
খুলনার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে রূপসা উপজেলার আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখকে (৪৪) কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রোববার (২০ জুলাই) তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার স্বল্প বাহিরদিয়া ইউনিয়ন থেকে এই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ইয়াহিয়া শেখ স্বল্প বাহিরদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আকবর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা জানিয়ে, নারী শিশু আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম।
রূপসা থানার ডিউটি অফিসার মো. ছাত্তার জানান, ১৬ জুলাই দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে উপজেলার আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী টিফিনের সময়ে ওয়াশরুমে যায়। এ সময়ে আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ ওই শিশুটির পিছু নেয়। ওয়াশরুমে কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিক্ষক ইচ্ছার বিরুদ্ধে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। ঘটনার পরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের অবগত করে।
এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের সদস্য বাদী হয়ে রূপসা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪। এ অভিযোগে পুলিশ রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওই শিক্ষককে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অসিত কুমার বলেন, শনিবার রাতে মামলা হলে পরের দিন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুর ১২ দিকে ওই শিশুটি খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, শিশুটিকে সকালে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার রিপোর্ট এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।