গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা। জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান
Eprothom Aloপ্রথম আলো: নির্বাচন সম্পর্কে নিউইয়র্ক টাইমস বলল, প্রহসন। বিলাতের গার্ডিয়ান বলল, কম লোকই বিশ্বাস করে ভোটের ফল। কী বলেন আপনি?
জি এম কাদের: আমি আমার এলাকায় পরিশ্রম করেই নির্বাচন করেছি। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টগুলো দেখছি। তবে সরকারের পক্ষে যেটা প্লাস পয়েন্ট সেটা হলো চীন, ভারত ও রাশিয়ার মতো বৃহৎ শক্তিগুলোর স্বীকৃতি। এসবের কারণে যতটুকু যা–ই থাকুক, এর কোনো ‘অ্যাডভারস এফেক্ট’ আমার চোখে পড়ছে না।
প্রথম আলো: এটা ঠিক যে বিদেশিদের নৈতিক নয়, কৌশলগত অবস্থান থাকে। পক্ষে গেলে তার ‘প্রশংসা’ আর বিপক্ষে গেলে ‘হস্তক্ষেপ’ দেখি। টিআইবির ৩০ আসনে ব্যালট কাটার দাবিকে কীভাবে দেখেন? বিদেশিরা গ্রহণযোগ্য বলেছে বলেই, না ভিত্তিহীন বলেই নাকচ করছেন?
জি এম কাদের: বাস্তবতা হলো গ্রহণযোগ্যতার। বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়াটাই বড়। অভিযোগ অনেক থাকতে পারে।
প্রথম আলো: আপনি মানবেন যে বিএনপিই প্রকৃত বিরোধী দল, আপনারা ২২টি পেয়েছেন বলেই সত্যটা বদলায়নি।
জি এম কাদের: (হাসি) হাঁ। এখন পর্যন্ত কথাটি ঠিক। ভবিষ্যতে পারব না, সে রকম কোনো কথা নেই। এখন পর্যন্ত প্রশ্নটি আসেনি, কারণ আমরা তো সরকারের সঙ্গে জোট করেছিলাম। আমরা তো বিরোধী দল ছিলাম না। এখন আমরা সেই রোল প্লে করছি, যেহেতু আমরা দেখছি এই ভূমিকা না রাখলে জনগণ বঞ্চিত হবে।
প্রথম আলো: গৃহপালিত বিরোধী দলের দুর্নাম নেবেন?
জি এম কাদের: নেব না। এটা আমাদের কাজের ওপর নির্ভর করবে। জনগণ লাভবান হলে এটা গৃহপালিত হওয়ার কারণ আমরা দেখি না। সংসদে উচ্চকণ্ঠে বা হিংসাশ্রয়ী মনোভাব নিয়ে কথা বললেই বিরোধী দল হওয়া যায়, সেটা আমি মনে করি না। সরকারকে ধাক্কা, পরিবর্তন ইত্যাদি বলে লাভ হবে না। যতই সংখ্যাধিক্য থাকুক, বাংলাদেশের বাস্তবতায় সংসদে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। রাস্তার লড়াই করেও যে করা যায় না, সেটা ২০১৪ সালের পরে পরিষ্কার বোঝা গেছে। পরবর্তী নির্বাচনের সময় দেখা যাবে কে কতটা গৃহপালিত বা কতটা নয়। সে জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।
সংসদে উচ্চকণ্ঠে বা হিংসাশ্রয়ী মনোভাব নিয়ে কথা বললেই বিরোধী দল হওয়া যায়, সেটা আমি মনে করি না।
প্রথম আলো: তাহলে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে নির্বাচন প্রশ্নে প্রধান বিরোধী দলের দাবি আপনি নাকচ করবেন? তদন্তযোগ্য কি?
জি এম কাদের: না। নাকচও করব না, গ্রহণও করব না। যেকোনো অভিযোগ এলে ইসির পক্ষে সম্ভব হলে তা তদন্ত করা উচিত।
প্রথম আলো: মহাজোটের অনেক শরিক এখনো সরকারে থাকার আশা ছাড়েনি, আপনি গত সংসদের বাইরে থেকে জাপা মন্ত্রীদের পদত্যাগের পক্ষে ছিলেন। এখন মন্ত্রী না করায় খুশি তো?
জি এম কাদের: আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, আমরা সরকারের অংশ হব না। আমি অবশ্যই মনে করি, একটি জায়গাতেই থাকতে হবে। হয় সরকারে, না হয় বিরোধী দলে। একসঙ্গে দুই জায়গায় নয়। এটা সাংবিধানিকভাবে সাংঘর্ষিক। মানুষের মনেও আস্থা আসে না। রাজনীতির সঠিক চরিত্র মানুষের চোখে পড়ে না। বিরোধী দলে থাকাই হবে সঠিক রাজনীতি এবং তা দলকে এগিয়ে নেবে।
প্রথম আলো: বিরোধী দলের নেতা এরশাদের অনুপস্থিতি দীর্ঘ হলে আপনিই কি তার শূন্য আসনে আসবেন? তঁার উপস্থিতির আশু সম্ভাবনা কতটুকু?
জি এম কাদের: তেমন সম্ভাবনা কম। সে ক্ষেত্রে আমাদের দলের সিদ্ধান্ত এবং স্পিকারের তরফেও একটা আনুষ্ঠানিকতা হয়তো থাকবে। তঁার অনুপস্থিতিতে তাঁর দায়িত্ব উপনেতার পালন করাই রেওয়াজ।
প্রথম আলো: আইন বলছে, সংখ্যা নয়, সরকারের ‘বিরোধিতাকারী’দের মধ্য থেকে স্পিকার যঁাকে চাইবেন, তিনিই হবেন বিরোধী দলের নেতা। বিএনপি সংসদে এলে সংসদকে অধিকতর কার্যকর ও প্রতিনিধিত্বশীল করতে সেই দলের নেতার নাম স্পিকারের ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন কি?
জি এম কাদের: আমরা কার্যকর বিরোধী দল হতে পারব। বিএনপির সংখ্যা বা তাদের যে অবস্থা তাতে আমরা কম পারব, সেটা আমি বিশ্বাস করি না। সংসদীয় কার্যপ্রণালিতে যা আছে, সেভাবে স্পিকার অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, আমরা সরকারের অংশ হব না। আমি অবশ্যই মনে করি, একটি জায়গাতেই থাকতে হবে। হয় সরকারে, না হয় বিরোধী দলে।
প্রথম আলো: বিএনপির সব ভোট থেকে জাপার কি বেশি ভোটপ্রাপ্তি ঘটেছে? ডেপুটি স্পিকারের পদ আওয়ামী লীগ একবার বিএনপিকে দিতে চেয়েছিল, আপনার কি মনে হয়, তারা এখনো তা বিরোধী দলকে দিতে পারে?
জি এম কাদের: ভোটের পরিসংখ্যান এখনো পাইনি। তবে আমি আগেও সংসদে থাকতে বলেছি এখনো মনে করি, সংসদকে কার্যকর করতে ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধী দলকেই দেওয়া উচিত। একবার দুটি ডেপুটি স্পিকারের পদ সৃষ্টির কথা উঠেছিল।
প্রথম আলো: বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা বিষয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মতো কিছু ইস্যু একটি জাতির জীবনে আসতেই পারে। তখন সংসদকে দেখা যায় তারা নানা সাব–কমিটি বা তদন্ত কমিটি করে তার একটা আশু প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের দেশে জনপ্রশাসনের লোকদের দিয়েই তা করানো হয়। আপনি এটা বদলাতে কী করবেন? কোনো স্বপ্ন আছে?
জি এম কাদের: আমার স্বপ্ন হলো আপনি যেভাবে বলছেন, সেভাবেই বিষয়গুলোকে দেখা। আমরা এটাই চাইব যে এ ধরনের বিষয় যখনই আসবে, তখন আমরা যেন সেগুলো তুলে ধরতে পারি। স্পিকার ও সংসদের কাছে, এসবই কিন্তু আমাদের মুখ্য চাওয়া। দ্বিতীয়ত, এসব বিষয়ে শোনার পরে সরকার যেন যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নেয়। এবং সম্ভব হলে তা মেনে নেবে। আমি ২২ জনকে নিয়ে বিরোধী দল হই, আর ১৪৯টি নিয়ে বিরোধী দল হই, ঘটনা কিন্তু একই। যদি আমাকে সংসদে কথা বলতে না দেওয়া হয়, যদি আমার কথা বিবেচনা না করা হয় এবং আমার কথা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে আমি যতটুকু শক্তিশালী বা দুর্বল যা–ই বলি, অবস্থার হেরফের হবে না। ২২ জন নিয়েও যদি কথা বলতে পারি, আর তা যুক্তিসংগত হলে সেটা শুনে সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তাহলেই সংসদ শক্তিশালী হবে। একাদশ সংসদের শক্তিশালী হওয়া বিষয়টি শুধু ২২ জনকে নিয়ে বিরোধী দলে বসার ওপর নির্ভর করবে না। বর্তমান সংসদ কার্যকর ও শক্তিশালী হোক এটাই আমার চাওয়া। এই সংসদ যেন দেশবাসীর একটি আশ্রয়স্থল হয়। মানুষের মনের ক্ষোভ, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন সংসদের মাধ্যমে পূরণ হয়।
একাদশ সংসদের শক্তিশালী হওয়া বিষয়টি শুধু ২২ জনকে নিয়ে বিরোধী দলে বসার ওপর নির্ভর করবে না। বর্তমান সংসদ কার্যকর ও শক্তিশালী হোক এটাই আমার চাওয়া।
প্রথম আলো: এবার মন্ত্রিসভায় ভূমিধস পরিবর্তন ঘটেছে। তো এবার কি মনে হয় যে সংসদীয় গণতন্ত্রের যে রেওয়াজ, যেটা বঙ্গবন্ধু মেনেছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একই ব্যক্তি হবেন না, সেখানে কি একটা পরিবর্তন আনার মতো অবস্থায় রাজনীতি গেছে?
জি এম কাদের: ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ বলব না, তবে ক্ষমতা কিছুটা ভাগ করে নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। দলের প্রধান বিশ্বের অনেক দেশেই প্রধানমন্ত্রী হন না। যাঁরা দল চালান, অর্থাৎ দলের নির্বাহীরা সাধারণত মন্ত্রীর পদও নেন না। দলের সঙ্গে সরকার ও সংসদের একটা বাধানিষেধ থাকে। আর এটা রক্ষা করাই উচিত। দলের প্রধান যদি প্রধানমন্ত্রী বা সংসদের নেতা না হয়, তাহলে এখানেও একটি ব্যারিয়ার থাকে। তাহলে যেটা ঘটে, সবাইকে একটা জবাবদিহির মধ্যে আসতে হয়। একজনের ওপর সব দায়িত্ব ও জবাবদিহির প্রশ্ন না এসে ভাগ ভাগ হলে দায়িত্ব আলাদা হয় এবং একে অন্যকে কাউন্টার ব্যালান্স করতে পারেন। আমি মনে করি, এটা করা সম্ভব হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া লাভবান হবে। যত বেশি দায়িত্ব ভাগ করা যাবে, ততই জবাবদিহির ধারণাকে কার্যকর করা যাবে। তবে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বে নানা ধরনের সামাজিক কাঠামোর কারণে, যেমন পরিবারতন্ত্রের কারণে পেরে উঠি না।
বড় ভাইয়ের জায়গায় ছোট ভাই হিসেবে আসছি, এটা যেমন সত্য, তেমনি আমি নিজে আমার উপযুক্ততা নিয়ে এসেছি, আমি মনে করি, এ কথাও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার দাবি রাখে।
প্রথম আলো: পরিবারতন্ত্র ব্যাখ্যা করুন।
জি এম কাদের: যেমন বাবার পরে ভাই, তার পরে তার ছোট ভাই, এ রকম একটা পরম্পরা মেনে চলা হয়, এ কারণে আমরা ওই একজনের কর্তৃত্বকেই গ্রহণ করি। এটাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়েছে। তদুপরি আমি মনে করি যতটা সম্ভব, ভাগ করতে পারলে জবাবদিহিটা ভালো হতো। এবং সেখানেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ ও পরিধি আরও বিস্তৃত ও বৃদ্ধি পেত। সংশ্লিষ্টরা নিজের নিজের অবস্থান থেকে অর্পিত কাজ সঠিকভাবে করতে পারতেন। যেখানে যখন কোনো ভুলত্রুটি হতো তখন তাকে কাউন্টার করা যেত। এটা করতে পারলে ভালো।
প্রথম আলো: বড় ভাইয়ের পরে ছোট ভাই হিসেবে আপনার অভিষেকের সমালোচনা করলে তার উত্তরে আপনি কী বলবেন?
জি এম কাদের: (হাসি) বড় ভাইয়ের জায়গায় ছোট ভাই হিসেবে আসছি, এটা যেমন সত্য, তেমনি আমি নিজে আমার উপযুক্ততা নিয়ে এসেছি, আমি মনে করি, এ কথাও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার দাবি রাখে। হঠাৎ আসিনি। ১৯৯৬ সালে যখন প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলাম, তখন আমার ভাই ক্ষমতায় নয়, জেলখানায় ছিলেন। তাই সেই সময়ে তাঁর স্নেহভাজন বা হাত ধরে এসেছি, সেটা বলা যাবে না। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালেও নির্বাচিত হয়েছি।
আজ বিএনপির মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সে জন্য তারেক রহমানের রাজনীতি অনেকাংশে দায়ী।
প্রথম আলো: বিএনপিকে সংসদে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন? তারা সংসদ, উপজেলা নির্বাচন সব বয়কটের কথা বলছে।
জি এম কাদের: এটা তাদের নিজস্ব বিষয়। তাদের একটা নিজস্ব রাজনীতি আছে, যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই করবে।
প্রথম আলো: খালেদা জিয়া অবিলম্বে জামিন পেলে খুশি হবেন?
জি এম কাদের: কেউ জামিন পেলে খুশি না হওয়ার তো কিছু নেই। এটা কোর্টের বিষয়। তবে যখনই কোনো রাজনীতিবিদ দুর্দশাগ্রস্ত হন, তিনি তা থেকে মুক্তি পেলে নিশ্চয় মানুষ হিসেবে আমরা খুশি হব।
প্রথম আলো: তারেক রহমানের নেতৃত্ব রাজনীতিতে কী প্রভাব রাখছে?
জি এম কাদের: আমার মনে হয় না এটা ইতিবাচক। তার রাজনীতির কারণেই বিএনপি জনগণ থেকে অনেকখানি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ বিএনপির মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সে জন্য তারেক রহমানের রাজনীতি অনেকাংশে দায়ী।
প্রথম আলো: তার মানে তারেক রহমান রাজনীতির বোঝা?
জি এম কাদের: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি কিছুটা হলেও বিএনপির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। মনে হয়, তিনি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবেন না।
এরশাদ সাহেবের সময় যে স্তরে দুর্নীতি ছিল, এখন যদি বেশি স্তরে দুর্নীতি হয় তাহলে বুঝতে হবে ওই সময়ে সুশাসন যতটা ছিল, তার থেকে এখন কমে গেছে।
প্রথম আলো: ঘুষ–দুর্নীতির জন্য এরশাদের আমলকে নিন্দিত এবং স্বৈরাচারী বলা হয়, সাম্প্রতিক অবস্থাকে কীভাবে দেখেন?
জি এম কাদের: দুর্নীতি যত বেশি, তত বুঝতে হবে সুশাসন কম। এরশাদ সাহেবের সময় যে স্তরে দুর্নীতি ছিল, এখন যদি বেশি স্তরে দুর্নীতি হয় তাহলে বুঝতে হবে ওই সময়ে সুশাসন যতটা ছিল, তার থেকে এখন কমে গেছে।
প্রথম আলো: যদি দিয়ে বলছেন, সুশাসনের মান কমা নিয়ে আপনার সন্দেহ আছে?
জি এম কাদের: না, সন্দেহ নেই। এখন এরশাদের আমল থেকে দুর্নীতি অনেক বেড়েছে বলেই মনে করি। সবাই এটা ধারণা করেন এবং বিশ্বাস করেন। তার মানে সুশাসন এবং আইনের শাসনের মান নিচে নেমেছে। আমরা ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়তে পারিনি। সুশাসন আনতেই আমরা গণতন্ত্র নিয়ে এসেছি। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, অামাদের এই গণতন্ত্র সুশাসন সামনে এগিয়ে নিতে পারেনি।
প্রথম আলো: কোন তিনটি বিষয়ে সংসদে সোচ্চার হবেন?
জি এম কাদের: প্রথমত দুর্নীতি রোধ করা, কারণ বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতির কারণে সব থেকে বেশি হয়রান হচ্ছে। দ্বিতীয়ত যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান, তাদের একটি কর্মমুখী সমাজ দিতে হবে। তৃতীয়ত, মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হলে সে বিষয়ে আমরা সরব থাকব।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
জি এম কাদের: ধন্যবাদ।
প্রথম আলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন