মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে, আর তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের আলোচকরা জানিয়েছেন, শুল্ক ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তারা প্রাথমিকভাবে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এই সম্ভাব্য চুক্তি বিশ্ববাণিজ্যে কিছুটা স্থিরতা নিয়ে আসায়, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কমেছে ব্যবসায়ীদের কাছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম এখন নিম্নমুখী।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে স্পট স্বর্ণের দাম ০.৬% কমে প্রতি আউন্সে ৪,০০১.৭৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে মাসিক হিসেবে এটি এখনো ৩.৭% বৃদ্ধিতে রয়েছে। অন্যদিকে, স্পট রূপার দাম ০.৪% কমে প্রতি আউন্সে ৪৮.৭৩ ডলার, প্লাটিনামের দাম ১.৭% কমে ১,৫৮৩.৪১ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০.৪% কমে ১,৪৪০.০২ ডলারে নেমে এসেছে।
বিশ্ববাজারের এই পতনের প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারেও। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে দেশে প্রতি ভরি ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৬১৩ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে নতুন দামে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা সোনা থেকে সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু লাভজনক খাতে ঝুঁকছেন। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়াও স্বর্ণের দামে পতনের আরেকটি বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন