অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যে অস্ত্র বাইরে পাওয়া যায় না। যেটা সিভিলিয়ানের হাতে যাওয়ার কথা না। পুলিশ-র্যাবের জন্য যে অস্ত্র, সেটা সিভিলিয়ানের হাতে কিভাবে গেলো?
আজ সোমবার সকালে সিএমএইচ হাসপাতালে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আহত আনসার সদস্যদের বক্তব্য শুনে আমার কাছে আশ্চর্য লাগছে। পুলিশের ফায়ার (গুলি) কম লাগছে তাদের। সিভিলিয়ান পোশাকে ৭.৬২ রাইফেলের গুলি লেগেছে। ম্যাসিভ ইনভেস্টিগেশন দরকার। এরা কারা। কাদের হাতে ৭.৬২ রাইফেল গেলো। চিকিৎসকরা দেখালেন ৭.৬২ পুরো বুলেট। এটা খুবই উদ্বেগজনক!
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্যদের হাতে ৭.৬২ রাইফেল আছে সেটা মেনে নিলাম। কিন্তু সিভিল পোশাকে কারা আনসার গেটের মধ্যে গিয়ে গুলি করেছে। এটা খুবই মারাত্মক। তার মানে আমরা সিভিলিয়ানকেও আর্মড করেছি। যে অস্ত্র সিভিলিয়ানের হাতে যাওয়ার কথা না। যে অস্ত্র পুলিশ-র্যাবকে অথোরাইজড করা হয়েছিল সেই অস্ত্র কিভাবে বাইরে গেল। আমি এই ধরনের স্বৈরাচার ব্যবস্থা দেখি নাই।
তিনি বলেন, আহত অনেক আনসার সদস্যদের কারো হাত নেই, কারো পা নেই। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, তাদের চাকরিতেও পুনর্বহাল রাখতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, যাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র আছে তারা আগামী সাত দিনের মধ্যে স্থানীয় থানায় জমা দেবেন। যদি জমা না দেন তাহলে দু’টি অপরাধ গণ্য হবে। একটি অবৈধ অস্ত্র আরেকটি সরকারি নিষিদ্ধ অস্ত্র আপনাদের হাতে। আন্তর্জাতিক আদালতেও যাওয়া যেতে পারে। এই অস্ত্র তারা কোথায় পেল। যদি ভালো চান, তাহলে এই অস্ত্রগুলো ফেরত দিন। না হলে আমরা হান্টিং (খোঁজা) শুরু করব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন