শুক্রবার দুপুরে তাকে বহনকারী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমানবন্দরে আনোয়ার ইব্রাহিমকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
সফরে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রয়েছেন।
তার সফরে রাজনীতি, অর্থনীতি ও শ্রমবাজার ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই বিদেশি কোনো সরকার প্রধানের সফর। এ সফরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন। পরে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে আলোচনা করবেন। আলোচনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় মালয়েশিয়ার সহায়তা কামনা করবে। পাশাপাশি আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে একটি ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার' হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরসূচি অনুযায়ী পরবর্তীতে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে।
ঘোষিত সূচি অনুযায়ী মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন