জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ কিংবা খুব ভালো কোনটাই বলা যাচ্ছে না। তবে চিকিৎসকরা যে চিকিৎসা তাকে দিচ্ছেন তিনি সেটা নিতে পারছেন, চিকিৎসকদের ভাষায় উনি মেনটেইন করছেন। আবার কেউ ডাকলে তিনি সাড়াও দিচ্ছেন।
গত কয়েকদিনের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশ-বিদেশে কোটি কোটি মানুষ। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা জাতি অপেক্ষায় রয়েছে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সুখবরের অপেক্ষায়। সকলেই প্রত্যাশা করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আবারও সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের মাঝে ফিরবেন এবং দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা রাখবেন। এজন্য বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় প্রতিদিনই সারাদেশে মিলাদ-মাহফিল, দোয়া-মোনাজাত, কোরআনখানি, সদকা, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি নেতাকর্মীসহ বেগম জিয়ার ভক্ত-অনুরাগীরা। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক বিরামহীনভাবে মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ করে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে, চায়ের আড্ডায় এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বেগম খালেদা জিয়া। সকলেই উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠায় আছেন তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে। সবাই দোয়া করছেন যেন দ্রুত বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠেন। অনেকেই আবার দেশের এই ক্রান্তিকালীন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন, জানাচ্ছেন দেশ, দেশের মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা। কেউ কেউ মানত করছেন তার সুস্থতার জন্যও।
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন- যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। অবস্থা দেখে প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে- বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাইলে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত সব সংস্থাকে অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তাছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণার একদিন পর গতকাল তার নিরাপত্তায় এভারকেয়ার হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।
তবে দলের চেয়ারপারসন প্রবীণ রাজনীতিক খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় বিএনপির সামগ্রিক কার্যক্রম থমকে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক কার্যক্রমে মনোযোগ দিতে পারছেন না। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের চিকিৎসা, নির্বাচনী কার্যক্রম ও প্রচারণার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেদিন মাঝ রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অব্যাহত রয়েছে। তবে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গুজবে কান না দেয়া এবং বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। চিকিৎসকরা ডাক দিলে কিছুটা সাড়া দেয়ার চেষ্টা করছেন। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার আগের চেয়ে ভালো আসছে। চীন থেকে আরেকটি টিম আসছে। তারা দুপুরেই কাজ শুরু করে দিবেন। ইতোমধ্যে চীনের একটি চিকিৎসক দল এসেছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
ডাক্তারদের চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া : গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে অসুস্থ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সাংবাদিকদের অবহিত করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেই চিকিৎসা উনি (খালেদা জিয়া) গ্রহণ করতে পারছেন। অথবা আমরা যদি বলি উনি মেনটেইন করছেন। আমরা এই সংকটময় মুহূর্তে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যাতে দেশবাসীর দোয়া, সারা পৃথিবীর অনেক মানুষের তার প্রতি ভালোবাসা এবং দোয়ার কারণে হয়তো বা তিনি এই যাত্রায় সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি।
ডা. জাহিদ বলেন, আমরা সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান না দেয়ার জন্য বিনীতভাবে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি। আমাদের দল কিভাবে আপনাদেরকে ইনফরমেশন দিবে সেটিও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার স্বাস্থ্য ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে আপনাদেরকে মাঝে মাঝে ব্রিফ করবেন। আমি ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন দলের একজন কর্মী, আমি আপনাদেরকে উনার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফ করব। এর বাইরে আপনারা অন্য কারো ব্রিফিংয়ের প্রতি কোনো ধরনের কান না দেয়ার জন্য দল আপনাদেরকে অনুরোধ করেছে। আপনারা যদি এটা মানেন, ফলো করেন তাহলে আর কোন ভুল ছড়ানোর সুযোগ থাকে না।
আবেগপ্রবণ কণ্ঠে তিনি বলেন, আপনারা ধৈর্য ধরুন দীর্ঘ ছয় বছর যাবৎ আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা এই যাত্রায়ও আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী কামনা করছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে দেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতীক সেটি আজকে প্রমাণিত, সেই লক্ষ্যেই আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করেছেন ধৈর্য ধারণ করার জন্য এবং তিনি সার্বক্ষণিক বিরামহীনভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া চিকিৎসাকার্য সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ করছি এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকল ধর্মের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
চিকিৎসায় যুক্ত দেশি-বিদেশি ডাক্তার : প্রফেসর জাহিদ হোসেন বলেন, আজকেও যুক্তরাজ্য থেকে খালেদা জিয়াকে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞরা আসবেন এবং উনারা দেখবেন। দেখার পরবর্তীতে উনাকে যদি ট্রান্সফারেবল হয়, আমাদের যদি ট্রান্সফার করার প্রয়োজন পড়ে, উনার মেডিকেল বোর্ড মনে করে তখনই উনাকে যথাযথ সময়ে উনাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের সকল প্রস্তুতি আছে। কিন্তু সর্বোচ্চটা মনে রাখতে হবে যে, রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং সর্বোপরি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের নেই।
ডা. জাহিদ আরও বলেন, দলের মহাসচিব এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সারা দেশের মানুষের ন্যায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সার্বক্ষণিকভাবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে যথাযথ সহযোগিতা, এই হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স এবং সকল কর্তৃপক্ষ দিয়ে যাচ্ছেন এবং আমরা সবার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ অর্থাৎ আমেরিকা, ইউকে, পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না, কাতার, সউদী আরব, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া বলেন আমাদের অনেক সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান চিকিৎসার ব্যাপারে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৩ নভেম্বর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবায় কাজ করছেন। এই মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন- প্রফেসর ডা. এফএম সিদ্দিকী, প্রফেসর ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. একিউএম মহসিন, প্রফেসর ডা. শামসুল আরেফিন, প্রফেসর ডা. জিয়াউল হক, প্রফেসর ডা. মাসুম কামাল, প্রফেসর ডা. এজেডএম সালেহ, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর সাইফুল ইসলাম এবং ডাক্তার জাফর ইকবাল। বাংলাদেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রফেসর ডা. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ডা. রফিকউদ্দিন আহমেদ এবং প্রফেসর জন হ্যামিল্টন, প্রফেসর ডা. হামিদ রব, যুক্তরাজ্য থেকে প্রফেসর জন পেট্রিক, প্রফেসর জেনিফার ক্রস এবং খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানসহ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যৌথভাবে গঠিত মেডিকেল টিম কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন।
বিদেশ নিলে সহযোগিতা করবে সরকার : সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি গতকাল সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। যদি চিকিৎসকেরা সেটা মনে করেন এবং দলের সিদ্ধান্ত হয়, সে অনুযায়ী তা করা হবে হয়তো। তৌহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসক ও দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল, তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা : এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময়ে সহযোগিতা ও শুভকামনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই জিয়া পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করে তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।
দোয়া মাহফিল অব্যাহত : এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ অন্যরা অংশ নেন। খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল করেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। গতকাল মঙ্গলবার বাদ যোহর বাউবির গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন খতম শেষে দোয়া অনুষ্ঠানে বাউবির ভিসি প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রাম, জেল-জুলুম ও অসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন। এসময় বাউবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর মো. আনিছুর রহমান, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্মরত সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ দোয়া মাহফিলে শরিক হন। বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন বাউবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আবুল কাশেম। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দোয়া ও মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান লিপকনসহ নেতৃবৃন্দ। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে কলেজ শাখা ছাত্রদল। এতে উপস্থিত ছিলেন- কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. সাকি মো. জাকিউল আলম, প্রফেসর ডা. আউনুল ইসলাম খান, প্রফেসর ডা. বোরহান উদ্দিন খান, প্রফেসর ডা. মো. নূরুজ্জামান খসরু, সহকারী অধ্যাপক ডা. মির্জা গোলাম সরোয়ার, ডা. আব্দুর রহমান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কলেজ শাখার সভাপতি ডা. শেখ তাওহীদুল ইসলাম সৈকত, সাধারণ সম্পাদক ডা. ইমরান হোসেন।