নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনিয়া সরকার নামে এক বাউল শিল্পীর স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মেহেদীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর থানা হাজতে নেওয়ার সময় সোনিয়াকে দেখে মেহেদী হুংকার দিয়ে বলেন- ‘তুমি টেনশন করিও না, জেল থেকে বের হয়ে তোমাকে বিয়ে করব’। এ কথা শুনে সোনিয়া তাকে গালি দিয়ে বলেন- ‘আমি চাই, তোর যেন ফাঁসি হয়’।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফতুল্লা মডেল থানা হাজতের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার সকালে ফতুল্লার নরসিংপুর থেকে সুমন খলিফার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার রাতেই নরসিংপুর কাউয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি, চাপাতি ও ছুরি ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে মেহেদীর সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।
নিহত সুমন খলিফা (৩৫) বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার মন্টু খলিফার ছেলে। সুমন স্ত্রী সোনিয়া সরকারকে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ মৌচাক এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন।
বাউল শিল্পী সোহেল সরকার বলেন, রোববার ছিল বাংলাদেশ বাউল শিল্পী ফাউন্ডেশনের বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে আমাদের পঞ্চবটি বাউল ক্লাবে ওই রাতে দোয়া মাহফিল শেষে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। আমাদের আমন্ত্রণে সোনিয়া ও তার স্বামী সুমন দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। এরপর সোনিয়াকে ক্লাবে রেখে তার স্বামী সুমন বের হয়ে যান। পরদিন সকালে সুমনের লাশ পাওয়া যায়।