২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদকে সামনে রেখে কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর-৪ আসনে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক দল তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। ওই প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন গণসংযোগে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিজয়ের ফসল ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা এনসিপি।
অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এবি পার্টি। এরই মধ্যে মনোনীত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্নভাবে গণসংযোগ শুরু করেছেন।
বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী হলেন এমদাদুল হক ভরসা। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কাউনিয়া বিএনপির সভাপতি। এই আসনের বিভিন্ন হাট-বাজার, গ্রামাঞ্চলে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জামায়াতের প্রার্থী এটিএম আজম খান রংপুর মহানগরের জামায়াতের আমির, মেকুড়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আগে থেকেই মাঠে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা তাদের রাজনৈতিক দল এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। গত ১ জুলাই রংপুরের কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার পথসভায়’ রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সেই থেকে তিনি প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে গত সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি তুলে ধরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি সময়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ আসনের জাতীয় সংসদ প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন। সেই থেকে তিনি বিভিন্ন এলাকায় তার ছবি সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা জাহিদ হোসেন। তিনি রংপুর জেলার তার দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, ফেস্টুন ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রাথীঁ আবু শাহমা। তিনি পীরগাছা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। দল তাকে মনোনয়ন দিলেও তাকে তেমন প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী রংপুর জেলার নবনির্বাচিত সভাপতি সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী। এ আসন থেকে কংগ্রেসের আর কোনো প্রার্থী নেই বলে দাবি করেন তিনি। সেই নিরিখে তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এ আসনে।
এবি পার্টি থেকে চূড়ান্ত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক নাদরান তালহা আলহাদী (রানা) সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে পোস্টার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি জানান, আমি ছাড়া এ আসন থেকে আর কেউ মনোনয়ন প্রত্যাশী নেই।
এছাড়াও সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজনকে প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে। তারা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট নুরু-নবী বুলবুল, প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন ও বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহ আলম বাশার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে তাদের।