
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৯ জনসহ ১৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নুরুল আমিন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আ. করিমের পাঁচ ছেলে আ. রউফ ওরফে আলফাতুন (৬৯), আজিজুল হক এলাম (৫৪), মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বার (৫৯), কালাম মুন্সি (৬৪), আয়তুল হক মালাম (৫২)। আলফাতুনের দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও হায়দার আলী (৩৭)।
আলাম মেম্বারের তিন ছেলে রোয়েল (৩৯), রাসেল ছোটন (৩৬) ও সোহেল (৪১)। আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ওরফে আশিক আহম্মেদ হৃদয় (৩৪), রিয়াদ (৩২) এবং কাইয়ূমের ছেলে জহিরুল ইসলাম কালা (৪৪)।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও নিহত সবাই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর (কজলাহাটি) গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে মুদি দোকানদার সৈয়দ আলীর জায়গা নিয়ে আগে থেকে ঝামেলা চলছিল। আলী ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারে গেলে কিরিচ, ছুড়া, লাঠিসোটা, রড ইত্যাদি দিয়ে আসামিরা হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতির পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ২৫ মার্চ তার বড় বোন পারভীন সুলতানা বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রুজু করেন। পরে আলী মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর উপ-পরিদর্শক শহর আলী ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।