
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে তিন যাত্রী ট্রলিতে ব্যাগ নিয়ে গ্রিন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন। শুল্ক–করযুক্ত কোনো পণ্য না থাকলে এ পথ ব্যবহার করতে পারেন যাত্রীরা। তবে ওই তিন যাত্রীকে দেখে সন্দেহ হয় কর্মকর্তাদের। তারপর তাঁদের তল্লাশি করে পাওয়া যায় ব্যাগভর্তি সিগারেট ও মুঠোফোন।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেরত তিন যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে এসব পণ্য পাওয়া যায়। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও বিমানবন্দর কাস্টমস এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয় বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
ওই তিন যাত্রী হলেন মোহাম্মদ শাহ্ আলম, আশরাফুল ইসলাম ও মো. আরফান। তাঁদের তিনজনের বাড়ি চট্টগ্রামে। তাঁরা নিয়মিত ‘ব্যাগেজ পার্টি’র মালামাল বহন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৫৭০ কার্টন বিদেশি সিগারেট এবং ৩০টি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইফোন, গুগল পিক্সেল ও স্যামসাং ব্র্যান্ডের মুঠোফোন। এসব পণ্যের দাম প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
ব্যাগেজ বিধিমালা অনুযায়ী, একজন যাত্রী কোনো শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে ফেরার সময় বছরে একবার একটি নতুন মুঠোফোন আনতে পারবেন। আর যেসব প্রবাসীর ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) কার্ড আছে এবং যাঁরা অন্তত ছয় মাস বিদেশে ছিলেন, তাঁরা বছরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় দুটি নতুন মুঠোফোন আনতে পারবেন। আবার বিধিমালা অনুযায়ী, বিদেশফেরত যাত্রী এক কার্টন সিগারেট বিনা শুল্কে আনতে পারবেন।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, তিন যাত্রীকেই পাসপোর্ট নম্বর নথিভুক্ত করে জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনায় মামলার আশ্রয় নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।