Sabina Ahmed (সাবিনা আহমেদ)
ভারতীয় মিডিয়া, যেমন News18, MEMRI, India Tribune, Firstpost, থেকে অভিযোগ উঠেছে যে তুর্কির MIT বাংলাদেশে ইসলামিস্ট গ্রুপগুলোকে, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী, আর্থিক এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছে, তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে সক্রিয়। ভারতীয় মিডিয়ায় এসব খবর প্রথম রিপোর্ট করে। পরে বাংলাদেশের কিছু লোক সেগুলোকে সত্য ধরে নিয়ে পোস্ট করা শুরু করে।
বাংলাদেশের মানুষ জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে ভারতীয় মিডিয়ার ফাঁদে বারবার পা দেয়।
বাংলাদেশ যত তুরস্কের সাথে শিল্প আর ডিফেন্স বাণিজ্যে অগ্রসর হবে, ভারত থেকে তত দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যাচার আর ডিসইনফর্মেশন ছড়াবে।
বাংলাদেশ পূর্বের মতো ভারতের উপর ডিপেন্ডেন্স কমানোর চেষ্টা করছে, আর একই সাথে পেঁয়াজ থেকে শুরু করে ফাইটার জেট-ড্রোন আমদানি করার জন্য নানান দেশের সাথে ডিল করছে। ভারতের রদ্দি ডিফেন্স ইকুইপমেন্ট না কিনে বাংলাদেশ যখন তুরস্কের দিকে ডিফেন্স ইকুইপমেন্ট কেনা আর টেকনোলজি ট্রান্সফার সহ লোকাল ম্যানুফেকচারিংগের দিকে আগাবে, ভারত তত ইনসিকিওর ফিল করবে, এজিটেটেড হবে।
একদিকে বাংলাদেশের মতন বিশাল মার্কেট হারানোর আশংকা, অন্যদিকে বাংলাদেশ তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পথে হাঁটা ধরলে, ভারত নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াবে, তাদের রিক্রুট বাড়াবে সব ডিল নষ্ট করার জন্য। একই সাথে ভারতীয় মিডিয়ার চিৎকার চেচামেচি শুরু হবে, যা তার অলরেডি করছে, এবং মাইন্ড মেন্যুপুলেটিং রিপোর্ট বের করে বাংলাদেশের সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার সকল প্রচেষ্টা চালাবে।
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে নেচে সেন্সেশেনাল খবর বানানোর কোন প্রয়োজন দেখিনা। এতে করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার মতন অবস্থা তৈরি হবে।