আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসনের দোসর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস-১ শাখা থেকে আওয়ামী লীগপন্থি ২৮ সাংবাদিকের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
এ তালিকায় জুলাই-আগস্ট অভূত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনকে উসকে দিয়েছেন- এমন অনেক সাংবাদিকের নাম আসেনি। বাকিদের নাম পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করার পর আসতে পারে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুইটি বাংলা দৈনিকের সম্পাদকের নাম মামলায় আসলেও পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও একটি পক্ষের যোগসাজশে মামলা থেকে তাদের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি যে ২৮ সাংবাদিকের তালিকা করা হয়েছে তারা হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিবিসি নিউজের হেড অব নিউজ জায়েদুল হাসান পিন্টু, এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, এটিএন নিউজের জহিরুল ইসলাম মামুন (জই মামুন), বাংলা ইনসাইডারের সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবী, দিল্লীর প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের চিফ রিপোর্টার জুলকারনাইন রনো, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মধু সুদন মন্ডল, ডিবিসি নিউজের মাসুদ আইয়ূব কার্জন, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মইনুল আলম, সাংবাদিক ফরাজী আজমল হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশন অশোক চৌধুরী, নিউজ টোয়েন্টিফোরের এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, ডেইলি সান সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজ টোয়েন্টিফোরের ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর ও হেড অব ডিজিটাল আশিকুর রহমান শ্রাবণ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি (সাবেক) আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, দৈনিক মুখপাত্র সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, ডিবিসি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত, এটিএন নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তাওহিদুল ইসলাম সৌরভ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক শ্যামল সরকার এবং দৈনিক ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন