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এই নামের বিভাগগুলোর সাথে সামঞ্জস্য বিধান করতে বিভাগীয় কমিটি অব কোর্সেস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে পদ পেতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন নাইমুর রহমান দুর্জয়
উসকানি দিয়ে হামলা-ভাঙচুর, নেতৃত্বে যারা
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ প্রশাসনের মাধ্যমে অবৈধভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পর বিপুল রায় নিজের চাকরি বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগে যান। সেসময়ে এ জন্য সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মত দিলেও তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। তবে বিভাগের সবার দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগের নাম পরিবর্তন করে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘চাকরি হারানোর ভয়ে’ নতুন করে বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে উসকানি দেন বিপুল রায়। এ ঘটনার একাধিক তথ্য-প্রমাণ আমাদের সময়ের হাতে এসেছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি’ বিভাগের নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। আরেকটি অংশ সেই দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিপুল রায় সেই বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ ব্যাচের ‘সেশন কোঅর্ডিনেটর’ বিপুল রায়। তারই উসকানিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী কায়দায় গত ২৭ ও ২৮ অক্টোবর কয়েক দফায় বিভাগের নামফলক ভেঙে ফেলেন। তাদের অনেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিভাগের সিসিটিভি ক্যামেরা ঢেকে দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালান বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাংশ। সিসিটিভি ক্যামেরা ঢেকে দেওয়ার আগেই ভাঙচুরের কিছু অংশ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এতে দেখা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আব্দুর রহমান শোভন, মেহেদী হোসেন লিমন, নাইমুর রহমান দুর্জয়, মোহাম্মদ আলী, মো. সাব্বির প্রধান ওরফে জাকারিয়া , মো. তরিকুল ইসলাম রিফাত; ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. কবির হোসেন, তাকিউদ্দিন তপু, তরিকুল ইসলাম হিমেল, পারভেজ হোসেন, ওয়াসিম, রিক বিশ্বাস; ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হাসান আলী, রেজওয়ান হোসেন, হাসিবুজ্জামান নয়ন, আবির হোসেন, ফারহান তানভির, তাহমিনা ইয়াসমিন ইতি, মাকসুদা আক্তার সেতুসহ আরও অনেকেই।
তাদের মধ্যে চারজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা হলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়, সাব্বির প্রধান ওরফে জাকারিয়া, মো. তরিকুল ইসলাম রিফাত ও মোহাম্মদ আলী।
ভাঙচুরের ঘটনায় সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া তাসমিনা ইয়াছমিন ইতি বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. শাহিনুজ্জামানের মামাতো বোন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘আপনার বোন বিভাগে হামলা-ভাঙচুরে জড়িত, এ কারণে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?’ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে প্রক্টর বলেন, ‘বিভাগ আমাকে জানাতে হবে তো।’
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নামফলক ভেঙে ফেলার নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আবদুর রহমান শোভন বলেন, ‘বিভাগের নামফলক আমরা খুলে নিয়ে নিজেদের কাছে রেখেছি। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।’
তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এ এম সুইট বলেন, ‘ওই বিভাগে আমাদের প্ল্যাটফর্মের কেউ নেই। সন্ত্রাসী কায়দায় বিভাগের নামফলক ভেঙে ফেলা, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে শোভন গর্হিত কাজ করেছেন বলেও জানান এ এম সুইট।
হামলা-ভাঙচুরে বিভাগের সভাপতির উসকানির বিষয়ে শোভন বলেন, ‘আন্দোলন নিয়ে আমরা মাঝে-মধ্যে তার (বিপুল রায়) কাছে যাই, আপডেট শুনি।’
ঘটনার দিনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব
গত ২৭ অক্টোবর ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে হামলা করে নামফলক ভেঙে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। তারা বিভাগের সামনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ঢেকে দেন। ওই দিন বেলা ১১টা ১১ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে এসে বিভাগের নামফলকের আংশিক ভেঙে ফেলেন। সেসময় ঘটনাস্থলের থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাটিকে ঢেকে দেন তারা।
সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করা হলেও বিভাগের সভাপতি আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেননি। আজ বিভাগের অপর দুই শিক্ষক এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। প্রক্টর সেই আবেদনপত্রটি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
আমাদের সময়ের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আবদুর রহমান শোভন নামের সেই ছাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুপুর ১১টা ১১ মিনিটে বিভাগে যান। সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রথমেই বিভাগের নামফলকের ‘জি’ অক্ষর ভেঙে ছুড়ে ফেলে দেন। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সিসিটিভির নিচে অবস্থান নিয়ে নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ আলাপ করতে থাকেন। এ সময় বিভাগের সভাপতি বিপুল রায় এসে তাদের কিছু একটা বলে চলে যান। তখন শিক্ষার্থীরা সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাটি একটি কাপড়ের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দেন।
অপর একটি ক্যামেরা তখনও চালু ছিল। সেটির ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে শিক্ষক বিপুল রায় এবং পরবর্তীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে প্রবেশ করেন। বিভাগের সভাপতি বিপুল রায়ের কক্ষেও সিভিটিভি ক্যামেরা ছিল। সেই ক্যামেরায় ওই দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার আলোচনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে বৈঠকের কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
সংশিষ্টদের বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি বিপুল রায় জানান, বিভাগের সামগ্রিক বিষয়ে আগামীকাল একাডেমিক কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। এর বেশি কিছু তিনি জানাতে রাজি হননি।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে হামলায় উসকানি দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপরে একাধিকবার ফোন ও ম্যাসেজ দিলেও কোনো সাড়া দেননি তিনি।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘বিভাগ থেকে আমাকে তো কিছু জানায়নি। লিখিত আকারে তো আমাকে জানাতে হবে।’
হামলার পর বিভাগে গিয়ে বৈঠক করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, বিভাগের সভাপতি তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তাই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
বিভাগে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ৫ দিন পরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভাগের সাবেক সভাপতি ইনজামুল হক। তিনি জানান, কারও ইন্ধনে সন্ত্রাসী কায়দায় বিভাগে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে। কিন্তু বিভাগীয় সভাপতি এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেননি এখন পর্যন্ত। তাই আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ডিন ও বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত আবেদন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আগামীকাল এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন