ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী সাবিকুন নাহার ২১ অক্টোবর বিচ্ছেদ করেন। কিন্তু বিচ্ছেদের মাত্র এক মাসের মধ্যেই তারা আবারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন সাবিকুন নাহার নিজেই।
পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাবিকুন নাহার জানিয়েছেন, দু’জনেই নতুন করে সম্পর্ককে শুরু করতে পেরে খুশি এবং ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক জীবনযাপনের আশা করছেন তারা।
এর আগে ২১ অক্টোবর নিজেদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টির সমাধান হওয়ার কথা জানান দুজন। ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানকে খোলা ওই তালাক দেন সাবিকুন নাহার। সে সময় স্ট্যাটাসে লেখা হয়, ‘উস্তাদ আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সাবিকুন নাহারের পারিবারিক বিষয়গুলো দেশের বরেণ্য মুরুব্বি ওলামায়ে কেরামদের মাশওয়ারার ভিত্তিতে শারিয়া মোতাবেক সুন্দরভাবে সমাধান ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’
আদনান লিখেছেন— ১. ‘মুরুব্বি ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে মুহতারাম আবু ত্বহা আদনান তার প্রাক্তন স্ত্রীকে খুলা তালাকের প্রস্তাবনা দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। এমতাবস্থায় তাদের মধ্যে বর্তমান কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক অবশিষ্ট নেই।’
২. ‘বিয়ের সম্পূর্ণ মোহরআনা পূর্বেই পরিশোধ করা ছিল। এ বিষয়ে কোনোরকম আলোচনা ও দেনা-পাওনা বাকি নেই আলহামদুলিল্লাহ।’
৩. ‘তিনি (সাবিকুন নাহার) মিরপুর ঢাকাস্থ Taw Haa Zin Nurain Islamic Center এর উন্নয়ন প্রকল্পে গত বছর প্রায় ৫ ভরি এবং অন্যান্য কিছু খাতে (তার ভাষ্যমতে) আরো প্রায় তিন ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ প্রতিষ্ঠানকে ফেরতযোগ্য ধার হিসেবে প্রদান করেছিলেন, যা বিগত মাজলিসে তিনি তার প্রাক্তন স্বামী আবু ত্বহা আদনান সাহেবের কাছে দাবি করেন।’ ওলামায়ে মাজলিস এগুলো পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং উভয় পক্ষই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। এই অর্থ তার শারঈ হক্ব তাই প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পরিশোধে সচেষ্ট আছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮ ভরি স্বর্ণের বিনিময়ে বিবাহ বিচ্ছেদের যে গুজব রটানো হয়েছে তা সত্য নয়। ’ ‘উস্তাদ আবু ত্বহা আদনান ও তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উক্ত গুজব প্রচারণার কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। অনুগ্রহ করে আপনারা কেউ কোনো প্রকার গুজবে প্রভাবিত হবেন না এবং কারো প্রতি কোনো মিথ্যা অভিযোগ বা অপবাদ আরোপ করবেন না।’
৪. ‘বাচ্চাদের বিষয়ে মুরব্বিদের মাজলিসে শরিয়াহ সম্মতভাবে ফয়সালা প্রদান করা হয়েছে, উভয় পক্ষই মাজলিসের উক্ত ফয়সালা সর্বসম্মতিক্রমে মেনে নিয়েছেন।’