Image description

বিড়ালে কবুতরের বাচ্চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন।  

 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে নাসির উদ্দিন (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়। 

এর আগে রোববার দুপুরে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার রাতে নিহতের ভাই আকতার হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে মো. আকতার হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী আসাদুল্লাহর পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার দুপুরে আসাদুল্লাহর পালিত বিড়াল আকতারের একটি কবুতরের বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে ওই দিনই ভিটিকান্দি গ্রামে দুইপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকতার হোসেনের বড় ভাই কৃষক নাসির উদ্দিনসহ তার বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন।  এ সময় আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে ছেলে আবির হোসেন, অভি মিয়া, ভাতিজা রাসেল মিয়া, স্ত্রী জুলেখা আক্তার বেবিসহ ২ থেকে ৩ জন গালিগালাজ করে মারমুখী হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে ধারালো ছোরা ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আকতার হোসেন, তার স্ত্রী সেলিনা, চাচি রওশন আরা, বড় ভাই কৃষক নাসিরউদ্দিন ও নাসিরউদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম আহত হন। 

এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে নাসিরউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ছোট ভাই মো. আলাউদ্দিন মিয়া জানান, আকতার হোসেন কবুতর লালন পালন করেন। আসাদুল্লাহর পালিত বিড়াল তাদের কবুতরের বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে তার ভাই আসাদুল্লাহকে বিষয়টি অবগত করলে তারা ঝগড়ায় জড়ায়। এ সময় তারা এলোপাতাড়ি হামলা করে তাদের ৫ জনকে আহত করে। 

এদিকে অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ ও তার পরিবার বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপনে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, হামলার ঘটনায় গত রোববার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু হামলার ঘটনায় আহত ব্যক্তির চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে। ওই অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।