অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি বছর শেষে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অনুযায়ীই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এক্ষেত্রে চীন-ভারত, ভিয়েতনামও আমাদের পেছনে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে বুুঝতে পারেন। তাঁর একটা সক্ষমতা হলো তিনি সামনে দেখতে পান। তিনি মানুষকে ওয়ান টু ওয়ান জানেন। ফলে তিনি মনে করেছিলেন মানুুষ ও অর্থনীতি বাঁচাতে সবকিছু রিওপেন (পুনরায় চালু) করতে হবে। এ জন্যই তিনি সবকিছু খুলে দিয়েছেন সময়মতো। তিনি জানতেন কারফিউ দিয়েও মানুষকে আটকানো যাবে না। বরং তিনি মনে করেছিলেন তাদের কাজ করতে দিতে হবে। এতে মানুষের ইমিউনিটি বাড়বে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও চাঙ্গা থাকবে। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন সিনিয়র রিপোর্টার মানিক মুনতাসির বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি জানেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ বিশে^র অনেক দেশই এখন ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে। এটা কী করে সম্ভব হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
অর্থমন্ত্রী : দেখুন এখানে এডিবির পূর্বাভাসে দুটো বিষয় রয়েছে। এর একটি গত বছর। যা ২০২০ সালের অর্জন। অন্যটা ২০২১ সালের সম্ভাব্যতা। ২০২০ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ২। এটাকে যদি বিবেচনায় নেন তাহলে আমরা স্পষ্ট দেখতেই পাই, গত বছর চায়না ১ দশমিক ৮ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কোরিয়া মাইনাস ১ শতাংশ, থাইল্যান্ড মাইনাস ৮ শতাংশ, ভারত মাইনাস ৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা মাইনাস ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়া মাইনাস ৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া মাইনাস ১ শতাংশ, সিঙ্গাপুর মাইনাস ৬ শতাংশ, পাকিস্তান মাইনাস দশমিক ৪ শতাংশ, ফিলিপিনস মাইনাস ৭ শতাংশ, ভিয়েতনাম পজিটিভ ১ দশমিক ৮, থাইল্যান্ড মাইনাস ৮ শতাংশ। এখানে বাংলাদেশ, চীন, ভিয়েতনাম ছাড়া সবাই নেতিবাচক। আর বাংলাদেশ এই তিনটি দেশের তুলনায়ও অনেক ভালো করেছে। ২০২০ সালের আমাদের অর্জনটা অনেক বড়। এটা একটা ঐতিহাসিক বছর। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। জাতির পিতাকে আরও বেশি স্মরণীয় করে রাখতে প্রত্যেকটা মানুষই যার যা কিছু আছে সবকিছুই নিবেদন করেছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি। আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এবার আসেন চলতি বছরের ব্যাপারে। এখানে এডিবি বলেছে বাংলাদেশ শুরু করেছে। বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২ থেকে লাফ দিয়ে ৬ দশমিক ৮-এ উঠেছে। এটা ধরলেও দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশের ওপরে পাওয়া যাবে মাত্র দুটি দেশ- চীন আর ভারত। কিন্তু আমরা বলছি আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে চলতি বছর শেষে আমাদের পেছনে থাকবে চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম। এখানে আমাদের মূল শক্তিই হচ্ছে দেশের মানুষ।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত মার্চ-এপ্রিলে সব বন্ধ রাখার ৬৬ দিন পর আবার সবকিছু রিওপেন করা হয়। তখনো বেশ ঝুঁকি ছিল। অনেকেই অনেক সমালোচনা করেছিল কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে দেখা গেছে খুব একটা সমস্যা হয়নি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
অর্থমন্ত্রী : দেখুন এখানে সবার আগে বলতে হবে- আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে বুুঝতে পারেন। তাঁর একটা সক্ষমতা হলো তিনি সামনে দেখতে পান। তিনি মানুষকে ওয়ান টু ওয়ান জানেন। ফলে তিনি মনে করেছিলেন মানুুষ ও অর্থনীতি বাঁচাতে সবকিছু রিওপেন (পুনরায় চালু) করতে হবে। এ জন্যই তিনি সবকিছু খুলে দিয়েছেন সময়মতো। তিনি জানতেন কারফিউ দিয়েও মানুষকে আটকানো যাবে না। বরং তাদের কাজে যেতে দিতে হবে। এতে তাদের ইমিউনিটি বাড়বে। আমরা তো এখন তার ফল পাচ্ছি। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে করোনার প্রভাব নেই বললেই চলে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রই আলোকিত, প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত, ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং আমরা সেখানে সফল হয়েছি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : অর্থমন্ত্রী হিসেবে বর্তমানে দেশের অর্থনীতির মূল সূচকগুলো কী অবস্থায় রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
অর্থমন্ত্রী : দেখুন আমরা যখন ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু খুলে দিয়েছিলাম, আমরা তো তার ফল এখন পাচ্ছি। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রই আলোকিত, প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত, ঊর্ধ্বমুখী। কোনো সূচকই এখন নেতিবাচক অবস্থায় নেই। এখানে বলতে হয়, আমরা যখন শুরু করি, যখন আমি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিই, তখন আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল নেগেটিভ। ৬৫৩ মিলিয়ন ছিল সেটা নেতিবাচক ছিল। এখন সেটা পজিটিভ ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টও ৪৬৩২ মিলিয়ন ছিল নেতিবাচক। এখন সেটা ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার পজিটিভ। আর রেমিট্যান্স দুই মাসে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এখন তা ৩৯ বিলিয়ন ডলার। হয়তো কদিন পরে তা ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। আগে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হতো। পুঁজিবাজার আজকে কতটা ভাইব্রেন্ট তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। এখন রেমিট্যান্সের টাকাও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে। ২০১৯ এর জানুয়ারিতে প্রতিদিন লেনদেন হতো ৫৫৫ মিলিয়ন। অথচ তা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেখানেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : আগামী দিনের অর্থনীতি কেমন হবে। প্রবৃদ্ধি কেমন হবে বলে আপনার ধারণা?
অর্থমন্ত্রী : আমাদের চলতি বছরের টার্গেট রয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এখানে এডিবি বলেছে আমরা ভালোভাবে পুনরুদ্ধারটা শুরু করেছি। তারা বলছে, এটা হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যদি এটাও হয়, এর ওপরে দক্ষিণ এশিয়ার আর মাত্র দুটি দেশ থাকবে। কিন্তু আমরা মনে করি এটাই যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আমি মনে করি এটা ৬ দশমিক ৮ শতাংশে এসে থেমে থাকবে না। এটাকেও যদি বিবেচনায় নিই তাও বাংলাদেশের ওপরে থাকবে মাত্র দুটি দেশ। চায়না আর ভারত। এক্ষেত্রে ভিয়েতনামও বাংলাদেশের পেছনেই থাকবে। এ জন্য আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের আসল শক্তি হচ্ছে দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : বেকারত্ব, কর্মসংস্থান, বিশেষ করে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
অর্থমন্ত্রী : এখানে বেকারত্ব তো আমাদের একার সমস্যা নয়। করোনার কারণে সারা বিশ^ই এখন ধরাশায়ী। সবাই কর্মী ছাঁটাই করছে। আমাদের এখানে তুলনামূলক কমই হচ্ছে। যারা বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন তাদের জন্যও তো সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যবস্থা করতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এখানে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন কাজ করছে। এ চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় তা কতটা উপযোগী ছিল বলে আপনি মনে করেন?
অর্থমন্ত্রী : এখানে অবশ্যই আমি স্বীকার করি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎক্ষণাৎ কার্যকর সিদ্ধান্ত নেন। যার ফলে আমরা ধাক্কা সামাল দিতে পেরেছি। তিনি এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যার সুফল এখন সবাই ভোগ করছে। এর ফলে দ্রুতই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কাছে এটা প্রথমে অবিশ^াস্য মনে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবকিছুই সময়োপযোগী করেছেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা দেওয়ায় সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও রেকর্ড হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
অর্থমন্ত্রী : সবশেষ দুই মাস ধরে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। অথচ শুরুতে সবাই মনে করেছিল রেমিট্যান্সে ধস নামবে। করোনার ধাক্কার কারণে সাময়িক সমস্যা হলেও এখন কিন্তু রেমিট্যান্স প্রতিদিনই বাড়ছে। দুুই শতাংশ প্রণোদনা আর রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করায় এটা সম্ভব হয়েছে। আমি যখন পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলাম তখন স্টাডি করে দেখেছি। আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ হচ্ছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার আর অফিসিয়াল চ্যানেলে আসে মাত্র ১২/১৩ বিলিয়ন ডলার। আমি তখন ভাবলাম, আমরা পরে বাড়াব। আগে যেটা আসছে সেটাকে প্রোপার চ্যানেলে নিয়ে আসি। সেই সঙ্গে চিন্তা করলাম যে, তাদের কিছু খরচ আছে। কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এ জন্য ইনসেনটিভ দেওয়ার ঘোষণা দিলাম। একই সঙ্গে নিয়মটি সহজ করে দিলাম। বললাম, কোনো প্রশ্ন করা হবে না। এটাই বেশ কার্যকর হয়েছে। আমি যেখানেই যাই সেখানেই এখন রেমিট্যান্স নিয়ে কথা বলি। তাদেরও (প্রবাসীদের) বিশ^াস ছিল। যার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। এখন তো প্রতি মাসে ১০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসছে। এই মাসে গত ১৫ দিনে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এটা অবিশ^াস্য। এটা তাদের বিশ^াসের কারণেই হয়েছে। সবকিছু তো ভালোভাবেই চলছে। প্রধানমন্ত্রী কী নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি এ জাতিকে অনেক ওপরে নিয়ে যাবেন। সোনার বাংলা গড়ার সুবর্ণ রেখাটা আমরা স্পষ্ট করতে চাই।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই বলেছিলেন, ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে এক অঙ্কে নামিয়ে আনা হবে এবং আপনি তা করেছেন। এ ব্যাপারে আপনার বর্তমান পর্যবেক্ষণ কী?
অর্থমন্ত্রী : ইয়েস, আমি বলেছিলাম। তা কার্যকরও হয়েছে। যার ফলে এখন ব্যাংক খাতে লিকুইডিটি বেড়েছে। খেলাপি ঋণ কমেছে। উদ্যোক্তাদের ওপর চাপ কমেছে। ব্যাংকগুলোও লাভ করছে। এখানে বলতে হয়, এটাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একটা অনন্য উদ্যোগ। তিনিই কিন্তু আমাকে প্রথমে বলেছিলেন, সুদের হার কমাতে হলে কী করা যায়। নইলে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো করা যাবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রত্যেকটি ব্যাংকের এমডি, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললাম। এটার মেরিট, ডিমেরিট কী হতে পারে তা নিয়েও কথা বললাম এবং তাদের বললাম তোমরা যদি লোকসান কর, তা আমি পুষিয়ে দেব। কিন্তু আমি জানতাম লস হবে না। আমি তাদের বুঝালাম, ১৫ শতাংশ সুুদ নিচ্ছেন অথচ অনেকেই তা শোধ করতে না পেরে বছর শেষে খেলাপি হয়ে যাচ্ছেন। আবার পরে আপনাকে তা রাইট অব করতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণে। কিন্তু যদি ৯ শতাংশ হারে আপনি ঋণ দেন তাহলে রিকভারি ভালো হবে। রাইট অব করতে হবে না। এটা একটা ভালো কাজ হয়েছে। এটা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীরই আইডিয়া ছিল। এর ফলে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণও কমেছে। আগে তাদের মূলধনের জন্য বছর বছর টাকা দেওয়া লাগত। এখন কাউকে টাকা দিতে হচ্ছে না। এখন তাদের তারল্য নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। কত টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোও প্রত্যেকেই এখন লাভ করছে। এই গতি যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, নিশ্চয়ই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। বঙ্গবন্ধু যা শেষ করতে পারেননি সেগুলো আমরা শেষ করব। যেন সেই সুবর্ণ রেখাটি আমরা স্পষ্ট করতে পারি। আমরা সেই কাজই করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : সামনের দিনগুলোতে কী ধরনের আর্থিক নীতিতে চলবে বলে আপনি মনে করেন।
অর্থমন্ত্রী : সম্প্রসারণশীল মানিটারি পলিসি এখন তো আছেই। আমাদের যখন যেটা প্রয়োজন তখন সেটাই করা হবে। যথেষ্ট বিনিয়োগ হয়েছে। আর দরকার নেই- ব্যাপারটা তো এমন নয়। আমাদের এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলার। আমি শুরু করেছিলাম ৩৩ বিলিয়ন ডলার দিয়ে। এখন তা ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং তা আরও বাড়বে। আমাদের শিল্পায়ন তো বাড়াতে হবে। অন্য খাতগুলোও এগিয়ে যাবে। দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়নে সরকার যখন যা প্রয়োজন মনে করবে ঠিক তখন তা-ই করবে। আমি এখানে আরেকটা কথা বলতে চাই-আমাদের রপ্তানি খাত নিয়ে যারা বেশি চিন্তিত তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যও এখন ভালো হচ্ছে। কিছু দিন আমরা খারাপ করেছি করোনার কারণে। কিন্তু দুই মাস পরই তো আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
অর্থমন্ত্রী : আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন