নিজের অফিসকক্ষ লাগোয়া গোপন কক্ষ নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা। তিনি দাবি করেছেন, তাকে অপদস্ত করার জন্য নাটক সাজানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে মালা খান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। গত ৫ আগস্টের পর অফিসের যাইনি কয়েক দিন। এরমধ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, মিথ্যা ঘটনা তৈরি করেছে। এ ছাড়া তারা মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে। মিথ্যা ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আইনগত কোনো কিছুই করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের পর কয়েকদিন অফিস করেছি। আগে থেকেই ওই কক্ষের বিষয়ে জানত অফিসের লোকজন। কিন্তু এখন সেটি গোপন কক্ষ নাম দিয়ে প্রচার করছে। মূলত আমাকে অপদস্থ করার জন্যই এমন নাটক সাজিয়েছে।’
নিজের পরিবারের বিষয়ে মালা খান বলেন, ‘আমার তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে কানাডায় থাকে। আমার স্বামীও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিও কানাডায় থাকেন।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মালা খানের অফিসকক্ষের পাশের একটি কক্ষ নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচারিত হয়। ওই কক্ষটি মালা খান ও বিআরআইসিএমের উপদেষ্টা রবীন্দ্রনাথ রায়ের কক্ষের মাঝামাঝিতে অবস্থিত ছিল। দুজনের কক্ষ থেকেই ওই গোপন কক্ষে ঢোকা যেত।
মালা খানের অফিস কক্ষের পাশের কক্ষ
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই কক্ষে খাট রয়েছে। এ ছাড়া কক্ষে মদসহ শারীরিক সম্পর্ক সংক্রান্ত জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে অফিসে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মালা খানের অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, মালা খানকে মাঝে মাঝে সেই গোপন কক্ষে যেতে দেখা যেত, অথবা হঠাৎ করে তার কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যেত না। রবীন্দ্রনাথও সেখানে যেতেন বলে তারা মন্তব্য করেন।
খবরটি প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে তোলপাড় হয়। অনেকেই কক্ষটিকে ‘রোম্যান্টিক আয়নাঘর’ হিসেবে অভিহিত করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন