ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সকল প্রকার দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতির নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না হলে আগামী ২২ তারিখ থেকে ক্লাসে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আজ শুক্রবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এর আগে তারা ভিসি চত্বরে থেকে মিছিল শুরু করে হলপাড়া, ভিসি চত্বর, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে আবারও টিএসসিতে আসে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সেই কথাটাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। যেখানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই দখলদারিত্ব, লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির রাস্তা বন্ধ হয় সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলার মানে হয় না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে কালক্ষেপণ না করে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না করা হলে আমরা ২২ তারিখে ক্লাসে ফিরতে চাই না।’
সানজিদা নামের এক ছাত্রী বলেন, ‘ছাত্র সমাজের হাত ধরে বাংলাদেশ ৫ই আগস্ট স্বাধীন হয়েছিল। তার আগে জুলাইয়ে আমাদের কোটা আন্দোলনের সময় আমাদের একটি দফা ছিল ক্যাম্পাস থেকে সকল প্রকার দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরে ক্যাম্পাসে নানা নাম দিয়ে দলীয় রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার পায়তারা চলছে।আমাদের দাবি স্পষ্ট। ক্যাম্পাস থেকে সকল প্রকার দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’
আরেক ছাত্র নাফিউর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে সকল প্রকার দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা আমার ন্যায় সঙ্গত দাবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের ন্যায্য দাবি আমরাই আদায় করে নেব। আমরা কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম আর হতে দেব না।’
তিনি উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা দুই দফা দাবি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে সকল প্রকার দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দিতে হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন