বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন টবি ক্যাডম্যান। তিনি লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে টবি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘এটি ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত ও সম্মানিত। আমাকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
টবি ক্যাডম্যানের ল’ ফার্ম গার্নিকা ৩৭–এর এক্স হ্যান্ডল থেকে তিনটি পোস্টে জানানো হয়, ক্যাডম্যানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার ভূমিকা হবে, ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়া।
এটি উল্লেখযোগ্য যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি মূলত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালীন সময়ে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন টবি ক্যাডম্যান, তবে তখন তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচারপ্রক্রিয়ার পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এসেছিলেন টবি ক্যাডম্যান। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। বৈঠকে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে আলোচনা হয় এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনে একটি দেশীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
টবি ক্যাডম্যানের মতে, ‘বাংলাদেশকে দ্রুত সত্য, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা সমর্থিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, যারা অসদুপায়ে অর্জিত সম্পদ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের প্রত্যর্পণের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন