Image description

বস্তাপচা পুরোনো বন্দোবস্তে দেশ চলবে না—হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিদায়ের পর বাংলাদেশে আগামীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটা লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ। দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য আমরা তারুণ্য ও যৌবনের শক্তিকে একত্র করে সেই লড়াইয়েও বিজয় লাভ করব। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সবাইকে নিয়েই দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে। আমরা কথা দিচ্ছি, মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে। জামায়াত যদি আল্লাহর ইচ্ছা এবং জনগণের ভালোবাসায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তবে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে পড়ে যান জামায়াত আমির। মুহূর্তেই উঠে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ফের পড়ে যান তিনি। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ দেখা দেয়। একপর্যায়ে সুস্থ বোধ করলে বসেই বক্তব্য দেন ডা. শফিকুর রহমান।

সাত দফা দাবিতে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো গতকাল শনিবার একক সমাবেশ করল জামায়াতে ইসলামী। দুপুর ২টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও নাতে রাসুল পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের মূল পর্ব। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সমাবেশে উপস্থিত জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তবে সকাল পৌনে ১০টা থেকেই ইসলামী সংগীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন পরিবেশন করা হয়। সমাবেশের মূল মঞ্চে জামায়াতের জাতীয় নেতৃবৃন্দ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কর্মপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতা এবং জুলাইয়ের আন্দোলনে শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জামায়াত আমিরের হুঁশিয়ারি: জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালে পল্টনে মানুষ হত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা এবং চব্বিশের জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পুরোনো বন্দোবস্তে দেশ চলবে না। বস্তাপচা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ যদি পরিচালিত হয়, তাহলে এত মানুষের জীবন দিতে হলো

কেন? যারা চান পুরোনো ব্যবস্থায় দেশ চলুক; তাহলে যারা শহীদ হয়েছে তাদের জীবন ফেরত দিন। পারবেন? পারবেন না?

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আবু সাঈদরা বুক পেতে না দাঁড়ালে আজকের বাংলাদেশ আমরা দেখতাম না। তাহলে দেশটা ফ্যাসিবাদের কাছে চলে যেত। চব্বিশের আন্দোলন না হলে আজকে যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলছেন, তারা কোথায় থাকতেন? আসুন আমরা অহংকারভাবে অন্য দলকে যেন তাচ্ছিল্য না করি। কাউকে শিশু বলে তাচ্ছিল্য না করি। যদি এসব করতে না পারেন, তাহলে বুঝব তাদের মনে ফ্যাসিবাদ বাসা বেঁধেছে। আসুন বক্তব্যে শিষ্টাচার বজায় রাখি। জাতীয় ঐক্য ধরে রাখি।

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কিছু বিষয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে জামায়াত আমির বলেন, যদি আল্লাহর ইচ্ছায় ও জনগণের ভালোবাসায় জামায়াত থেকে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেন, তাহলে কোনো এমপি-মন্ত্রী আগামীতে সরকারি কোনো প্লট গ্রহণ করবেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী ট্যাক্সবিহীন কোনো গাড়িতে চড়বেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী নিজের হাতে কোনো টাকা চালাচালি করবেন না। কোনো এমপি ও কোনো মন্ত্রী যদি তার নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা তার প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।

শফিকুর রহমান বলেন, চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি সহ্য করব না। এই বাংলাদেশটাই আমরা দেখতে চাই। যুবকদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। বক্তব্যের শেষাংশে জামায়াত আমির বলেন, আল্লাহর ইচ্ছা, শরীর আমাকে সাময়িকভাবে সহযোগিতা করেনি। এটাও আল্লাহর ইচ্ছা যে, এখন আল্লাহ আমাকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন। আমার মওত আল্লাহ-নির্ধারিত সময় থেকে এক সেকেন্ড আগে হবে না এবং হায়াত যা দিয়েছেন, তার এক সেকেন্ড আগেও আমি যাব না।

আমি তরুণ-যুবকদের বন্ধু-ভাই, বয়স্কদের সহযোদ্ধা। দেশের নির্দিষ্টি কোনো শ্রেণির মুক্তির জন্য আমাদের লড়াই নয়। রাস্তার পরিচ্ছনতা কর্মী, চা-বাগানের শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ এবং কৃষকের হয়ে কথা বলতে এসেছি। আমি কোনো অভিজাত শ্রেণির পক্ষে কথা বলতে আসিনি। অনেক জুলুম সয়েছি। জেল খেটেছি। কিন্তু আমি শহীদ হতে পারিনি। তবে আগামীতে দেশ গড়ার আন্দোলনে আমি সবার সঙ্গেই থাকব।

অনুকূল আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ করতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে জামায়াত আমির বলেন, আমি প্রথমেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি, যিনি আবহাওয়া অনুকূল করে দিয়েছেন। যারা তিলে তিলে নির্যাতন সয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, আহত হয়েছেন, আমরা তাদের কাছে ঋণী। আল্লাহ যেন তাদের পাশে থাকার তৌফিক দেয়। সমাবেশে আসার পথে এবং সমাবেশে যোগ দিয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের জন্য শোক প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করেন তিনি।

সমাবেশ পরিণত হয় জনসমুদ্রে: জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল সীমিত দেখা গেছে। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে দলটির নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিছু এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। শাহবাগ এলাকা দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা ও অ্যাম্বুলেন্স চলছে সীমিতভাবে। সরেজমিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কাঁটাবন, প্রেস ক্লাব, টিএসসি, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল মোড়সহ সমাবেশের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারও কারও পরনে জামায়াতের লোগো সংবলিত নানা রঙের টি-শার্ট। কারও মাথায় বাঁধা কালেমা ও লোগে সংবলিত সাদা ফিতা। আবার কেউ কেউ এনেছেন দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। মিছিল নিয়ে দলীয় স্লোগানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হন তারা। ভিড়ের কারণে সমাবেশের মূল মাঠে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকেই শাহবাগ মোড়, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন সড়কে বসে পড়েন। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসানো ডিজিটাল পর্দায় সমাবেশ দেখেন তারা।

এ ছাড়া দেশের প্রায় সব জেলা এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, দুই মহানগরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে কয়েক লাখ লোক অংশগ্রহণ করে। অসংখ্য মানুষের সমাগমে জনসমুদ্রে পরিণত হয় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ। গতকাল শনিবার ভোর থেকেই মূলত ফজরের নামাজের পর থেকেই জামায়াতের সমাবেশে জনসমাগম শুরু হয়। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশের দিকে অগ্রসর হন। বেলা ১১টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিপূর্ণ হয়ে যায় এবং নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সমাবেশস্থলসহ চারপাশের এলাকা।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানায়, সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকায় দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণ এবং সারা দেশে বিরাট আকৃতির ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়। বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত ছাউনি, ১৫টি মেডিকেল বুথ ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে জামায়াত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব পাশে ৩ শতাধিক মানুষের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১০০ ফুট লম্বা এবং ৩৬ ফুট প্রশস্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়। যেখানে এলইডি মনিটর, অতিথিদের বসার সুব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সংযোগ ছিল। সমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ৩৩টি এলইডি ডিসপ্লে, তিন শতাধিক মাইক স্থাপন ও পর্যাপ্ত লাইটিং করা হয়।

জামায়াতের প্রচার বিভাগের মতিউর রহমান আকন্দ ও এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও ড. হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইউনূস আহমাদ ও আশরাফ আলী আকন, হেফাজতে ইসলামের মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আবদুল কাদের, নেজামে ইসলামের মুসা বিন ইযহার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য জসীম উদ্দিন সরকার, ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আতিকুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাহিদুল ইসলাম ও নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, সাদিক কায়েম, এনসিপির আখতার হোসেন, সারজিস আলম, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, কয়েকজন পঙ্গু জুলাইযোদ্ধা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, মুহাম্মাদ শাহজাহান ও নির্বাহী সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, আবদুর রব, মো. শাহাবুদ্দিন, মো. ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

ঐক্য ধরে রাখা নিয়ে নেতাদের বক্তব্য : এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমাকে ১৪ বছর অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। ১০ জনকে কারাগারে শহীদ করা হয়েছে। ৫ জনকে সরাসরি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এবং ৫ জনকে বিনা চিকিৎসায় শহীদ করা হয়েছে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাব—যারা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের হত্যা করে ইসলামের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পারেনি এবং পারবেও না। জামায়াত এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। শত জুলুমের পরও আজকের জনসমুদ্র তারই প্রতিচ্ছবি। আমরা আল্লাহর আইন চাই, সৎলোকের শাসন চাই।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জামায়াত রুখে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগ গনকেইস। বাংলাদেশে ঢোকবার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা অপ্রাসঙ্গিক। এখন নতুন বাংলাদেশ তৈরি হবে। ৫ আগস্ট দেশে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, যারা আবারও পুরোনো কায়দায় দেশ শাসন করতে চায়, তাদের জনগণ সুযোগ দেবে না।

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, বিগত ১৭ বছরে দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জালেমকে লড়াইয়ের মাধ্যমে বিদায় করেছি। আগামীতেও জুলুমবাজদের বিদায় করা হবে। এ জন্য সবাইকে বলব—আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। বক্তব্য দেওয়ার সময় শালীনতা বজায় রাখা এবং অবিলম্বে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন প্রণয়ন থেকে বিরত থাকা এবং কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা দাবি জানান তিনি। মাওলানা রাব্বানী বলেন, ফিলিস্তিনে কী মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়নি। সেখানে কে জাতিসংঘ মানবাধিকার রক্ষা করতে পেরেছে?

এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, ইসলাম পালনের ন্যূনতম অধিকার তারা (আওয়ামী লীগ) বাংলার মানুষকে দিতে চায়নি। নির্বাচনে উচ্চকক্ষে যারা পিআর চায় না, তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে। বাংলাদেশে ধর্ম পালনের কারণে কোনো মানুষের প্রতি আর কোনো বৈষম্য হতে দেব না। বাংলাদেশের মানুষের ওপরে আওয়ামী লীগ এবং তার দোসররা যে অপরাধ সংঘটিত করেছে, সেটাকে যদি বিচারের আওতায় আনা না হয়, তাহলে ২৪-এর শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদীদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। গোপালগঞ্জে এখনো মুজিববাদীরা আস্তানা গেড়ে রয়েছে। শুধু আইনিভাবে নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মুজিববাদের কোমর ভেঙে দিতে হবে। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। এ মুজিববাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সব সৈনিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।