রাজশাহী মহানগরীর শিপাইপাড়া এলাকায় দিঘাপতিয়ার জমিদার পরিবারে এক পুরনো বাড়ি ভাঙার সময় একটি ‘সুড়ঙ্গের’ সন্ধান মিলেছে। বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন দিঘাপতিয়ার রাজা হেমেন্দ্র কুমার রায়ের ছেলে সন্দীপ কুমার রায়। স্থাপনাটির দুই পাশে দুটি একতলা ভবন, পেছনে একটি দোতলা ভবন এবং সামনে একটি ফুলের গাছ রয়েছে।
সরকারি কাগজে এটি এখন অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত।
বোয়ালিয়া ভূমি অফিস সূত্র জানায়, দরগাপাড়া মৌজার ৫২৪ খতিয়ানের এই জমির দাগ নম্বর ৪৭। তবে বাড়িটি শিপাইপাড়া এলাকায় অবস্থিত। ১৯৮১ সালে এটি অর্পিত সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়, যদিও সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৪ সালের পর কোনো সম্পত্তি অর্পিত ঘোষণা করতে নিষেধ করেছিল।
স্থানীয় ইতিহাসবিদরা বলছেন, বাড়িটির প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য যাচাই না করে ভাঙার জন্য নিলামে তোলা হয়েছে।
হেরিটেজ রাজশাহীর প্রতিষ্ঠাতা মাহাবুব সিদ্দিকী বলেন, রাজশাহীর পরতে পরতে দিঘাপতিয়ার জমিদারদের অবদান আছে। এমন স্থাপনা ভাঙার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহিনুল ইসলাম বলেন, বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুড়ঙ্গের বিষয়ে সহকারী কমিশনারকে পাঠানো হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেলে তা রক্ষা করা হবে।