Image description
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সংস্কারের লক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ১৫তম দিনের আলোচনা শেষ হয়েছে রোববার। আজকে একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান- এই তিন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে।
 
বিএনপির মত- একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে তিনটি পদেই থাকতে পারবেন। তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব হলো- একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে কেবল একটি পদে থাকতে পারবেন। কমিশনের এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ কয়েকটি দল।
 
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর মত হলো- একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে তিনটি পদে নয়, বরং দুটি পদে (প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা) থাকতে পারবেন।
 
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। 
 
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার দায়িত্ব একসঙ্গে পালন নিয়ে খুব একটা মতভেদ নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধানও হবেন কিনা- তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমাদের দল লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে এবং আগের আলোচনায়ও একই যুক্তি উপস্থাপন করেছে।’
 
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের মতো দেশেও দলের প্রধান ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী হন। তবে এটা নির্বাচন নয়, সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। সে ব্যক্তি যদি কোনো দলের প্রধান হন, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় না।’ 
 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের জন্য অপশন খোলা থাকা উচিত। কারণ, এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। পার্লামেন্টারি পার্টি যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। আবার তারা চাইলে অন্য কাউকেও মনোনয়ন দিতে পারে। কিন্তু সেই সুযোগটা রাখা জরুরি।’
 
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর বিএনপি আস্থা রাখছে বলে জানান সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হলেও বিষয়টি এখনো আপিল বিভাগের রিভিউ পর্যায়ে বিচারাধীন রয়েছে। আমরা আশা করি, আদালতের রায়ের মাধ্যমেই এই ব্যবস্থা আবার চালু হবে।’