Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে প্রস্তাব দিয়ে গেছে তা নিয়ে বিরোধ-বিতর্ক চলমান। জুলাই জাতীয় সনদ ও এর বাস্তবায়ন নিয়ে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে বিভাজন নিয়ে উৎকণ্ঠা সর্বমহলে। সমাজিক মাধ্যমে চলছে সম্ভাব্য গণভোটের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার। জনপরিসরে নানা প্রশ্ন।

সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৪৮টি বিষয়ে সমর্থন করেন কি করেন না—এই একটি প্রশ্নে কিভাবে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট হবে? কবে হবে গণভোট? জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে, না তার আগে? সরকার শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষের দাবি মানবে? জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে এই পরস্পরবিরোধী অবস্থান জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেবে না তো? এসব প্রশ্নের বাইরে আইনজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের মধ্যে এখন বেশি আলোচনায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ জারির এখতিয়ার নিয়ে।

ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘সরকার এ আদেশ জারি করবে’। এতে জামায়াতসহ কয়েকটি দলের সমর্থন আছে। এনসিপিও এ প্রস্তাবের পক্ষে।

কিন্তু বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল এ প্রস্তাব সমর্থন করছে না। দলনিরপেক্ষ আইন বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, নির্বাহী বিভাগ বা সরকারকে কখনোই আইনি আদেশ জারি বা আইনের সমকক্ষ কোনো কিছু করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। আইন প্রণয়নের কাজ সংসদের। সংসদ না থাকলে রাষ্ট্রপতি সাময়িক সময়ের জন্য অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করতে পারেন।

তবে ঐকমত্য কমিশনের যুক্তি এবং জামায়াতের আইনজীবীর বক্তব্য, “আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, সেটা এক ধরনের ‘স্টেট অব এক্সেপশন’। এটা আমাদের বিবেচনায় রেখেই অগ্রসর হতে হবে। সবকিছুই পুরনো বাক্সে ঢোকানো যাবে না। কিছু কিছু জিনিস সম্ভবত বাক্সের বাক্সের বাইরেও থাকবে।” এ ছাড়া বলা হচ্ছে, “আগের সরকারের সময় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কিভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে এই আদেশ জারি করবেন।

এই আদেশটা জারি করা হচ্ছে জনগণের ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ বলে। যে আদেশ জারি হবে, সেটা সরকারকেই জারি করতে হবে।”

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলটির স্থায়ী কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখিত বক্তব্যে বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয়গুলো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’ শিরোনামে একটি আদেশ জারি করবে—এরূপ প্রস্তাবিত আদেশের একটি খসড়া সংযুক্তি-২ ও সংযুক্তি-৩-এ সংযোজিত করা হয়েছে। সরকারের এ রকম আদেশ জারি করার এখতিয়ার নেই। সংবিধানের ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদের সংজ্ঞা অনুসারে ‘আদেশ’ আইনের মর্যাদাপ্রাপ্ত। অতএব তা জারি করা রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ছাড়াও বেশির ভাগ দলই মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির এখতিয়ার সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে দলগুলোর কাছে নতুন পরামর্শ প্রস্তাব আলোচনায় আনে। তাতে বলা হয়, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি সাংবিধানিক আদেশ জারি করতে পারে। ১৭ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়। তবে এটি নিয়েও দলগুলো একমত হতে পারেনি। বিএনপিসহ বেশ কিছু দল প্রস্তাবটির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে। বিএনপির বক্তব্য ছিল, সংবিধানের সংশোধন বা সংবিধান আদেশ অন্তর্বর্তী সরকার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ করতে পারবে কি না বা অন্য কোনো উপায়ে এটা করা যায় কি না, এ বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া যেতে পারে। আরো কয়েকটি দলও এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার কথা বলে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার বিরোধিতা করে। এ ছাড়া প্রস্তাবটি জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তাবের কাছাকাছি থাকায় তারা এটি সমর্থন করে। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ওই দিন বলে, প্রস্তাবটি নিয়ে তাদের দলে আলোচনা করতে হবে। তবে এনসিপি এখন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে আদেশ জারির প্রস্তাবকে অনেকটাই সমর্থন করে বলছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ঘোষণা করতে হবে।

