Image description

পটুয়াখালীর বাউফলে জুলাই গণহত্যা মামলার এক আসামিকে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদ হাসান। একই সময় মদনপুরা ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ইউএনও আমিনুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশ জারি করা হয়। ২৮ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ইউএনও তার বাসভবনে মদনপুরা ইউনিয়নের সব মেম্বারকে ডেকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে ১নং ওয়ার্ডের লিয়াকত হোসেন রাজিবের নাম ঘোষণা করেন। লিয়াকত হোসেন রাজিব রাজধানীর মিরপুর থানায় জুলাই গণহত্যা মামলার আসামি।

জুলাই গণহত্যা মামলার একজন আসামিকে মদনপুরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকালে পৌরশহরের কাগুজিরপুল এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন স্থানীয়রা। 

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মদনপুরা ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ইউএনও আমিনুল একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি রাতের আঁধারে টাকার বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছেন। 

মদনপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির খান বলেন, জুলাই গণহত্যার এক আসামিকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ করার বিষয়টি জনগণ মেনে নেবে না। 

তিনি বলেন, বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হবে। 

অভিযুক্ত মেম্বার লিয়াকত হোসেন রাজীব বলেন, শুক্রবার সব মেম্বারের উপস্থিতিতে ইউএনও আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করে রেজুলেশন তৈরি করেছেন। আমাকে জুলাই গণহত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে, তা আমি নিজেই জানি না।  

এ বিষয়ে জানতে ইউএনও মো. আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।