ড. আহসান এইচ মনসুর। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান। করোনার প্রাদুর্ভাবে আমাদের আর্থসামাজিক খাত ও জনজীবন অনেকটাই স্থবির। দীর্ঘস্থায়ী বিধিনিষেধে খেটে খাওয়া বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, তঁাদের সহায়তায় সরকার এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ছাড়া আর্থিক খাতও নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন এই অর্থনীতিবিদ।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান
প্রথম আলো: করোনার শুরু থেকে সরকার জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় আনার যে ঘোষণা দিয়েছিল, তা কি আদৌ সম্ভব হয়েছে? না হলে করণীয় কী ছিল?
আহসান এইচ মনসুর: দেখুন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় আনতে গেলে সব সময়ই সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের এখানে প্রথম দিকে করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। এখন অনেকটা কেটে গেছে। খোলা-বন্ধ এই প্রক্রিয়া সব দেশই অনুসরণ করেছে। আমরাও করছি। সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো খোলা আছে। দেশের স্বার্থেই এটা খোলা রাখতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এই করোনাকালেও বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকেরা বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ও গাজীপুরে অবরোধের ঘটনা ঘটছে। প্রতিকার কী?
আহসান এইচ মনসুর: এসব ক্ষেত্রে বিজিএমইএর উচিত নিজস্ব তহবিল থেকে শ্রমিকদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া। পরে মালিকদের কাছ থেকে তারা নিয়ে নেবে। ২০০৯ সালে এ ধরনের তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাব করা হয়েছিল সরকার ৫০০ কোটি টাকা দেবে, আর কারখানার মালিকেরা তাঁদের লাভের শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ দেবেন। তাঁরা রাজি হননি তখন। পরে তহবিল গঠিত হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ১০-১২টি কারখানায় যদি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেও থাকে, বিজিএমইএর সদস্যসংখ্যার বিচারে খুবই কম।
১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তেমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আহসান এইচ মনসুর: অন্যান্য খাতের চেয়ে সেবা খাতের সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাঁদের অস্থায়ী আর্থিক সহায়তা হিসেবে কর্মহীন পরিবারকে মাসে দুই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হোক। সরকার করেনি। তারা সনাতনী কায়দায় পুরোনো দরিদ্রদের সহায়তা করছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায়। কিন্তু নতুন দরিদ্রদের জন্য কিছু করেনি। এঁদের মধ্যে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ আছেন, হকার, নির্মাণশ্রমিক আছেন, হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিক আছেন। দুই হাজার টাকা করে এক কোটি পরিবারকে ১২ মাস নগদ সহায়তা দিলে খরচ হতো ২৪ হাজার কোটি টাকা, যা জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। সেটি করতেও সরকার রাজি হয়নি।
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিধিনিষেধ আরও প্রলম্বিত হবে। সে ক্ষেত্রে অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা যাবে কি?
আহসান এইচ মনসুর: সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এটি বড় চিন্তার বিষয়। সামনে ঈদুল আজহা। কারখানায় ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকেরা দলে দলে গ্রামে চলে যাবেন। পথে পথে জনস্রোত দেখা দেবে। পশুর হাট বসলে আরেক দফা সংক্রমণ হবে। গত বছর ঈদের সময় সৌদি আরবে কারফিউ জারি করা হয়েছিল লোকসমাগম বন্ধ করতে। আমরা সে রকম শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারব কি না, তার ওপরই সংক্রমণ বাড়া বা কমা নির্ভর করছে। ইতিমধ্যে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কারফিউ দেওয়ার সুপারিশও করেছেন।
বাংলাদেশে ঈদ তথা কোরবানিকে কেন্দ্র করে একটা অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। এর ওপর লাখ লাখ লোক নির্ভরশীল। কোরবানির পশু বিক্রি করতে না পারলে খামারিরা বিপদে পড়বেন। আবার পশুর হাটে লোকসমাগম হলে করোনার সংক্রমণ বাড়বে। এই উভয়সংকট থেকে উত্তরণের উপায় কী?
আহসান এইচ মনসুর: বিষয়টি দেখতে হবে বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গিতে। আমাদের এখানে সারা বছরই গরু কেনাবেচা হয়। ঈদের সময় হয়তো খামারি কিছুটা বেশি দাম পান। অন্য সময়ও গরুর মাংসের কেজি ৫৬০ টাকা। অতএব ঈদে পশু কম বিক্রি হলে খামারিরা পথে বসবেন, এ ধারণা ঠিক নয়। বরং বেশি লাভ করতে গিয়ে খামারিরা করোনায় আক্রান্ত হলে তার ক্ষতিটা অনেক বেশি হবে। আমাদের মতো ক্রেতাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি না বাড়িয়ে সেই অর্থ গরিব মানুষকে দান করলে তা সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
আপনারা নতুন গরিবদের জন্য তহবিল গঠনের কথা বলেছিলেন। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা তা শোনেননি। এখন কী করণীয়?
আহসান এইচ মনসুর: এ ব্যাপারে বলব বিধিনিষেধের কারণে যাঁরা অর্থকষ্টে ভুগছেন, তঁাদের জন্য বিশেষ সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন আছে। বাজেট প্রণয়নের সময় হয়তো তাঁরা মনে করেছিলেন, বিধিনিষেধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এখন দীর্ঘস্থায়ী বিধিনিষেধের দিকেই আমরা যাচ্ছি এবং এই বিধিনিষেধ শেষ বিধিনিষেধ হবে না। কেননা আমরা টিকা দিতে পারছি না। সরকারের উচিত কাজ হারানো হতদরিদ্র মানুষের কাছে চাল, ডাল, লবণ, তেলসহ নিত্য পণ্যগুলো পৌঁছে দেওয়া।
অর্থমন্ত্রী তো নতুন দরিদ্র দেখছেন না।
আহসান এইচ মনসুর: তিনি দেখছেন না। আমরা দেখছি। গণমাধ্যম প্রতিদিনই চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দেখাচ্ছে। নতুন দরিদ্র নেই, এটা হলো সরকারের ব্যাখ্যা। আমরা বলেছি, নতুন দরিদ্র আছে। কেবল অস্বীকার করলে হবে না। তথ্য-প্রমাণ দিয়ে বলতে হবে। সরকার যদি বেসরকারি সংস্থার জরিপে আস্থা না রাখে, তাহলে নিজেরা কেন একটি জরিপ করল না? বিআইডিএসকে দিয়েও তারা জরিপ করাতে পারত। সরকারি হিসাবে নতুন দরিদ্রের বিষয়টি একেবারে আসেনি, তা-ও সত্য নয়। কিছুদিন আগে বিবিএস যে খানা জরিপ করেছিল, তাতে মানুষের আয় কমে যাওয়ার তথ্য ছিল।
পত্রিকায় দেখলাম, করোনাকালে প্রবাসী আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়ছে। আবার সংবাদমাধ্যমের খবর আছে, করোনার কারণে অনেক প্রবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এই বৈপরীত্যকে কীভাবে দেখছেন।
আহসান এইচ মনসুর: এখানে বৈপরীত্য তো আছেই। আমরা জানি, অর্থনীতি চাঙা থাকলে মানুষের আয় বাড়ে। কিন্তু করোনাকালে পৃথিবীর সব দেশের অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। প্রবাসী শ্রমিকদের একাংশ দেশে ফিরে এসেছেন। নতুন শ্রমিক যাচ্ছেন খুবই কম। বাইরে থেকে যে অর্থ আসছে, তাকে ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার একটি বড় কারণ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মানুষের বিদেশ যাওয়া বন্ধ হওয়া। চিকিৎসার জন্য বছরে ভারতেই ৮ লাখ মানুষ যেতেন। থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর মিলিয়ে এ সংখ্যা ১১-১২ লাখ হবে। বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী বাইরে পড়তে যেত। এসব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৮–১০ বিলিয়ন ডলারের মতো সাশ্রয় হচ্ছে। এসব কাজে এখন এ অর্থের চাহিদা না থাকায় তা বৈধভাবে সরকারের রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করছে।
অবস্থা স্বাভাবিক হলে বিদেশ ভ্রমণ, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাব্যয় আবার আগের অবস্থায় চলে যাবে এবং রিজার্ভের ৮–১০ বিলিয়ন ডলার কমে যাবে। আগে যাঁরা ‘বেগম পাড়া’ ও ‘সেকেন্ড হোম’-এ বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনতে টাকা পাচার করতেন, করোনার পর তা-ও বন্ধ আছে।
সরকার প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানোর জন্য ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে, তাতে কি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো বেড়েছে?
আহসান এইচ মনসুর: আমি মনে করি, এটি অপচয়। সরকার তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা নদীতে ফেলে দিয়েছে। যাঁরা ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাবেন, তাঁরা প্রণোদনা না দিলেও পাঠাবেন। আর যাঁরা হুন্ডি করবেন, তাঁরা প্রণোদনা দিলেও করবেন।
প্রথম আলো: কালোটাকা সাদা করা নিয়ে প্রতিবছরই বিতর্ক হয়। বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ করে। কিন্তু সরকার সুবিধাটি টিকিয়ে রাখতেই উৎসাহী। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে এ টাকাগুলো অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসা হয়েছে। আপনি কী বলবেন?
আহসান এইচ মনসুর: এসব টাকা তো মূলধারায় ছিলই। টাকার কোনো রং নেই। টাকা নিশ্চয়ই কেউ মাটির নিচে রাখেননি, ব্যাংকে রেখেছেন। ব্যাংক সেই টাকা কাউকে ঋণ দিয়েছে। কালোটাকা সাদা করার মাধ্যমে সৎ আয়করদাতাদের প্রতি অবিচার করা হলো। তিনি আয়ের সঠিক হিসাব দিয়ে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর দিলেন। আর যিনি আয় ফাঁকি দিলেন, তিনি ১০ শতাংশ কর দিয়ে পার পেয়ে গেলেন। এটি ন্যায়বিচার নয়। চলতি বছর ২১ হাজার কোটি কালোটাকা সাদা হওয়ার প্রধান কারণ অভূতপূর্ব প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, যেখানে টাকার উৎস জানানোর প্রয়োজন নেই এবং করহার সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে বিদেশে পাচারের সুযোগ কম ছিল।
পি কে হালদারের অর্থ পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নরসহ অনেক কর্মকর্তার নাম এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লোকজনই যদি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে অর্থ পাচার বন্ধ হবে কীভাবে?
আহসান এইচ মনসুর: প্রতিটি দেশেই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মর্যাদাশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা হয়। আমাদের দেশেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান অত্যন্ত উঁচুতে। যাঁরা গভর্নর হয়ে এসেছেন, তাঁরা কেবল পেশাগতভাবে নয়, সামাজিকভাবে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। এই ব্যাংকই দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। সেই প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক ব্যক্তি যদি অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, তা দুর্ভাগ্যজনক। যে অভিযোগ এসেছে, তা বাইরের নামকরা ব্যক্তিদের দ্বারা তদন্ত করা উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ বা বিভাগীয় তদন্ত করলে হবে না। অর্থ পাচার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অপরাধ। রাষ্ট্রীয়ভাবে এর তদন্ত হতে হবে, জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অপকর্ম করতে না পারেন, সে জন্যই এটা করা প্রয়োজন। এ ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারলে ঘটনা আরও ঘটতে থাকবে এবং আরও বৃহৎ আকারে।
করোনাকালেও সরকার বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্বিক অর্থনীতির চিত্রটি কেমন?
আহসান এইচ মনসুর: অর্থনীতিতে যে স্থবিরতা চলছে, সরকারের ভাষ্যে তা নেই। সরকারের ভাষ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। মানুষকে টিকা না দিয়ে প্রবৃদ্ধির কথা বলে লাভ নেই। ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারলে করোনা-আতঙ্ক কমে যাবে। অর্থনীতি যদি এতই ভালো থাকে, তবে বিনিয়োগ নেই কেন? ব্যক্তি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমতে কমতে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। স্বাভাবিক সময়ে যা ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ হয়ে থাকে। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে প্রণোদনা প্যাকেজের বাইরে কোনো ঋণ দেওয়া বা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে সুদের হার বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম। অথচ ঋণপ্রবাহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে। মেয়াদি ঋণ যা বিনিয়োগে ব্যবহৃত হয়, এখনো ঋণাত্মক। কিন্তু আমরা জানি, ব্যবসার পরিবেশ থাকলে, নিরাপত্তা থাকলে সুদের হার কোনো সমস্যা নয়। বিনিয়োগের সুযোগ নেই বলে মানুষ শেয়ারবাজারে যাচ্ছে কিংবা বাড়ি কিনছে। কিন্তু শেয়ারবাজারের রাশ টেনে ধরা না গেলে ১৯৯৬ ও ২০১১ সালের মতো ধস নামতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চালসহ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে মানুষের আয় কমে গেছে। বিশ্ববাজারে চলতি বছর সব ধরনের পণ্যের দাম প্রায় ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্যসামগ্রী, শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি তেল—সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ পরিবেশ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই বিপজ্জনক। এতে মূল্যস্ফীতি দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। ইতিমধ্যে আমরা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতির দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ দেখতে পাচ্ছি। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংককে মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়াতে হবে এবং প্রয়োজনে তারল্য কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
আহসান এইচ মনসুর: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথম আলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন