ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) দেশব্যাপী পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা বেশ উচ্চমাত্রার। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশ বলেছেন, ড. ইউনূস ভালো কাজ করছেন। আর ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট।
আইআরআই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র পরিচালক জোহান্না কাও বলেন, "স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে মানুষ অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছেন। তার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের এই আস্থা স্থিতিশীলতা, জবাবদিহিতা ও সংস্কারের ব্যাপক প্রত্যাশা তুলে ধরে।"
জরিপে আরও দেখা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও উল্লেখযোগ্য। ৬৬ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন তারা "খুবই আগ্রহী", আর ২৩ শতাংশ বলেছেন তারা "কিছুটা আগ্রহী"। এছাড়া জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ মনে করেন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জোহান্না কাও মন্তব্য করেন, "বাংলাদেশিদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রমাণ করে সংস্কার প্রক্রিয়া ধরে রাখা এবং নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
আইআরআই নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে জনমত জরিপ পরিচালনা করে। মুলত উন্নয়নশীল দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে দেশের নীতিমালা, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সংস্থাটি দায়িত্বশীল ও ইস্যুভিত্তিক রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কাজ করছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে সুশীল সমাজের সাথেও একজোট হয়ে কাজ করে সংস্থাটি।
এদিকে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানের ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট প্রকাশিত আরেক জরিপে দেখা যায়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের কার্যক্রমের প্রতিও ৭০ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছিলেন। ওয়াশিংটনভিত্তিক আইআরআই এই জরিপটি চালায় ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এতে দেশের ৬৪ জেলায় ৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জরিপের তত্ত্বাবধায়ক ছিল রেডস্টোন সায়েন্টিফিক।
অথচ আওয়ামী লীগ সরকার তখন২০১৪ ও ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচন করে ক্ষমতায় ছিলো। এছাড়া ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড, ভিন্নমত দমন সহ বিরোধী শক্তির উপর নানা অত্যাচার করে তৎকালীন আওয়ামী সরকার। আগের সব অন্যায় ও অত্যাচার ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন ও শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন সামনে আসছে।