গত মঙ্গলবার ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ যে খসড়া হস্তান্তর করে তাতে সাংবিধানিক আদেশ কথাটি উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে ওই দিন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আমরা যেটা বলেছি সেটা হচ্ছে, এই আদেশটি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে এবং এতে একটি সুস্পষ্ট সুনির্দিষ্ট বিষয় আছে। সেটি হচ্ছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। ফলে এটিকে সামগ্রিকভাবে দেখার সুযোগ নেই, লিমিটেডভাবেও দেখার সুযোগ নেই। প্রতিটি বিষয়, নিঃসন্দেহে আমরা অতীত অভিজ্ঞতাকে ধার করব, সাংবিধানিক বৈশ্বিক ইতিহাস দেখব, কিন্তু প্রতিটি রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটা অনন্যতা আছে, সেটা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, সেটা এক ধরনের স্টেট অব এক্সেপশন। এটা আমাদের বিবেচনায় রেখেই অগ্রসর হতে হবে। সবকিছুই পুরনো বাক্সে ঢোকানো যাবে না। কিছু কিছু জিনিস সম্ভবত বাক্সের বাইরেও থাকবে।

আইনজ্ঞরা যা বলছেন : সরকার এই আদেশ জারি করতে পারে কি নাএ প্রশ্নে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, জবাব খুব সিম্পল। সরকার কি কোনো আইন করতে পারে? সরকারের কাজ হলো নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা। আইন পাস করবে সংসদ। আর ব্যতিক্রমধর্মী অবস্থায় যখন সংসদ থাকে না তখন সংবিধানে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিকে একটি টেম্পরারি ক্ষমতা দেওয়া আছে আইন বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির। নির্বাহী বিভাগকে, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের তো আইন জারি বা আইন পাস করার কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এই বাস্তবতায় নির্বাহী বিভাগ সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত আইনি আদেশ যদি জারি করতে পারে, তাহলে বিচারও তো তাদের করতে পারার কথা। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের তিনটি পৃথক পৃথক কাজ। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভা বা সংসদ কী কাজ করবে তা নির্ধারণ করা আছে। যখন একটি অঙ্গ অন্য অঙ্গের কাজ করতে যায়, যেমনসংসদ যদি বলে আমি বিচারও করবসেটি কি সম্ভব? এক কথায় বলা যায়, আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে সংসদের এখতিয়ার। যখন সংসদ থাকে না, ভেঙে যাওয়া অস্থায় থাকে, তখন অতি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের আইনও সংসদে বিলুপ্ত হয়ে যায় যদি সংসদ এক মাসের মধ্যে সেটি পাস না করে। অধ্যাদেশ হলো বাই ডেফিনেশন টেম্পরারি আইন, যা বিলুপ্ত হয়ে যায়। বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কেবল রাষ্ট্রপতিকেই অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অন্য কাউকে নয়। নির্বাহী বিভাগকে কখনোই আইনি আদেশ জারি বা আইনের সমকক্ষ কোনো কিছু করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। আর আলোচিত জুলাই সনদে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অনেক কিছুই আছে। এগুলো যদি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান গ্রহণ করেন, আদেশ জারি অর্থে তিনি তা গ্রহণ করছেনতাহলে সংসদের আর প্রয়োজন কী? সরকার যদি এই আদেশ জারি করতে পারে তাহলে নির্বাহী আদেশেই তো সংবিধান সংশোধন হয়ে যায়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ জারি সম্পর্কে যে সুপরিশ করেছে, আমার জানা মতে আইনের ইতিহাসে এমনটা কোথাও নেই। আমি নৌকায় চড়ে আকাশপথে যাব’—এ কথা কেউ যদি বলেন, তাঁকে সেই বলা থেকে বিরত তো করা যাবে না। আকাশপথে যেতে প্লেন লাগবে জানালেও তিনি বলছেন, না, আমি নৌকাতেই আকাশপথ পাড়ি দেব। এ রকমই হচ্ছে বিষয়টি।

সুপ্রিম কোর্টের আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার হচ্ছে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ। দৈনন্দিন প্রয়োজনে বিভিন্ন আদেশ জারির ক্ষমতা সরকারের আছে। নির্বাহী আদেশে আইন বাস্তবায়নের সুযোগ থাকলেও আইন প্রণয়নের সুযোগ নেই। প্রস্তাবিত জুলাই সনদকে তো সংবিধানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে কি সরকার বা নির্বাহী আদেশে সংবিধান পরিবর্তন, সংশোধন হতে পারে, যেখানে অধ্যাদেশ জারি করা হয় রাষ্ট্রপতির আদেশে? আবার অধ্যাদেশ আকারে জুলাই সনদ জারি বা বাস্তবায়ন করার কথা বলা হচ্ছে না। বলা হলেও অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান সংশোধন, পরিবর্তন করা যায় না। ফলে সরকারের আদেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই। হলেও সেটি টিকবে না, চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

এই আইনজীবী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী হলেন নির্বাহী বিভাগের প্রধান। বিদ্যমান সংবিধানের চতুর্থ ভাগের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ অনুসারে দেশে তো প্রধান নির্বাহী বলতে কেউ নেই। সাংবিধানিক বিষয়ে তো নয়ই, নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও অন্তর্বর্তী সরকারের নেই, দৈনন্দিন এবং অতি প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া।

এদিকে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আদেশ জারির ক্ষমতা আছে কি নাএ আলোচনার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, সরকারের যদি আদেশ জারি করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে কি রাষ্ট্রপতির আছে? রাষ্ট্রপতির আদেশ জারি করার ক্ষমতা কোন আইনে পাবেন? কোন জায়গায় বলা আছে যে রাষ্ট্রপতি আদেশ জারি করতে পারবেন? এ রকম একটি অভ্যুত্থানের পর জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’, এটি তো সরকারই জারি করবে। এটি আগের সরকারের রাষ্ট্রপতি কী করে জারি করবেন? আগের সরকারের রাষ্ট্রপতির কি ক্ষমতা আছে, গণ-অভ্যুত্থানের ফলে? তিনি তো সেই রাষ্ট্রপতি যিনি আগে থেকে আছেন। সেই রাষ্ট্রপতি কিভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে একটি আদেশ জারি করবেন? এই আদেশটা জারি করা হচ্ছে জনগণের ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ বলে। যে আদেশ জারি হবে, সেটা সরকারকেই জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির জারি করার কোনো এখতিয়ার থাকবে না।”

এদিকে এই বিরোধ, বিতর্কের মাঝে জুলাই জাতীয় সনদের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ (বীরবিক্রম) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের জন্য জুলাই সনদের প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আমি একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী হিসেবে মনে করি, জুলাই সনদ দেশের জনগণের প্রয়োজন নেই। কিছু ব্যক্তি যাঁরা এখানে উপদেষ্টা হয়েছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বসবাস করতে গেলে অনেক পর্যায়ের সম্মুখীন হবেন, তাঁদের জন্য হয়তো জুলাই সনদের প্রয়োজন আছে।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান গতকাল মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছাড়া অন্য সব দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে।

এ ছাড়া তিনি বলেছেন, ‘নভেম্বরে গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, যার মাধ্যমে শুধু আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।’

গতকাল রংপুরে দলীয় কার্যালয়ে কর্মিসভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘সংবিধানে এই মুহূর্তে গণভোট কোনো প্রভিশনে নেই। বর্তমানে গণভোটের যে দাবি উঠেছে, সংসদে পাস হওয়ার আগে এই দাবি বাস্তবায়ন হলে ঐকমত্য কমিশনকে সংসদের মর্যাদা দেওয়া হবে। ঐকমত্য কমিশন সার্বভৌম নয়, নির্বাচিত নয় ও সংসদ নয়। সংসদকে এড়িয়ে গিয়ে কোনো আইন পাস করা হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।’

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরে দলের সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের নামে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাপ্রতারণা’ করা হয়েছে। বিএনপির উদ্দেশ্যেও তিনি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ নিয়ে ‘না’ ভোটের ক্যাম্পিং করছে। তাদের ৩০ শতাংশ ভোট না ভোটের পক্ষে গেলেও বাকি বিপুল ভোটে জুলাই সনদ পাস হবে। তখন তারা আয়নায় মুখ দেখাতে পারবে না।