
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত তার এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামি মহিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি প্রকাশ করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।
এরপর এ মামলার প্রধান আসামি মহিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ১০ ও ১৫ জুলাই দুই দফায় পাঁচ দিন করে মহিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত।
এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নয় আসামি হলেন- মূলহোতা নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দিন, প্রধান অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী ও তার ভাই রাজিব ব্যাপারী। এদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এছাড়া গত ১০ জুলাই মহিন ও ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে ১৩ জুলাই আলমগীর ও মনিরের চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়ে। গত ১৪ জুলাই সজীব ও রাজিবের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর নিথর লাশ টেনে সড়কের মাঝে নিয়ে আসেন হত্যাকারীরা।
এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।