রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে তিন লাখ টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. গিয়াস উদ্দিন (২৭) ও রেদোয়ান শেখ ওরফে মুনিম (১৯)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজতে থাকা জাল টাকা তৈরির বিপুল সংখ্যক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে তারা জাল টাকা তৈরির পরিকল্পনা করে। অল্প সময়ে তারা প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যমানের জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। শুক্রবার সকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম.জে সোহেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকালে র্যাব-১০, লালবাগ ক্যাম্পের একটি দল ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন সুভাঢ্যা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে জাল টাকা প্রস্তুতকারী মো. গিয়াস উদ্দিন (২৭) ও রেদোয়ান শেখ ওরফে মুমিনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ হতে ১০০ টাকার জাল নোট দুই হাজার ৮০০টি, ৫০ টাকার জাল নোট ৬০০টি একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, একটি কী-বোর্ড, একটি মাউস, চারটি ক্যাবল, একটি রাউটার, একটি হেয়ার ড্রায়ার, একটি পাম্প অ্যান্ড স্প্রে, একটি ফয়েল রোল, আট বোতল বিভিন্ন রংয়ের কালি, একটি স্টিলের স্কেল, দুটি কার্টার, তিনটি কার্টিং ফ্রেম, ১০০ পাতা কাগজ, নগদ দুই হাজার টাকা, পাকিস্তানি ৫০ রুপি ও তিনটি মোবাইল ফোন এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, তারা ইউটিউব ও গুগলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে জাল টাকা তৈরির সার্বিক দক্ষতা অর্জন করে। কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশে জাল টাকা প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে তারা জাল টাকা তৈরির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয় করে এবং জাল টাকা সরবরাহের জন্য জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহকারী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হয় এবং ক্লায়েন্ট তৈরি করে। জাল টাকা সরবরাহের ক্ষেত্রে তারা অগ্রীম টাকা নিয়ে নিত এবং পরবর্তীতে তাদের সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করতো।
র্যাব বলছে, চক্রটি বিভিন্ন সময়ে রাজধানী ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৈরিকৃত জাল নোট সরবরাহ করত। তারা প্রতি এক লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। এ পর্যন্ত তারা প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যমানের জাল নোটের ব্যবসা করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন