সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে বাংলার জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
আজ গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা এবং ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, সেনাবাহিনী অনেকদিন ধরে মাঠে থেকে জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। জনসেবা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। সেটা পূরণের লক্ষ্যেই কাজ করছে সেনাবাহিনী।
১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেনি, তাদেরকে আর যোগদান করতে দেয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন-সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যোগদান করেনি এমন পুলিশ সদস্যের সংখ্যা খুবই নগণ্য। মূলত বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যরাই কর্মস্থলে যোগদান করেনি। তিনি বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এসব পুলিশ সদস্যদের ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি জনবান্ধব সুশৃঙ্খল বাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগাযোগে বা তাদের নিকট থেকে সহযোগিতা নিতে সাধারণ জনগণের কোনো সমস্যা নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন