Image description

ডিজিএফআইয়ে লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হকের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বা চার্টার অব ডিউটি না থাকলেও তিনি সংস্থাটির হয়ে অনেকটা ভাড়াটে খুনি বা মার্সেনারি’র মতো কাজ করতেন বলে মন্তব্য করেছেন শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক ছিলেন সবচেয়ে ভয়ংকর। ডিজিএফআইয়ে তাঁর কোনো সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বা চার্টার অব ডিউটি না থাকলেও তিনি সংস্থাটির হয়ে অনেকটা ভাড়াটে খুনি বা মার্সেনারি’র মতো কাজ করতেন। গুমের শিকার ব্যক্তিদের তুলে আনা থেকে শুরু করে নির্যাতন এবং হত্যা শেষে লাশ গুম বা ডিসপোজাল করার মতো নৃশংস কাজগুলো মূলত তিনিই করতেন।’

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম-বিষয়ক মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

আদালতে প্রসিকিউশন জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে মখসুরুল হক পলাতক রয়েছেন।

শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘মখসুরুলের ব্যাপারে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ডিজিএফআইয়ে তার কোনো সুনির্দিষ্ট দাপ্তরিক দায়িত্ব ছিল না। অথচ অনেকটা ফ্রিল্যান্সারের মতো তিনি নিজেকে বিভিন্ন অপারেশনে সম্পৃক্ত করতেন। মানুষকে তুলে আনা, নির্যাতন করা এবং হত্যা করার মতো কাজগুলো তিনি করতেন বলেই তিনি একজন কুখ্যাত ব্যক্তি।’

তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ডিজিএফআই পরিচালিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে ২৬ জনকে গুম, আটকে রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীসহ অনেক ভুক্তভোগীকে বছরের পর বছর এই গোপন বন্দিশালায় অমানবিক পরিবেশে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।