Image description

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রাণ ফিরে পেয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। মৌসুমের শুরুতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটকে মুখরিত বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। উৎসবের আমেজ সাগরতীরজুড়ে। এ অবস্থায় নিরাপত্তাও জোরদার করেছে লাইফ গার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল থেকে সাগরতীরজুড়ে মানুষের ঢল। বালুচরে খেলছে শিশুরা। বড়রা ব্যস্ত সেলফিতে। একের পর এক ঢেউয়ের সঙ্গে ভাসছেন পর্যটকরা। ভেসে আসা ঢেউয়ের গর্জন আর মানুষের কোলাহলে ভিন্ন আমেজ সৈকতে। কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ফুয়াদ বলেন, ‘সমুদ্র সবসময় ডাকে। তাই যখনই ছুটি পাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ছুটে আসি। দালানকোঠার শহর ছেড়ে সমুদ্রের নোনাজলে আনন্দ করছি।’

পয়লা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। তাই বাড়ছে হোটেল মোটেলের বুকিংও। ব্যবসায়ীদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি। হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইসের মহাব্যবস্থাপক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই পর্যটকের আগমনও বুকিং বাড়ছে। আশা করি, সামনের দিনগুলো কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন আরও বাড়বে।’ সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফগার্ড আবদুস সালাম বলেন, বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমুদ্রস্নান করছে। তাই তাদের নিরাপত্তায় তিনটি পয়েন্টে লাইফগার্ড কর্মীরা সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে তৎপরতা অব্যাহত আছে। কোনো অপরাধীর উৎপাত সৈকত এলাকায় যাতে না হয় সে লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় লাইফগার্ডের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।