খুলনায় স্বর্ণ পাচারের খবর পেয়ে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছিল পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে বাসের এক যাত্রীকে আটক করা হয়। কিন্তু তার কাছে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করে তার পেটে আটটি স্বর্ণের বারের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে থানায় নিয়ে তার পেট থেকে স্বর্ণের বারগুলো বের করা হয়।
বৃহস্পতিবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। ওই বাসযাত্রীর নাম আব্দুল আওয়াল (৩৬)। তার বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ভদরপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে সাতক্ষীরায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন। পথিমধ্যে আটক করেছিল পুলিশ।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে স্বর্ণের একটি চালান ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে যাবে। তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের লবণচরা থানা এলাকার সাচিবুনিয়া মোড়ে তল্লাশিচৌকি বসায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী একটি পরিবহন থেকে আব্দুল আউয়ালকে আটক করা হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘আউয়ালের দেহ তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে খুলনা নগরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এক্স-রে করালে পেটের মধ্যে স্বর্ণের বার দেখা যায়। থানায় নেওয়ার পর তিনি আটটি স্বর্ণের বার বের করে দেন। উদ্ধারকৃত আটটি বারের ওজন এক কেজি ৩৯ গ্রাম। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন