যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এ মাসের শুরুতে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। সে সময়ে তিনি অতিথি হিসেবে প্রথম আলো কার্যালয়ও সফর করেন। তখন নেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক, বাণিজ্য প্রসঙ্গ, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের নির্বাচন, সুশাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাহীদ এজাজ।
প্রথম আলো: প্রথম আলোতে আপনাকে স্বাগত।
Eprothom Aloমার্ক ফিল্ড: এখানে আসতে পারাটা আনন্দের। মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার আর সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচবার এলাম বাংলাদেশে। মধ্য লন্ডনের যে আসনে আমি প্রতিনিধিত্ব করি, সেখানকার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। আমি অবশ্য সিলেটেও গিয়েছি, যেখানে অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক বসবাস করেন।
প্রথম আলো: এতবার আসা-যাওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কটাকে কীভাবে দেখেন?
মার্ক ফিল্ড: আমি তো মনে করি, সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছয় লাখ ব্রিটিশ নাগরিক এখন যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। এঁদের অনেকেই এখনো নিয়মিতভাবে আসা-যাওয়া করেন বাংলাদেশে। এঁদের মধ্যে যাঁরা উদ্যোক্তা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে তাঁদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। সম্পর্ককে আরও গভীর করার সুযোগ আছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনের পথে আমি মনে করি আমাদের জন্য বড় সুযোগ সামনে আছে। এটা শুধু ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের ভূমিকাকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো অতীতের সংযোগের মধ্যেই আটকে থাকবে না। আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি, কূটনৈতিকভাবে বিশেষ করে বাণিজ্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গভীর থেকে গভীরতর করার সুযোগ আছে।
প্রথম আলো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের স্বার্থে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন অব্যাহত থাকার কথা বলেছেন। আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বলতে আপনি আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
মার্ক ফিল্ড: একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পাশাপাশি পুরোপুরিভাবে কার্যকর গণতন্ত্র অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমি নির্বাচন কমিশনের আওতায় সুনির্দিষ্ট উদ্বেগের বিষয়ে একটি উন্মুক্ত তদন্ত নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু আমি এটাও মনে করি, নিজেদের মতপার্থক্য দূর করে একটি ইতিবাচক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে ব্যাপক পরিসরে বাংলাদেশের সরকার এবং সব রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। ২০ বছর ধরেই বাংলাদেশে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং এ বছর ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে তাঁদের ভূমিকা রাখতে পারেন, তা নিশ্চিত করা আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, তৈরি পোশাকশিল্প হচ্ছে চিরাচরিতভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক খাত। তবে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো এবং সবকিছুর ওপরে শিক্ষা খাত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগের নির্যাস হচ্ছে শিক্ষা। আমি মনে করি, এই খাতে বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।
প্রথম আলো: বাণিজ্যকে সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু বলছেন। অথচ ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার হারানোর শঙ্কার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। ব্রেক্সিটের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের বাজারসুবিধার বিষয়টিকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
মার্ক ফিল্ড: ব্রেক্সিটের আলোচনা খুব বেশি পরিবর্তনশীল, এটা অনেকটা সময় নিয়েছে। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় থাকতে চেয়েছিলাম, যেতে চেয়েছিলাম চট্টগ্রামে। কিন্তু ব্রেক্সিটের ভোটাভুটির জন্য আমাকে চলে যেতে হচ্ছে। এই দর-কষাকষি কোথায় গড়াবে, সেটা অনেক দিন থেকেই বোঝার চেষ্টা করছি। আমি নিশ্চিত, পোশাক কিংবা অন্য শিল্পের যাঁরা এরই মধ্যে দুই দেশ মিলিয়ে শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, তাঁরা ব্রেক্সিট কার্যকর হলেও স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারেন। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে আমি ব্যবসায়ী ছিলাম। তাই যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা, তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি আমি বুঝতে পারি। দুই দেশের মধ্যে সংযোগটা এতটাই জোরালো যে উত্তরণের পথটাকে মসৃণ করা নিশ্চিত করতে আমাদের বিশেষ নজর থাকবে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল শুরুর পরপরই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আপনি রাখাইনে গিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত চাপের পরও রোহিঙ্গাদের রাখাইনের আদি নিবাসে ফিরিয়ে নেওয়ার উপযোগী পরিবেশের ক্ষেত্রে মিয়ানমারে কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এমন এক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক অধিকারসহ এ সমস্যার টেকসই সমাধানে পরবর্তী পদক্ষেপটা কী হওয়া উচিত?
মার্ক ফিল্ড: ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার যা করেছে তার জন্য যে যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কৃতজ্ঞ, তা প্রথমেই বলতে চাই। এটা যে একটা সমস্যা, তা সম্ভবত বিশ্বের বড় অংশের কাছে অজানা। গত ৩০ বছরের বেশি সময়জুড়ে সীমান্তের অন্য পাড় থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দেখভালের জন্য বাংলাদেশের জনগণ যা করেছে, সারা বিশ্ব সে জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমরা চাই তারা নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরে যাক। এটা স্পষ্ট যে খুব শিগগির তাদের রাখাইনে ফেরার মতো পরিবেশ হয়নি। রোহিঙ্গা সংকটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তাদানকারী হিসেবে যুক্তরাজ্য ১২৯ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছে। আমাদের এই সহায়তা যাতে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন আর জীবিকার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহৃত হয়, সে ব্যাপারে আমার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজ করছে। অগ্রগতিটা যে ধীর লয়ের মনে হচ্ছে, সেটা আমি জানি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশের ১৪ জন প্রতিনিধিকে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফেলেছি। কিন্তু এই ইস্যুটা থেকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি সরে যেতে পারে এবং বাংলাদেশের জন্য এটা প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমরা মনে করি, নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে একটি প্যানেল পর্যালোচনা হওয়া উচিত। এ সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের স্বার্থে এটি যাতে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে থাকে, সে জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করব, এই প্রতিশ্রুতিটা দিচ্ছি। কিন্তু বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে যেহেতু দ্রুতই রাখাইনে ফেরা হচ্ছে না, তাই মানবিক দিকে আমাদের বেশি নজর থাকবে; যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের ভূমিকার কথা সারা বিশ্ব স্বীকার করে। আমরা এটাও মনে করি, বাংলাদেশ একা এ দায়িত্ব নিতে পারে না।
প্রথম আলো: ১৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনার মধ্যে বিষয়টি রাখার কথা বললেন। কিন্তু যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্র উচ্চকণ্ঠ হওয়ার পরও মিয়ানমার নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট। রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
মার্ক ফিল্ড: মূল সমস্যাটা আপনি ধরতে পেরেছেন। এ জন্যই আমরা চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে জাতিসংঘের পরিবর্তে ইইউর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। তাই এ নিয়ে একধরনের উদ্বেগও আছে। জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদে কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে দুই বছরের অভিজ্ঞতায় আর দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার আন্তর্জাতিক ভূমিকা পালন করতে গিয়ে দেখেছি, কখনো কখনো কূটনীতিতে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়। পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়লে তিন পা এগিয়ে আপনাকে দুই পা পিছিয়ে আসতে হয়। এটা খুব জটিল সমস্যা। এ সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য এটিকে আমাদের ভাবনার ওপরের দিকেই রাখতে হয়।
প্রথম আলো: বাংলাদেশের দিকে নজর দিই, এখানকার সুশাসন, মানবাধিকার আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন?
মার্ক ফিল্ড: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সারা বিশ্বের জন্য একটা জটিল বিষয়। এ বিষয়ে কানাডাকে সঙ্গে নিয়ে জুলাইয়ের ১০ ও ১১ তারিখ আমরা লন্ডনে একটি সম্মেলন করতে যাচ্ছি। এটা বলতে চাই, আমরা নিজেরাও সব সময় সঠিক পথে থাকি না। ইন্টারনেটের নিরাপত্তা আর ব্যক্তিস্বাধীনতার বিষয়ে তদন্তসংক্রান্ত ক্ষমতা আইনের বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। সমাধানের পথ খুঁজে নিতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তারপরও আমরা মনে করি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর অবাধ ও মুক্ত গণমাধ্যম হচ্ছে কার্যকর গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান।
প্রথম আলো: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে দেশে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
মার্ক ফিল্ড: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বেসরকারি সাহায্য সংস্থা এবং গণমাধ্যমের অনেকেই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। জনসমক্ষে মিথ্যা সংবাদ কিংবা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইন্টারনেট যে সম্ভাব্য হুমকি, সেটা আমরা স্বীকার করি। আমাদের সবার জন্য সমান ক্ষেত্র তৈরি করা উচিত। অন্যান্য গণমাধ্যমের জন্য পরিস্থিতি জটিল করা উচিত নয়। মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষ নিয়েও বলতে চাই, রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিনিয়ত সমালোচনার মুখে থাকাটা বিরক্তির। তারপরও নিরাপত্তার রক্ষাকবচ নিশ্চিত করার স্বার্থে একটি সক্রিয়, তথ্যজ্ঞানে সমৃদ্ধ ও সৃজনশীল জনগোষ্ঠী অপরিহার্য। আমি যখন এ দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা স্বীকার করি, তখন এটাও মনে করি যে এখানকার সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশে গণমাধ্যমকে উৎসাহিত করা উচিত।
প্রথম আলো: বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ব্যাপারে আপনার আশার দিকটি কী?
মার্ক ফিল্ড: বর্তমান সরকার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এবং এর কারণও রয়েছে। তারা একটি নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছে এবং সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আমি বাংলাদেশে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণকে দেখি, যাঁরা উচ্চশিক্ষিত, শিক্ষার প্রতি তাঁদের যথেষ্ট অনুরাগ আছে। তাঁরাই অবধারিতভাবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সাফল্যের চালিকাশক্তি। তাঁরাও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চান। নির্বাচনকে পেছনে ফেলে, তাঁরাও তাঁদের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটাবেন বলে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বিষয়ে বাংলাদেশের সামনে তাকানো উচিত। বিদেশি রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি কোনো নির্দেশ দিচ্ছি না। আমি এসেছি বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে। কারণ, আমার আসনে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী রয়েছেন। শিক্ষার প্রতি আমি তাঁদের মধ্যে অনুরাগ দেখতে পেয়েছি। আমি চাইব, আপনারা আমাকে বাংলাদেশের একজন বন্ধু হিসেবেই বিবেচনা করবেন, যে বন্ধু এ দেশটাকে ক্রমেই একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখতে চান।
প্রথম আলো: লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান কী?
মার্ক ফিল্ড: যুক্তরাজ্য সরকার কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য না করার নীতি অনুসরণ করে থাকে। দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনায় নেবে যুক্তরাজ্য। এটা কিছুটা জটিলও বটে। বিষয়টি আমাদের আদালত আর পুলিশের এখতিয়ারাধীন। এ নিয়ে কোনো অনুরোধ করা হলে তা যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী বিবেচনায় নেওয়া হবে। এটা রাজনীতিবিদদের সরাসরি মোকাবিলা করার মতো কোনো বিষয় নয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি যদি রাজনীতিবিদের হাতে চলে যায়, তবে সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
মার্ক ফিল্ড: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথমআলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন