বাংলাদেশি পর্বতারোহীর হিমালয়ের থরং শিখর বিজয়
তাপস ও মুন্নীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, ভারত থেকে শুরু করে আমাদের এখানকার কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক কেন এ ধরনের (সাম্প্রদায়িক ) সমস্যার সৃষ্টি করছে? সারা বিশ্বে বাংলাদেশের বদনাম করছে, মানহানি করছে?
বিএনপির এই নেতা আরও বলেছেন, তাদের একটাই উদ্দেশ্য- এখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা। এ সরকার যাতে ব্যর্থ হয়, তার জন্য যত রকমের চেষ্টা, তা তারা করবে। এজন্য সরকারকে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে '৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা ওই সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশে কি হিন্দু সম্প্রদায় তিন মাস ধরে বসবাস করে, নাকি স্বাধীনতার পর থেকে অত্যন্ত সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে তারা বসবাস করে? ওই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বলতে কিছু নেই। এ দেশের নাগরিকের পরিচয় বাংলাদেশি। অতএব সবাই বাংলাদেশি। কেন এই ভেদাভেদ? ১৮ কোটি বাংলাদেশি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো দেশই ষড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না।
তিনি বলেন, সরকার যে সংস্কারগুলো করতে চাইছে, সেগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। জনগণ ঠিক করবে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে। জনগণকে হেয় করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ ঠিক করবে তাদের সরকার কে হবে। তারা সরকারকে রক্ষা করতে পারে, সরকারকে বিদায় করতে পারে, এটা এ দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে। এই সরকারকে আমরা সমর্থন করেছি। এজন্য সমর্থন করেছি যে, এই সরকার একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় হবে।
সংস্কার প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সবচেয়ে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরির জন্য। এ সম্পর্কিত সংস্কার করা এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই সেদিন আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করেছিলাম। শেখ হাসিনার আমলে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ হয়। অবশেষে ফয়সালা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই রাজপথে হয়েছে। গণতন্ত্র এসেছে। এই গণতন্ত্র ধরে রাখতে হবে। আজকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। এই ঐক্যের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
এ সময় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন