Image description

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাবা রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে অবস্থিত ‘আজাক ভবন’ নামে একটি ভবন ১০ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন বলে দাবি করা হয়। ভবনটির মালিক আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেন ‘আজাক ভবন’ বিক্রির তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

এএফপির ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দিন শিশিরের শেয়ার করা এক ভিডিওতে ওই মালিক বলেন, ‘এই বাড়ি এখনও বিক্রি হয়নি, নাহিদকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না। বিভিন্ন জায়গায় ছবিতে দেখে যতটুকু চেনার তা-ই চিনি। বাড়ি বিক্রির একটি বিজ্ঞপ্তি আমি দিয়েছিলাম কিন্তু সেটি এখনও বিক্রি হয়নি। এই বাড়ির জন্য সাড়ে ১১ কোটি টাকা দাম করেছিলাম। বিভিন্ন ক্রেতা এসে তাদের মতো করে দাম বলছেন তবে বিক্রির প্রক্রিয়া এখনও চলমান।’   

এর আগে গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নাহিদ ইসলাম তার সম্পদের হিসাব প্রকাশ করেছেন। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। 

সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য আর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই জানিয়ে সদ্য সাবেক এই উপদেষ্টা লেখেন, ‘‘উক্ত হিসাবে ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৬ টাকা জমা হয়েছে। এ ছাড়া নয় লাখ ৯৬ হাজার ১৮১ টাকা উত্তোলিত হয়েছে।’’ 

তিনি বর্ণনা করেন, ‘‘উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।’’ 

এ ছাড়া তার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এর হিসাবে ৩৬ হাজার ২৮ টাকা রয়েছে বলে জানান তিনি। নাহিদ ইসলামের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনিও নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করেননি- এমনটাও ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করা হয়। 

যদি কেউ এই তথ্য যাচাই করতে চান, তাহলে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোনো সরকারি দপ্তরে সেটা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম।