জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে বলেছিলেন ‘যতদিন গাড়ির চাকা কালো থাকবে, ততদিন বর্ণবাদ থাকবে।’ চমকে দেওয়া সেই উক্তিটি একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানাভাবে বলা যায়। যেমন সরকারি গাড়ি যতদিন থাকবে, ততদিন তা অনিয়মের উৎস হিসেবে ব্যবহার হবে। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে। বাংলাদেশে হচ্ছেও তাই। গাড়ি নিয়ে অনিয়ম আর অনিয়ম। গাড়ি কিনতে, মেরামতে, জ্বালানিতে, বরাদ্দে, ফেরতে এমনকি ধ্বংস করতেও। সরকারি গাড়ি চারদিকে ঘোরে ঘোর লাগানো অনিয়মের মধ্যে।
করোনা মহামারীর সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি ব্যবহারের চিত্রের দিকে নজর দিলেও বিষয়টা স্পষ্ট হয়। মহামারীর শুরুতে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির মধ্যেও খাতা-কলমে গাড়ি চলেছে সমানে। নথিপত্র বলছে, সেগুলোতে জ্বালানি ভরা হয়েছে, বরাদ্দ অনুযায়ী মেরামত করা হয়েছে। এমনকি সেসব গাড়ি চালিয়ে ওভারটাইমের বিলও করেছেন চালকরা। তা আবার অনুমোদন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। প্রায় একই পরিস্থিতি ছিল সাধারণ ছুটির পর যখন হোম অফিস চালু হয় তখনো।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের পরিবহন পুলের গাড়িচালক সেলিম খন্দকার বিভীষিকাময় এপ্রিল মাসে প্রতিদিন ৯টা-৫টা ডিউটি করেছেন। নির্ধারিত ডিউটি শেষে প্রতিদিনই ওভারটাইমও করেছেন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা করে। ওই মাসে তিনি ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম করেছেন। তার ওভারটাইম বিল ছিল ২৪ হাজার ৮৫০ টাকা। মে মাসেও তার ওভারটাইম বিল ছিল ২৪ হাজার ৮৫০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, করোনা মহামারী দেশে হানা দেওয়ার আগের সময়গুলোতে তার ওভারটাইম কত ছিল? ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি শুরুর আগপর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। মার্চ মাসেও সেলিম খন্দকারের ওভারটাইম ছিল সেই ২৪ হাজার ৮৫০ টাকা। অর্থাৎ স্বাভাবিক সময়ে যা বিল করা হয়েছে, করোনা মহামারীর সাধারণ ছুটির সময়ও একই বিল করে টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থবির দেশে চালকরা শুধু গাড়িই চালাননি। খাতা-কলমে জ্বালানি কেনার হিসাবও আগের মতোই ছিল। ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ওই অমানিশার মতো ভয়ংকর এপ্রিলে জ্বালানি খাতে ব্যয় করেছিল ২ লাখ ১ হাজার ১৯৪ টাকা। এপ্রিলের পর আসা আতঙ্কের মে মাসে অফিসটি জ্বালানি কিনেছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৬৮৬ টাকার। এপ্রিল-মে’র পর সীমিত পরিসরে খুলেছিল সরকারি অফিস। যখন হোম অফিস চালু হয় সেই জুন মাসেও জ্বালানি খাতে সরকারি এ দপ্তরটির ব্যয় দেখানো হয় ২ লাখ ৭০ হাজার ৪১১ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, মহামারী শুরুর আগের মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে এ খাতে কত ব্যয় হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৩ টাকা করে জ্বালানি খাতে ব্যয় হয়েছিল। আর জানুয়ারিতে ব্যয় ছিল ২ লাখ ৭২ হাজার ১৫৫ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে জ্বালানি খাতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ ছিল ৬২ লাখ টাকা। ওই বছর তাদের ব্যয় হয়েছে ৩৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫ টাকা। সাধারণ ছুটির এপ্রিলে জ্বালানি খাতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ১৯৪ টাকা। পরের মাস মে’তেও সাধারণ ছুটি ছিল। সেই মে মাসে জ্বালানি বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৬৮৬ টাকা। জুন মাসে শুরু হয়েছিল হোম অফিস। সেই হোম অফিস শুরুর মাসেও ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৪১১ টাকা।
পরের অর্থবছরে ২০২০-২১ সালে বরাদ্দ ছিল ৪০ লাখ টাকা। ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ টাকা। জুলাই মাসে ব্যয় ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৪৩৯ টাকা। এই অর্থবছরে সর্বোচ্চ ব্যয় হয়েছে মার্চ মাসে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৩ টাকা।
গাড়ি মেরামত বাবদ ২০২০-২১ অর্থবছরে মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ব্যয় ছিল ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩২০ টাকা। পরের বছর ব্যয় হয় ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬৫ টাকা।
শুধু কি মাঠপ্রশাসনের গাড়িই চলেছে? স্থবির দেশে মন্ত্রী-সচিবদের গাড়ি কি বন্ধ ছিল? মোটেই তা নয়। করোনা সংক্রমণের ভয়ে গৃহবন্দিত্বের দুই মাসে ২৫০ ঘণ্টা করে ওভারটাইমের বিল তুলেছেন ভিআইপিদের গাড়িচালকরাও। ওভারটাইমের নথিপত্র বলছে, মন্ত্রী-সচিবদের গাড়ির মতো ঢাকার রাস্তা দাপিয়ে বেড়িয়েছে হুইপ-সংসদীয় কমিটিগুলোর সভাপতির গাড়িও। ‘জনদরদি’ এসব ভিআইপি এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে, তাদের বহনকারী গাড়িচালক দৈনিক আট ঘণ্টা গাড়ি চালিয়েও কাজ শেষ করতে পারেননি! তারা ভিআইপিদের নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে দৈনিক আরও ১১ ঘণ্টা করে গাড়ি চালিয়েছেন! এতে চালকদের দৈনিক কর্মঘণ্টা দাঁড়ায় ১৯ ঘণ্টা! স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা-উপনেতা, উপদেষ্টা, বিভিন্ন কমিশনের সদস্যরাও নথিপত্র অনুযায়ী গাড়ি নিয়ে রাস্তায় ছিলেন! বাদ যাননি মন্ত্রী-সচিবের পিএস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বা অতিরিক্ত সচিবরাও!
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহনপুলের ৩৫০ চালকের মধ্যে ৩২৮ জনই ২৫০ ঘণ্টা করে ওভারটাইম করেছেন। এমনটা শুধু এপ্রিলে নয়, মে ও জুন মাসেও ঘটেছে। অথচ ওই সময় রাস্তায় যানবাহন এত বেশি কমে গিয়েছিল যে, দিনে-দুপুরেও রাস্তায় নামলে গা ছমছম করত। আমলারা তো বটেই, রাজনীতিবিদরাও ঘরে স্বেচ্ছাবন্দিত্বে ছিলেন। ঘরবন্দি ছিলেন তাদের গাড়িচালকরাও।
দৈনিক আট ঘণ্টা হিসাবে দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি বাদ দিয়ে মাসে মোট কর্মঘণ্টা হয় ১৭৬ ঘণ্টা। অথচ প্রতিটি ভিআইপির গাড়ির চালক ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে ২৫০ ঘণ্টা করে ওভারটাইমের বিল তুলেছেন।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, চালকরা ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের ওভারটাইম বিল জমা দেওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা বৈঠক করেন। ওভারটাইম না দেওয়া হলে এর পরিণতি মন্দ হতে পারে এমনটা ভেবেই শেষ পর্যন্ত ওভারটাইমের বিল পরিশোধ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে টিআইবির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গাড়ি, জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যা হয়েছে তা জাতির সঙ্গে প্রতারণা। যারা অনুমোদন দেন তারাও এ প্রতারণার সঙ্গে সমানভাবে জড়িত। মহামারীর সময়ে ২৫০ ঘণ্টার ওভারটাইম, জ্বালানি পোড়ানো এগুলো অবাস্তব বিষয়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দরকার।’
৬৬ দিন সাধারণ ছুটির সময় কোন চালকরা ওভারটাইম ভাতা তুলেছেন আর তারা কাদের গাড়ি চালিয়েছেন, তা জানতে জোর অনুসন্ধান চালানো হয়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর পিএসের গাড়ি চালিয়ে মো. রুহুল আমিন ২৪ হাজার ৮৫০ টাকা ওভারটাইম বিল তুলেছেন। ওই সময়ের জাতীয় সংসদের হুইপের গাড়ি চালিয়ে একই পরিমাণ ওভারটাইমের বিল তুলেছেন মো. ইউসুফ। শিল্পমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছিলেন মো. গোলাম মোস্তফা। এসব গাড়িচালকরা প্রত্যেকেই ২৪ হাজার ৮৫০ টাকা করে ওভারটাইমের বিল তুলেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন খাজা মো. মহিউদ্দীন। আইন সচিবের গাড়ি চালিয়েছেন সুজিত চন্দ্র ঘোষ। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পিএসের গাড়ি চালিয়েছেন মো. সুরুজ্জামান। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. আবদুর রহমান ও মো. বজলুর রহমান। শিক্ষা উপমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন জলিলুর রহমান। জাতীয় সংসদের উপনেতার গাড়ি চালিয়েছেন মো. ছিদ্দিকুর রহমান। পরিকল্পনামন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. আ. হান্নান। বাণিজ্যমন্ত্রীর পিএসের গাড়ি চালিয়েছেন মো. ইউসুফ আলী। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. শহীদুল ইসলাম আকন্দ। বিরোধীদলীয় উপনেতার গাড়ি চালিয়েছেন গোলাম মোস্তফা মঞ্জু। পরিকল্পনা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিবের গাড়ি চালিয়েছেন মো. জাফর ইকবাল। সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. আ. রশিদ শেখ। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর পিএসের গাড়ি চালিয়েছেন ইসমাইল হোসেন সারোয়ার। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. আলী আকবর। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. আবুল হাসেম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর পিএসের গাড়ি চালিয়েছেন মো. মনসুর মিয়া। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পিএসের গাড়ি চালিয়েছেন হাজি আ. মমিন মুন্সি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. নুর করিম। প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. স্বপন মিয়া, স্পিকারের গাড়ি চালিয়েছেন শিবু রঞ্জন রায়। রেলপথমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. আশিক রহমান। চিফ হুইপের গাড়ি চালিয়েছেন মো. আ. কুদ্দুছ। ট্যারিফ কমিশন চেয়ারম্যানের গাড়ি চালিয়েছেন মো. বাকীউল আলম। বন ও পরিবেশমন্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন মো. ফজলুল করিম। হুইপের পিএসের গাড়ি চালিয়েছেন মো. আরশাদ উল্লাহ। তারা সবাই মাসে ২৫০ ঘণ্টা করে ওভারটাইম পেয়েছিলেন।
সরকারি পরিবহনপুলের ৩৫০ চালকের মধ্যে এপ্রিল মাসে ওভারটাইম করেছেন ৩২৮ জন। সুযোগ থাকার পরও ওভারটাইমের বিল নেননি ১৮ জন গাড়িচালক। ওভারটাইমের বিল না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে এই ১৮ জনের মধ্যে একজন চালক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমার বিবেক সাড়া দেয়নি। এমনিতেই ঘরে বসে বেতন ও অন্যান্য ভাতা নিয়েছি। এটা নিতেই হবে। কারণ বেতন-ভাতা না নিলে আমরা খাব কী? কিন্তু ওভারটাইমের বিল নেব কীভাবে? আমরা তো ওভারটাইম করিনি। তাহলে এই বিল কীসের?’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু গাড়িচালকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ সরকার উপসচিব থেকে ওপরের সব কর্মকর্তাকে গাড়ি কেনার জন্য বিনা সুদে ঋণ দিয়েছে। এসব গাড়ির জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৫০ হাজার করে টাকা দিয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসে যদি সবকিছু বন্ধই থাকে, তাহলে তাদের গাড়িও চলেনি। সরকার কি পারবে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য যে জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ বিল নিয়েছেন, সেই টাকা ফেরত নিতে? যদি সেটা না পারে, তাহলে ড্রাইভারদের টাকায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির সময় যানবাহন অধিদপ্তরের গাড়িচালকরা সরকারি কোষাগার থেকে ওভারটাইম তুলেছেন। এ নিয়ে মহামারীর সময়ই হাইকোর্টে রিট করে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন। হাইকোর্ট বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষ করে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবীর পল্লব দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো সময় হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রায় দেবেন। আমরা সেই রায়ের অপেক্ষা করছি।’
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘অনিয়মের যেসব অভিযোগ ছিল, তদন্তে তা প্রমাণ হয়েছে। ওভারটাইম যারা করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যারা ওভারটাইম অনুমোদন করেছেন তাদেরও ডাকা হয়েছিল। গাড়িচালকরা প্রয়োজনে মাসে সর্বোচ্চ ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইাম করতে পারেন। সবসময়ই সর্বোচ্চ পরিমাণ ওভারটাইম হবে, বিষয়টি এমন নয়। দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে অনিয়ম চলছিল। স্বাভাবিক সময় তা ধরা যায়নি।’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি যেন সেই কৃষাণী ‘সাতকলা’ গল্পের মতো। কৃষককে শায়েস্তা করার জন্য তার স্ত্রী শুকনো জমিতে বড় শোল মাছ পুঁতে রাখেন। পরদিন ওই জমিতে চাষ করতে গিয়ে মাছটি পান কৃষক। দৌড়ে তা বাড়ি এনে স্ত্রীকে দেন রান্না করতে। দুপুরে খেতে বসলে কৃষককে মরিচ, লবণ দিয়ে ভাত দেন কৃষাণী। কৃষক মাছের কথা বললে কৃষাণীর জবাব মাটি খুঁড়ে কি আর মাছ পাওয়া যায়? এই আমার এককলা, আরও ছয়কলা বাকি...
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন