সরকার পরিবর্তনের তিন মাস হতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে খাত ভিত্তিক সংস্কারের। সরকারের কার্যক্রম ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানার চেষ্টা করেছে মানবজমিন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় উঠে এসেছে নানা বিষয়। তবে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচনের বিষয় আলোচনায় এনেছেন বেশি। সরকারের মেয়াদ নিয়েও কথা বলেছেন কেউ কেউ। তাদের মতে সরকার সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। অনেকের মধ্যে তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে সরকারকে একটু সময় দেয়া দরকার। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, বন্যাসহ নানা কারণে পণ্যমূল্য বেড়েছে এটা আমলে নিচ্ছেন অনেকে। আবার এও বলছেন, শুরু থেকে সরকার আরও কিছু উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারতো। গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে সরকার জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে এমনটাও আশা করেন অনেকে। প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করেছেন-মো. আল-আমিন, নাজমুল হুদা, ফাহিমা আক্তার সুমি ও নাইম হাসান
নিচে সাধারণের দেয়া প্রতিক্রিয়া হুবহু তুলে ধরা হলো-
রুবেল মোড়ল, চাকরিজীবী: ১৭ বছর একটা ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশে জেঁকে বসেছিলো। তারা অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে রেখেছে, সীমাহীন লুটপাট করেছে। এখন সেই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। আগের সরকারের রেখে যাওয়া মূল্যস্ফীতির কারণে এই সরকারের পক্ষে দ্রব্যমূল্য রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তাদের একটা সময় দেয়া উচিত।
হারুনুর রশিদ, রিকশাচালক: আমাদের আয় কম। বাজারে গেলে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। কিছু কিছু পণ্যের দাম কমছে এটি আরও কমা উচিত। যে আয় হয় সেটি দিয়ে বাঁচা যায় না। নির্বাচনী সরকার না আসা পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হবে না। অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন দাবি নিয়ে দুইদিন পরপর মানুষ রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিলে এত সমস্যা সে কীভাবে সমাধান করবে।
হুমায়ূন কবির, ব্যবসায়ী: নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়তি। ১০০ টাকার জিনিসে ১৫ টাকা ভ্যাট যাচ্ছে। ভ্যাট কমালে দামটাও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসতো। ৫০০ টাকার জিনিসে ৮৫ টাকা বেশি। ১০০ টাকার জিনিসে ৫ টাকা হলে ঠিক আছে কিন্তু ১৫ টাকা নিলে সেটি তো অতিরিক্ত হয়ে যায়। আমরা চাই দ্রব্যমূল্য কমে আসুক।
মুন কাদির, বেসরকারি চাকরিজীবী: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরে দেশে কিন্তু কয়েকটি অঞ্চল বন্যায় তলিয়ে গেছে। এই সরকারকে সময় দিতে হবে। কৃষকের দিকে সুদৃষ্টি দিতে হবে। কৃষি ব্যাংক থেকে কৃষকের ঋণ নেয়ার কথা থাকলেও কৃষকরা কিন্তু সেটি পাচ্ছে না। একটি গোষ্ঠী সেটি নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করেছে। ১৬ বছর ধরে একদল ক্ষমতায় থেকে কিছু করতে পারেনি সেখানে দু’দিনে কীভাবে সম্ভব।
জুলহাস, টেইলার্স ব্যবসায়ী: বিগত আওয়ামী সরকার দেশের যে পরিমাণ ক্ষতি করে গেছে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো এ ক্ষতির সমাধান দ্রুত করতে পারবে না, তাকে তো সময় দিতে হবে। নতুন স্থায়ী সরকার যেই আসুক তাকে আগে জনগণের কথা ভাবতে হবে, তারা কি চায় এটা বুঝতে হবে। এই সরকারের কড়া হাতে সবদিকে নজরদারি বাড়ানো উচিত, অপরাধ দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কঠোর হওয়া উচিত। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা অস্বাভাবিক।
জুবায়দুল, রিকশাচালক: সব জিনিসের দাম বেশি। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা গরিব, আমরা তো চাই সবাই ভালো থাকুক, সব জিনিসের দাম কমুক। আমাদের গরিবের এতটুকু চাওয়া।
পাটোয়ারী খান, ব্যবসায়ী: নতুন সরকারকে সিন্ডিকেটের দিকে নজর দিতে হবে। মানুষ মানুষকে মারছে। এদেশে জনগণের কোনো দাম নেই।
আরিফুল হক, শিক্ষক-বুয়েট: কিছু পণ্যের দাম গত ২ সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম লাগছে। কিন্তু এখনো পত্রিকা কিংবা ফেসবুকে যেরকম দেখি তেমনটা কমেনি। আসলে বড় দু’টো বন্যা গেল। এই সময়টায় সবজির ক্রাইসিস হয়। গতকাল ৩০ পিস ডিম ৩৭৫ টাকায় কিনলাম, যেটা প্রায় ৪৩০ টাকা হয়ে গেছিল। সবগুলো বিবেচনায় দামটা বেড়ে গেছিল, এখন মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে। সিন্ডিকেটের সঙ্গে আমাদের নিজেদেরও সমস্যা রয়েছে। যেটার দাম বেড়ে যায় ওইটা আমরা বয়কট না করে আরও বেশি করে কিনে মজুত করি। সরকারকে এই সিন্ডিকেটটা ভেঙে দিতে হবে।
আবু সাঈদ, গাড়িচালক: সাধারণ মানুষের কোনোরকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে, ভালো কিছু খাওয়ার কোনো উপায় নাই। ১০০ টাকার নিচে কোনো তরকারি নেই। সবজির বদলে শুঁটকি কিনেছি। মানুষ স্বস্তিতে থাকলে অপরাধও কমে যাবে।
জিয়াউর রহমান, ব্যবসায়ী: বাজার নিয়ন্ত্রণে এই সরকার কঠোরও হতে পারছে না। এজন্য দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হবে। নির্বাচিত সরকারের পক্ষে সিন্ডিকেটের ওপর যেভাবে কঠোর হওয়া যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সেটি সম্ভব না।
মো. রাজু, শিক্ষক-ঢাবি: গত কয়েক মাসের তুলনায় দ্রব্যমূল্য একটু বেশি। সবজির বাজারও চড়া। সিন্ডিকেট তো সবসময় থাকে। তবে চাহিদা তো অনেক বেশি, যোগানের উৎসগুলো আমাদের বাড়াতে হবে। আমার মনে হয়, এই সরকারের খাদ্যদ্রব্যের ওপরে নজর দেয়া উচিত। অন্য বিষয়গুলো মানুষ কম গুরুত্ব দেয়।
সামিউল আলম শাওন, মেডিকেল শিক্ষার্থী: বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম অনেক বেশি। বিশেষ করে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য বাজার করাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা এখন ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারের জন্য বের হলে দুইবারের খাবার যোগাড় করতে পারি। যারা ৫ থেকে ৬ সদস্যের পরিবার, ঢাকা শহরে যিনি ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করেন তাদের চলাটা আরও বেশি কষ্টসাধ্য। সরকার যেন এটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে- এটাই আমাদের চাওয়া।
লুৎফর রহমান, ড্রাইভার: বাজারে এখন কাঁচামরিচ ও সবজির দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য চলাটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
নূর উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা: দাম নাকি কমছে, তারপরও ৮০ টাকা কেজিতে তরকারি বিক্রি হচ্ছে। আমরা অবসর নিয়েছি, কোনো ধরনের আয় নাই। আগে যা ভাতা পেতাম, তাই পাচ্ছি। যে বন্যা হয়েছে এতে বাজারে একটু প্রভাব পড়বেই। আমার মনে হয়, সারা দুনিয়ায় এতো দামে কোথাও চিনি নাই। আটার দাম এতো হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। বাংলাদেশের যে ৫টা বড় কোম্পানি আছে, তারাই শুধু সিন্ডিকেট করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই।
নাহিদা আক্তার, সরকারি কর্মকর্তা: মধ্যবিত্তদের ক্রয়সীমার মধ্যে প্রতিটি জিনিসের মূল্য তালিকা করা প্রয়োজন। এখন কোনো কিছু ক্রয়সীমার মধ্যে নাই। শাক-সবজির বাজারেও তেমন কোনো পরিবর্তন নাই। দোকানদার বলে- বন্যার জন্য দামের ঊর্ধ্বগতি। এটা কি বন্যা নাকি সিন্ডিকেট সেটা তো ক্রেতাদের জানার কথা না। আমরা চাই, প্রত্যেকটা জিনিসের যেন সুষ্ঠু বণ্টন ও বাজার তদারকি করা হয়।
আব্দুল খালেক, বেসরকারি চাকরিজীবী: আগের তুলনায় দাম এখন একটু কম। মহল্লার তুলনায় কাওরান বাজারে দাম কিছুটা কম পাওয়া যায়। এখান থেকে মহল্লায় সবজি ঢুকলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ইব্রাহিম আহমেদ তালহা, ঠিকাদার: আগে দাম যেটা ছিল তার তুলনায় এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে। পিয়াজের দাম চড়া, আলুর দাম আগের মতোই আছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে। আগে যে সিস্টেমে দেশ চলতো, সেটা এখনো চলে। শুধু মানুষ পরিবর্তন হয়েছে। আগে চাঁদাবাজি হতো, এখনো হচ্ছে। শুধু হাতটা পরিবর্তন হয়েছে।
মো. রহমত উল্ল্যাহ, চাকরিজীবী: বাজারে সবকিছুর দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ডিমের দামটা কিছুটা কমলেও পিয়াজ, আলুর দামে কোনো কমতি নেই। আমরা সাধারণ মানুষ খেয়ে বেঁচে চলতে পারলেই হয়। সরকার যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য একটু সীমার মধ্যে রাখতো তাহলে আমরা বলতে পারতাম এই সরকার সফল।
আতাউর রহমান, বেসরকারি চাকরিজীবী: মাসে সর্বসাকুল্যে ২৫ হাজার টাকা বেতন পাই। বেতনের টাকায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আগেই জিনিসপত্রের দাম বাড়তি ছিল। এখন আরও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের টিকে থাকতেই কষ্ট হচ্ছে।
ইয়াসিন আহমেদ, শিক্ষার্থী: সরকার বলে বাজার মনিটরিং করছে। কিন্তু এর কোনো ধরনের প্রভাব বাজারে দেখছি না। আরও কঠোর হতে হবে। তবে মানুষ আস্থা পাবে।
আবু তাহের, চাকরিজীবী: দামটা গত সপ্তাহের তুলনায় কম, তবে আশানুরূপ কমেনি। বন্যার পানি কমেছে, এখন যদি উৎপাদন ঠিকভাবে হয় তাহলে সামনের সপ্তাহ থেকে দামটা আরও কমার সম্ভাবনা আছে। আমাদের সাধারণ মানুষের চলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বিজয় কৃষ্ণ মণ্ডল, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী: আমার কাছে দামটা আজকে একটু কম মনে হলো। দেশের অর্থনীতির এমন বেহাল অবস্থায় আমাদেরও কষ্ট করে দিন কাটছে। সামনে ভালো হবে- এই আশায় আছি।
শামসুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক: আমি চাই অন্তর্বর্তী সরকার দুই বছর থাকুক। এই সময়ের মধ্যে আইন-কানুন সংস্কার করতে হবে। আর বাজার নিয়ন্ত্রণে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
রেশমা খাতুন, গৃহিণী: সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলেও সেই দামে এখনো বিক্রি হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। তবে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো সময় দিতে চাই। কারণ আমরা সব সরকারকেই তো দেখেছি। কোনো সরকারই জনগণের জন্য কাজ করে না। তবে দুই বছরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।
নিশান আলী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী: ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকার কঠোর হতে পারছেন না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর ভূমিকা দেখতে চায় মানুষ। যেই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে আমরা তাদেরকে দেখতে চাই।
কে এম হক ফয়সাল, আইনজীবী: এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য ১৯৫৪ সাল থেকে সব সময় আমাদের লড়তে হয়েছে। চাপিয়ে দেয়া কিংবা অনির্বাচিত শাসনের জন্য লড়াই হয়নি। জনগণের শাসনের জন্য লড়াই করেছি। এখনো আমরা চাই নির্বাচিত সরকার। এজন্য এই সরকারের উচিত যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও কঠোর হওয়া উচিত। ফৌজদারি অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। সে যেই দল কিংবা মতের হোক। এ ছাড়া এখন রাস্তায় কোনো শৃঙ্খলা নেই। রাস্তায় যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। রাস্তায় যানজট নিরসন করতে হবে।
রাজু মিয়া, সিএনজি চালক: আইনশৃঙ্খলা আগের মতো নেই। ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে না। সড়কে যানজট লেগে থাকে। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। প্রতিদিন আমরা যা আয় করি বাজার করার পর আর কোনো টাকা থাকে না। এই সরকারের উচিত যারা নির্বাচনে অংশ নিবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সময় মতো একটা নির্বাচন দেয়ার। তাহলে ভালো হয়। যদি ঐকমত্য করে দ্রুত নির্বাচন দেয় তাহলে ভালো হয়।
সৈয়দ মুনজেল মোরশেদ আল মাসুম, ব্যবসায়ী: এই সরকার চাপের মধ্যে চলছে। দেশ-বিদেশের চাপ আছে। আগের সরকারের সমর্থকদের চাপ আছে। আগের সরকার দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এরমধ্যে বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দ্রবমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে। এই সরকারের নির্দিষ্ট লক্ষ্য খোলাসা করে কাজ করা উচিত। সব সংস্কারের পর নির্বাচন করা ভালো।
মো. ফেরদৌস হাসান ইউসুফ, চাকরিজীবী: বাংলাদেশে এতদিন আমরা ভোট দিতে পারিনি। ভোটের কোনো অধিকার ছিল না। এখন আমরা চাই ভোট দিতে। আবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এখন নিয়ন্ত্রণে নেই। সাধারণ জনগণের মূল চাওয়া যাতে দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালে থাকে।
মো. সালাম, সবজি বিক্রেতা: এখন বাজার পরিস্থিতি ভালো না। সবকিছুর দাম বেশি। এতে আমাদের বিক্রিও কমে গেছে। যার দরকার ছিল এক কেজি সে নেয় একপোয়া। ক্রেতারা বলে, এখন দাম বেশি। আগের সরকার থাকতে সবজির দাম আরও কম ছিল। বর্তমানে আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু সবজির দামে তো সরকারের কোনো হাত নেই। এটা যত সরবরাহ বেশি থাকবে ততই দাম কমবে। শীতের সবজি আসছে। বাজারের সবজির দাম কমে যাবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে।
কামাল পাশা, ব্যবসায়ী: এই সরকারের ভালো-মন্দ বুঝতে হলে তাদের সময় দিতে হবে। তারা চাইলেও রাতারাতি কিছু করতে পারবে না।
আব্দুস সালাম, রিকশাচালক: বর্তমানে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে বাজার করা কঠিন। রাস্তায় অবৈধ ব্যাটারি রিকশা চলছে। ট্রাফিক ঠিকমতো কাজ করে না। গাড়ি ধরে না। ধরলেও ছেড়ে দেয়। বিশ্বরোডের মধ্যে ব্যাটারি গাড়ি চলছে। তাদের জন্য ভাড়া কম পাওয়া যায়। আমাদের আয়ও কমে গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন