১১ মাস সংসার করার পর শাকিল জানতে পারলেন ঘরের স্ত্রী আয়েশা বেগম কাগজ-কলমে তার স্ত্রী না। কাবিন অনুযায়ী, আয়েশার বড় বোন সুরাইয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে কবুল পড়েন আয়েশা। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে শাকিলকে ডিভোর্স দেন সুরাইয়া।
তবে সুরাইয়া আগে থেকেই বিবাহিত। তার সংসারে দুই সন্তানও রয়েছে। তিনিও জানতেন না, শাকিলের সঙ্গে কাবিননামায় তার বিয়ে হয়েছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় শাকিল আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
যদিও কাজীর ভুলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ আয়েশা-সুরাইয়ার পরিবার। তাদের দাবি, বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় কাজীর পরামর্শে সুরাইয়ার জন্মনিবন্ধন কার্ড দিয়ে কাবিননামা করা হয়।
কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, মেয়ের বাবা-মা যার কথা বলেছে, আমি তাকেই বিয়ে পড়াইছি।
তার নামেই কাবিননামা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর সব তছনছ হয়ে গেছে শাকিলের। আয়শাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর সংসার করবেন না। শাকিল হোসেন বলেন, আমি জানতাম না সুরাইয়ার সঙ্গে কাবিন হয়েছে। ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়ে দেখি আয়েশা ডিভোর্স দেয়নি, দিয়েছে সুরাইয়া।
তার অভিযোগ, কন্যপক্ষের পরিবার ইচ্ছা করেই তার সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। এতে তার সম্মানহানি হয়েছে। এ বিষয়ে আইনের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বলেন, মনে হচ্ছে বিষয়টি ভুলক্রমে ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন