‘ছাত্রলীগ ক্যাডার’ খুঁজছে সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ ক্যাডার’ খুঁজতে শেষ চারটি বিসিএসের পুরো প্রক্রিয়া পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় কোনো ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনকেই (পিএসসি)।
তারা এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজও শুরু করেছে। নতুন করে তথ্য যাচাইয়ের খবরে উৎকণ্ঠায় আছেন ৪৩তম বিসিএস টপকে যাওয়া ২ হাজার ৬৪ প্রার্থী। সর্বশেষ তিন বিসিএস, অর্থাৎ ৪৪ থেকে ৪৬তমের প্রিলিমিনারি, লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীদের মনেও ভর করেছে হতাশা।
এর বাইরে আরও ছয়টি বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আট ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। বিসিএসের সেই ব্যাচগুলো হলো– ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী বিসিএস পরীক্ষায় নানাভাবে পিএসসির ‘বিশেষ সুবিধা’ পেয়েছেন বলে জোরালো অভিযোগ আছে। বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসন ক্যাডারে তাদের ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটেছে বলে বিএনপি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে।
পিএসসি সূত্র জানায়, শেষ চারটি বিসিএসের মধ্যে ৪৩তমের নিয়োগ প্রক্রিয়া গত ১৫ অক্টোবর শেষ হয়েছে। সেদিন ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাদের আগামী ১৭ নভেম্বর চাকরিতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। তবে গতকাল সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে তাদের যোগ দেওয়ার সময় প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে আগামী ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা অর্ধেক নেওয়া হয়েছে।
বাকিদের মৌখিক আটকে আছে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হলেও এখনও ফল প্রকাশ হয়নি। আর ৪৬তম বিসিএসের বাছাই পরীক্ষার (প্রিলিমিনারি) ফল প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যপদে এসেছে রদবদল।
সাধারণত প্রতিবছরের নভেম্বরে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত পাঁচটি বিসিএস এই ধারাতেই হয়েছে। সে হিসাবে আগামী নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কথা। ৪৭তমের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। বাড়তেও পারে এ সংখ্যা।
এই বিসিএসের মাধ্যমে সরকার ২৫ ক্যাডারে ৩ হাজার ৪৭৮ জনকে নিয়োগ দিতে পারবে। স্বাস্থ্য ক্যাডারে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৮১ জন সহকারী সার্জন নিয়োগের সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে ৯৩৮, প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ১০০, কাস্টমসে ৫০, আনসারে ৫০, ট্যাক্সে ৫০ এবং পররাষ্ট্র, বন, রেল, কৃষি, মৎস্যসহ অন্যান্য ক্যাডারে ৯৫১ জন নিয়োগ হতে পারে। তবে নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম তাপসের দাপটে অবিশ্বাস্য ‘ব্যয়’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার শুরু ২০১৮ সালে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি আসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। সেই চিঠিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে খুশি হওয়ার কথা সিটি করপোরেশনের; কিন্তু ঘটনা গড়াল ভিন্ন দিকে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, শাহবাগে যে শিশুপার্ক রয়েছে, সেটির সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য একটি প্রকল্পের (স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ–তৃতীয় পর্যায়) আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ৭৮ কোটি টাকা দেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর কারণ ওই প্রকল্পের জন্য শিশুপার্কের নিচ দিয়ে ভূগর্ভস্থ পার্কিং হবে। এতে পার্কের কিছু রাইড (খেলনার উপকরণ ও বিনোদনের সরঞ্জাম) ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন রাইড কেনার পাশাপাশি পার্কের আধুনিকায়নের জন্য মূলত ওই টাকা দিতে চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু এত ‘অল্প টাকায়’ আধুনিকায়নের কাজটি করা যাবে না উল্লেখ করে প্রস্তাবটি ফেরত পাঠায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি। তখন মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
এরপর ২০২০ সালের মে মাসে শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের দায়িত্ব নেন। কিছুদিন পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাবের বিষয়টি তাঁর নজরে আসে; কিন্তু তিনিও মন্ত্রণালয়ের ৭৮ কোটি টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ঠিক করেন, শিশুপার্কের আধুনিকায়নের কাজটি সিটি করপোরেশন নিজেরাই করবে। পরে তাঁর উদ্যোগে শিশুপার্ক নিয়ে ৬০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়।
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রকল্পটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন করিয়ে নেন তৎকালীন মেয়র তাপস। প্রকল্প পাসের সময় ঠিক হয়, ৬০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার মধ্যে ৪৮৩ কোটি টাকা দেবে সরকার। সরকারের দেওয়া টাকার অর্ধেক হবে অনুদান, বাকিটা ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। আর দক্ষিণ সিটির নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে ১২০ কোটি টাকা।
এই প্রকল্পের বেশির ভাগ ব্যয় (৪৪১ কোটি টাকা) ধরা হয় শিশুপার্কের জন্য ১৫টি রাইড কেনা ও স্থাপনে। এসব রাইডের দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেসরকারি খাতে বিনোদনকেন্দ্র পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন উদ্যোক্তা প্রথম আলোকে বলেন, রাইডের যে দর দেখানো হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। সরকারি কাজ, তাই অস্বাভাবিক বেশি দাম ধরা হয়েছে। বিভিন্ন রাইডের দাম এতটা বেশি কেন ধরা হয়েছে, তা কারও না বোঝার কারণ নেই।
একসঙ্গে ৩০ জন চড়তে পারে এমন একটি রাইড ‘মাইন ট্রেন’ (মাইন কোস্টার নামেও পরিচিত) কেনা ও স্থাপন করার জন্য ৯৭ কোটি টাকা খরচ করার কথা প্রকল্পে উল্লেখ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ। এই রাইডের জন্য প্রকল্পে যে ধরনের বৈশিষ্ট্য ও মানের কথা বলা হয়েছে, তাতে এর দাম কোনোভাবেই ৫ কোটি টাকার বেশি হবে না। ঢাকা ও এর আশপাশের চারটি বড় বিনোদনকেন্দ্র পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মাইন ট্রেনের দাম কত হতে পারে, তা জানতে পরে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করেছে প্রথম আলো। এর মধ্যে হেনান স্নোডার অ্যামিউজমেন্ট রাইডস কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছে, ৩০ আসনের একটি মাইন ট্রেন (সিটি করপোরেশনের দেওয়া বিবরণসহ) বাংলাদেশে এসে স্থাপন করার জন্য ব্যয় হবে ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অন্যদিকে আরেকটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, খরচ হবে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
যুগান্তর
‘এখনও ইভিএম’র কারিগরি স্বত্ব বুঝে পায়নি ইসি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারিগরি স্বত্ব এখনো বুঝে পায়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ইভিএম সংগ্রহ চুক্তিতেও অস্পষ্টতা রয়েছে। এসব কারণে দেড় লাখ ইভিএম, এসব মেশিনের কারিগরি ডকুমেন্টস এবং প্রকল্পের আওতায় কেনা মালামাল বুঝে পেতে জটিলতার মধ্যে পড়েছে কমিশন সচিবালয়।
ইভিএম’র সফটওয়্যারের আনএনক্রিপটেড সোর্সকোড ও আর্কিটেকচার, ডাটাবেজ আর্কিটেকচার, ডকুমেন্টেশনসহ কারিগরি সবকিছুই বুঝিয়ে দিতে সম্প্রতি প্রকল্প ও সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। পাশাপাশি ওইসব মালামাল বুঝে নেওয়ার জন্য ব্যয় না বাড়িয়ে শুধু মেয়াদ বাড়াতে পরিকল্পনা কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে ইসি। অবশ্য প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, দেড় লাখ ইভিএম যেখানে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। তবে কারিগরি স্বত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় কেনা দেড় লাখ ইভিএম, ইভিএমে ব্যবহার করা টেকনোলজি, গাড়িসহ অন্যান্য সবকিছুই নির্বাচন কমিশনের। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়বে বাড়বে এমন আশায় এসব কিছুই বুঝে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা এসব জিনিস বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে টেকনোলজি ট্রান্সফার নিয়ে। ওই প্রযুক্তির সঙ্গে ইসির জনবল যুক্ত ছিল না। আমাদের দক্ষ জনবল নেই। আমাদের জনবলকে প্রশিক্ষণ দিতে যারা ইভিএম তৈরি করেছে তাদের দরকার হবে। এসব বিষয় সমাধানে আলোচনা চলছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এক বছর বাড়ানো হয়। বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মধ্যেই ওই প্রকল্পের আওতায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়। ওই নির্বাচনে মাত্র ছয়টি আসনে এ মেশিনে ভোটগ্রহণ হয়। পরে এক হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। নির্বাচন কমিশন ও প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের দাবি, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে এমন অনেক অভিযোগ আছে কিন্তু তা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইভিএমের কারিগরি স্বত্ব বুঝে নেওয়া এবং এ মেশিন দিয়ে নির্বাচনে পরিচালনা করতে পারবেন-নির্বাচন কমিশনের এমন পর্যাপ্ত দক্ষ কর্মকর্তা তৈরি হয়নি। প্রকল্পে ইসির যেসব কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন তারাও এদিকে মনোযোগ দেননি। সম্প্রতি ইভিএম কাস্টমাইজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ৪০ জন কর্মকর্তাকে প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ইভিএমে নির্বাচন না হওয়ায় তারা কতটা পারদর্শী হয়েছেন তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তারা আরও জানান, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা না করলে এসব ইভিএম আর কোনো নির্বাচনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘পদোন্নতির হাওয়া বইছে প্রশাসনে, এসএসবির টেবিলে ৮৫০ নথি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রশাসনের দুই স্তরে ফের পদোন্নতির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ দফায় উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে এবং সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হবে। পদোন্নতির সুপারিশ করতে আগামী মাসেই সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) বৈঠক শুরু হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে আভাস মিলেছে।
সূত্র মতে, যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে গণ্য করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পদোন্নতির তালিকা তৈরি করতে কমবেশি ৬০০ কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করবেন এসএসবি সদস্যরা। এ ছাড়া আগের বঞ্চিত অন্তত আড়াই শ কর্মকর্তার তথ্য-উপাত্তও যাচাই করা হবে। ফলে এই মুহূর্তে এসএসবির টেবিলে আছে অন্তত ৮৫০ কর্মকর্তার নথি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) আবদুর রউফ গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই কর্মকর্তারা বহু আগেই পদোন্নতির সব ধরনের যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
তাঁদের যাবতীয় তথ্য যাচাই করতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক আহ্বান করা হবে। আজকালের মধ্যে বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নোটিশ করা হবে।’
ইত্তেফাক
‘২ লাখ কোটি টাকা সরিয়েছেন শেখ হাসিনার সহযোগীরা!’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ধনকুবের ও ব্যবসায়ীরা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সহায়তায় ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘সবল ব্যাংকগুলো দখলে নিতে হাসিনার ঘনিষ্ঠদের সাহায্য করেছে ডিজিএফআই। যে কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেই এটি সবচেয়ে বড় এবং সর্বোচ্চ ব্যাংক ডাকাতি। এ মাত্রায় আর কোথাও ব্যাংক লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। আর এর পেছনে ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।’ দেশ থেকে যে অর্থ দুবাই, সিংগাপুর বা অন্যান্য স্থানে পাচার করে নিজেদের আয়ত্তে রেখেছেন, তা উদ্ধারের চেষ্টায় আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশের চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। গভর্নর যে পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ করেছেন, তার পরিমাণ এ বাজেটের ২৫ শতাংশের সমান।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যমে দেওয়া ঐ সাক্ষাত্কারে গভর্নর ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দপ্তরের সাবেক কিছু কর্মকর্তা শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক দখল করতে সহায়তা করেছেন। এসব ব্যাংক দখল করে আনুমানিক ২ লাখ কোটি টাকা (১ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার) বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন শেয়ারধারীদের ঋণ দেওয়া ও আমদানির অতিরিক্ত খরচ দেখানোর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহীদের মাথায় বন্দুক না ঠেকলে এটা হতে পারত না। ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখল করার পর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা অন্তত ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বের করে নিয়েছেন। এজন্য তারা প্রতিদিনই নিজেদের জন্য ঋণ অনুমোদন করেছেন।’
সাইফুল আলমের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন এমানুয়েল আরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে এস আলম গ্রুপ জানিয়েছে, গভর্নরের অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর মন্তব্যের জন্য তাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি এবং ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। পরে এ সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর নিযুক্ত হন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে গভর্নর বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার তত্কালীন কিছু সদস্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে এবং এরপর হোটেলের মতো জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর অস্ত্রের মুখে তাদের তাদের শেয়ার এস আলমের কাছে বিক্রির জন্য এবং তাদের পরিচালকের পদ ছাড়তে বলেন। একের পর এক ব্যাংকের ক্ষেত্রে তারা এটা করেছে।’ একটি ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, জোর করে ব্যাংক দখলের প্রক্রিয়ায় তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
নয়া দিগন্ত
‘পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ শুরু’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা দেশ থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা।
তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারই সরিয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেছেন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দফতরের সাবেক কিছু কর্মকর্তা শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক দখল করতে সহায়তা করেছেন।
এ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, কোন কোন দেশে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্যের সন্ধানে জোরেশোরে কাজ করছে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা- বিএফআইইউ, এ লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ইতোমধ্যে এস আলম, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, সামিট গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নজরুল ইসলাম মজুমদারের নাসা গ্রুপসহ অগ্রাধিকারভিত্তিতে ১০টি গ্রুপের বিরুদ্ধে কাজ শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে সাইফুজ্জামানের দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের জন্য উচ্চ আদালত থেকে অর্ডার দেয়া হয়েছে। এস আলমের দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হচ্ছে। এভাবে ওই ১০টি গ্রুপের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ চাওয়া হবে। উচ্চ আদালত থেকে আদেশ পাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট দেশগুলো থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে ফার্ম নিয়োগ দেয়া হবে। ওই ফার্মের কাছে স্থানীয় আদালতের আদেশ পাঠানো হবে।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘শীতের তিন মাসে বাড়ে স্বর্ণ চোরাচালান’। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশটিতে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা অন্তত ১ হাজার টন। বিশেষ করে বিয়েসহ নানা উৎসবের মৌসুম হওয়ায় শীতকালে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু উচ্চ মাত্রায় শুল্ক আরোপিত থাকায় এ চাহিদা পূরণের জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের বৈধপথে স্বর্ণ আমদানিতে খরচ পড়ে অনেক বেশি।
এ কারণে বিশ্বব্যাপী পাচারকৃত স্বর্ণের বৃহত্তম গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত, যার বেশির ভাগই প্রবেশ করে বছরের শেষ তিন মাস অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তথা শীতকালে। দেশটিতে পাচারকৃত এ স্বর্ণ সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে।
ভারতীয় শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে পরিচালিত এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ পাচার হয় শীতের তিন মাস অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে। মূল্যবান ধাতুটির আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতে স্বর্ণ পাচারের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বেঙ্গালুরুভিত্তিক সেন্ট জোসেফস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এবং পন্ডিচেরি ইউনিভার্সিটির তিন গবেষক। ‘গোল্ড স্মাগলিং ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস ইফেক্ট অন দ্য বুলিয়ন ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক গত মার্চে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসা এ পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করছেন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।
তাদের ভাষ্যমতে, শীতকালে কুয়াশা বেশি থাকার কারণেও চোরাকারবারিরা এর সুবিধা নিতে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। আবার এ কুয়াশার কারণেই শীতে পাচারের সময় স্বর্ণ জব্দের পরিমাণও কমে যায়। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২৩ পর্যন্ত চার বছরে সীমান্ত এলাকায় পাচারের সময় মোট প্রায় ৫৯৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছেন বাহিনীটির সদস্যরা। এর প্রায় ৪৪ শতাংশই আটক হয়েছে গত বছর। ২০২৩ সালে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারের সময় জব্দ করা হয়েছে ২৬০ কেজি ৫৬৭ গ্রাম স্বর্ণ। এর মধ্যে অক্টোবরে ১৪ কেজি ৭৯৪ গ্রাম, নভেম্বরে ২৭ কেজি ৪০০ ও ডিসেম্বরে ১১ কেজি ৬৪৩ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়।
আজকের পত্রিকা
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘শুরুতে দেরি, শেষ নিয়ে শঙ্কা’। খবরে বলা হয়, নতুন বছর শুরু হতে বাকি মাত্র দুই মাস। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিতে হলে এ সময়ের মধ্যে ছাপানোর কাজ এবং পাঠানো সম্পন্ন করতে হবে বিনা মূল্যের ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই। অথচ এখনো চলছে বই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া, পাণ্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ। কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে ও কিছু বইয়ের ভেতরে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের গ্রাফিতি (দেয়ালচিত্র) যুক্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দুই মাসে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানোর সক্ষমতা দেশের মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের নেই। এ ছাড়া এই সময়ে চাহিদামতো মানের এত কাগজ পাওয়া নিয়েও সংকট হতে পারে। গত শনিবার থেকে পাণ্ডুলিপির সিডি দেওয়া হচ্ছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানকে। তাই আগামী ১ জানুয়ারির আগে সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো ও বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের ছবি ও বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও সংশোধন এবং সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে রদবদলের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ অনুমোদনে দেরি হচ্ছে। অবশ্য নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
এনসিটিবি জানায়, সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। করোনা মহামারির সময় ছাড়া বাকি বছরগুলোতে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই বই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। আগামী বছরের প্রথম দিনেও নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
দেশ রূপান্তর
‘নিষিদ্ধের রিটে’ অন্য মাত্রা-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম না চালানো এবং বিগত তিন সংসদ নির্বাচনের বৈধতার প্রশ্নে দুটি পৃথক রিট আবেদন করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। গতকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও মো. হাসিবুল ইসলাম উচ্চ আদালতে এ রিট আবেদন দুটি করেন।
এর আগে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একটি সংগঠনের করা আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়েছিল। গতকালের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও বিষয়টি আলোচনায় এলো। যদিও আগের আবেদনের সঙ্গে এবারের আবেদনের পার্থক্য হলো, আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আবেদন করা হয়েছিল, এবার দলটিসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের আবেদন করা হয়েছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধে পরিকল্পনা নেই জানানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এমন নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি এসেছে আন্দোলনের সমন্বয়করাসহ বিভিন্ন মহল থেকে। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে সম্প্রতি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে সরকার। গতকাল আওয়ামী লীগ ও ১১টি রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা দিতে হাইকোর্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের করা রিট আবেদন বিষয়টি নতুন মাত্রা এনেছে।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘GDP growth lowest in five years’ অর্থাৎ ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের চতুর্থ ও শেষ প্রান্তিকের ত্রৈমাসিক মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকের চেয়ে তা অনেক কমেছে। ওই সময় তা ছিল ছয় দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) শেষ প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এই তথ্য গতকাল সোমবার প্রকাশ করেছে।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)– এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘কম প্রবৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে যে বিবিএস আগের মতো তথ্যে রদবদল করেনি।’
গত দুই বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন এক সময়ে এই অর্থনীতি কম প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছিল, যখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন