ভারত সরকার ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ করে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার। তবে মেডিকেল ভিসার যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। বিগত কয়েক মাস আগেও এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত ছিল প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ জন পাসপোর্ট যাত্রীর।
বর্তমানে টুরিস্ট ভিসা বন্ধ হওয়ার কারণে তা কমে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশে পারাপার হচ্ছে। এতে করে কমেছে সরকারের রাজস্ব।
হিলি ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ভারত সরকার ভিসা বন্ধ করাতে বিপাকে পড়েছেন রোগীসহ নানা পেশার মানুষ। বর্তমানে আগের থাকা ভিসায় যাতায়াত করছে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। তবে যাত্রী কম থাকায় দ্রুত পাসপোর্ট অনলাইনে এন্টিসহ সকল কাজ হওয়াতে খুশি যাত্রীরা। তবে ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে হওয়াতে বিপাকে পড়তে পারেন রোগীরা এমনটা আশঙ্কা করছেন তারা। দ্রুত সকল সমস্যা কাটিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নতুন করে ভিসার ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশ সরকার এমনটাই চাওয়া সকলের।
হিলি ইমিগ্রেশন ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে। কি কারণে কমেছে তা আমার জানা নেই। এই পথ দিয়ে সকল ভিসায় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছেন। আমরা যাত্রীদের সকল প্রকার সহযোগিতা করে দুই দেশে পারাপারের সুযোগ করে দিচ্ছি।
এদিকে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার অনেকটাই কমেছে। হিলি কাস্টমসের পক্ষ থেকে প্রতিটি পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন