প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা এই উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। পরে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মার্কেটিং বিষয়ের সফল প্রফেসর হিসেবে পরিচিত প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান একাধিক বই লিখেছেন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন নামী জার্নালে তার ২৫টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসূচকের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কথা বলেছেন মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন অর্থসূচকের স্টাফ রিপোর্টার রাসেল মাহমুদ। ছবি তুলেছেন মহুবার রহমান।
অর্থসূচকঃ আমরা একটু গোড়া থেকে শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগে কী কী বিষয় পড়ানো হয়?
ড. মীজানুর রহমানঃ সারা দুনিয়াতেই মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। প্রায় ৮০ বছরের পুরনো একটি সাবজেক্ট মার্কেটিং। একাডেমিক ডিসিপ্লিন হিসেবে আমেরিকায় বা পাশ্চাত্য দেশগুলোতে ৫০ বছর এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩০ বছর ধরে মার্কেটিং পড়ানো হয়। মার্কেটিং যেহেতু ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই ব্যবসায় অনুষদেই বিষয়টি পড়ানো হয়।
পণ্য বিক্রি করার যে কৌশল বা বাজারজাতকরণ যেটা আমরা বলি এটাই মার্কেটিং। অর্থাৎ পণ্য সামগ্রী উৎপাদন, এটাকে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে পরে যে কাজগুলো রয়েছে তাই মার্কেটিং। কিন্তু এখন আর বিষয়টি ওই গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বলা হয়, মার্কেটিং এখন ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাও এখন মার্কেটিং। সেই অর্থে সরাসরি আমরা যাদেরকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলি, যারা পণ্য বেচা কেনা করে বা সেবা বেচা কেনা করে এর বাইরেও বহু প্রতিষ্ঠান এখন মার্কেটিংয়ের কৌশলগত দিক, প্রযুক্তি এবং দার্শনিক দিকগুলোকে ব্যবহার করছে। এক সময় মনে করা হতো সাবান, শ্যাম্পু, কোকাকোলা এগুলো উৎপাদন এবং বিক্রির সঙ্গে মার্কেটিং জড়িত। কিন্তু এখন তা বলা হয় না। ভাতৃত্ব, বন্ধুত্ব এবং সামাজিক মমস্যা, যেমন নারী নির্যাতন, পরিবেশ দূষণ শিশু কিশোরদের অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়া পরিবর্তন এ সবগুলোই এখন মার্কেটিংয়ের বিষয়।
ছোট একটা উদাহরণ দেওয়া যায়, সেনাবাহিনীও আজকাল বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। কারণ, তারা চায় মেধাবী ছেলেরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিক। এটাই আসলে মার্কেটিং। যেখানে মানুষ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে এবং প্রভাবিত করবে, উদ্বুদ্ধ করবে এবং প্ররোচিত করবে, তখন আমরা বলবো এটার সঙ্গে মার্কেটিং জড়িত। মার্কেটিং শুধু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, অব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সরকারী প্রতিষ্ঠান, পুলিশ বাহিনী থেকে আরম্ভ করে আমাদের সমাজের অসংখ্য সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যেমন, ইলেকশনের সময় রাজনৈতিক দল দলীয় প্রার্থীর জন্য ক্যাম্পেইন করে এটাও মার্কেটিং। মার্কেটিংয়ের চারটি উপকরণ আছে, এগুলো হলো, প্রোডাক্ট, প্রাইস, প্লেস এবং প্রমোশন। এখন মার্কেটিং তাই সবার জন্য।
অর্থসূচকঃ বর্তমান সময় ও কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে এই সাবজেক্টটি কতোটা সম্পর্কযুক্ত?
ড. মীজানুর রহমানঃ প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে খুব সহজে এখন প্রোডাকশনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। টেকনোলজি এত দ্রুত গতি সম্পন্ন যে খুব সহজেই উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু প্রোডাক্ট বিক্রি করা এত সহজ নয়। কারণ মানুষের মন পাওয়া এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ধরে রাখা কেবল উন্নত প্রযুক্তি অথবা যন্ত্রপাতি দিয়ে হয় না। এখানে একটা হিউম্যান রিসোর্স দরকার, দক্ষ জনশক্তি দরকার, যারা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করবে এবং মেইনটেইন করবে। আমরা তো প্রফিটের কথা বলি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই প্রফিট করতে হবে। অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানও প্রফিটের কথা চিন্তা করে। যদিও আমরা এগুলোকে ননপ্রফিটেবল অর্গানাইজেশন বলি তারপরও এদের একটি সামাজিক লক্ষ আছে, উদ্দেশ্য আছে। লাভই হোক বা উদ্দেশ্য অর্জনই হোক, যেটিই আমরা করতে চাই না কেনো এটার একটা সফলতা থাকা লাগবে এবং মানুষকে আকর্ষণ করার একটা ক্ষমতা থাকা চাই। আর সেটা কোনো যন্ত্র দিয়ে করা যায় না। তাই প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হয়েছে এবং প্রোডাকশনে শ্রমিক কম লাগলেও ডেলিভারি সার্ভিস বা মার্কেটিংয়ে লোক বেশি লাগছে। অর্থাৎ একদিকে প্রযুক্তিগত কারণে শ্রমশক্তি কম লাগছে কিন্তু এগুলো বিক্রির জন্য মার্কেটিংয়ে আরও লোক লাগছে। কোম্পানির হিসাব নিকাশ সফটওয়ার ব্যবহার করে করা গেলেও মানুষকে প্ররোচিত করে, উদ্বুদ্ধ করে প্রোডাক্টটা কেনার জন্য নিয়ে যাওয়া এবং শেষ পর্যন্ত তাকে স্থায়ী ক্রেতায় রুপান্তর করা এটা কোন মেশিনপত্র দিয়ে করা যায় না। যার কারণে দেখা যাচ্ছে হিউম্যান রিসোর্সের ডিমান্ডটা আরো বেড়েছে।
অর্থসূচকঃ শিল্প-বাণিজ্য তথা অর্থনীতির দিক থেকে মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতটা?
ড. মীজানুর রহমানঃ কোনো অর্থনীতি যত গ্রো করবে, সাইজ যত বড় হবে তখন ক্রমান্বয়ে একটা সার্ভিস সিস্টেমে পরিণত হবে। যেখানে প্রোডাকশনে কাজের লোকের পরিমাণ কমে যাবে আর সার্ভিস এবং অন্যান্য কাজগুলো যেমন, বিক্রি এবং ক্রেতা সন্তুষ্টির জন্য আফটার সেলস সার্ভিস দেওয়া, সাপোর্ট দেওয়া এই কাজগুলোর গুরুত্ব বেড়ে যাবে। যার কারণে যে অর্থনীতি যত উন্নতি হবে সেই অর্থনীতিতে মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব তত বেশি বেড়ে যাবে।
অর্থসূচকঃ মার্কেটিং পেশায় সফল হতে কি কি দরকার বলে মনে করেন?
ড. মীজানুর রহমানঃ আমি মনে করি মার্কেটিং পেশায় সফল হতে হলে মার্কেটিং পড়ার কোনো দরকার নাই (হাসি)। কারণ পৃথিবীতে যত লোক সফল মার্কেন্টারের উদাহরণ তারা কোনদিন মার্কেটিং পড়ে নাই। ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ, এমবিএ পড়ে নাই। বিলগেটস ভর্তি হয়েছিলেন এমবিএতে। পড়ে নাই। দুই সেমিস্টার পড়ে চলে গেছেন। এর চেয়ে বড় মার্কেন্টার তো আর দুনিয়াতে নাই। আমাদের আবুল হাশেম পার্টেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান, আমাদের মোস্তফা কামাল ভাই মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, তিনি ৪০টা কোম্পানির মালিক। মার্কেটিং পড়া তো দূরের কথা, ইউভার্সিটির কাছে দিয়েও আসে নাই। অতএব মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার জন্য বাজারকে বুঝতে পারা এবং মানুষকে বুঝতে পারার ক্ষমতা থাকতে হবে। কাস্টমাররা কি চায় এটা যদি কোনোভাবে অনুধাবন করতে পারা যায়, তাহলে মার্কেটিং করতে আর কোনো সমস্যা হবে না। কাস্টমারের প্রয়োজন বুঝে প্রোডাক্ট তৈরি করলে তখন আর বিক্রির সমস্যা হয় না্। তবে আগেকার দিনের যাদের উদাহরণ দিলাম আবুল হাশেম, মোস্তফা কামাল, নাসির সাহেব তাদের দিনটা আর এখনকার দিনটা এক নয়। বাস্তবতা হচ্ছে এখন অনেক ধরনের আইন কানুন, কমপ্লায়েন্সের বিষয়গুলো চলে এসেছে। এরপর প্রযুক্তির বিষয় চলে এসেছে। অনেক সায়েন্টিফিক গবেষণার বিষয়গুলো চলে এসেছে। এই ক্ষেত্রগুলোতে একাডেমিক জ্ঞানটা লাগে। আগে যারা কোম্পানি তৈরি করত তারা শুধু উদ্যোক্তা ছিলেন। আর যারা এমবিএ বিবিএ পাশ করে চাকরি করত তারা স্রেফ ফর্মুলা প্রয়োগ করত। কিন্তু এখন আর এটা কাজে আসছে না। তাদেরও উদ্যোক্তার মতো আচরণ করতে হবে। তাদেরকেএ রিক্স নিতে হবে এবং কাস্টমারকে বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে মিশতে হবে। সেই কাজগুলো অর্থাৎ ব্যাবসায় প্রসার বাড়ার কারণে, প্রতিযোগিতা বাড়ার কারণে যখন তীব্র প্রতিযোগিতার যুগ আসছে তখন আবার না পড়া লোকগুলো যারা সফল হয়েছে, তারা এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। উদ্যোক্তার বুদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ফর্মুলা পড়ানো হয় এই দুইটার যখন সম্মেলন ঘটে তখনই কোম্পানিটা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। অতএব এটার গুরুত্ব তো আছেই।
অর্থসূচকঃ আপনি প্রায়শ বলে থাকেন, মার্কেটিং এ সফল হতে হলে সমাধান না খুঁজে সমস্যা খোঁজা উচিত। এ বিষয়ে যদি একটু বিস্তারিত বলতেন।
ড. মীজানুর রহমানঃ আমাদের এখানে যেটা হয় প্রায় সময়ই সামাধানটার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। যেমন মশারী একটা সমাধান। এটা কোনো সমস্যা না। মশারী তো মশার কামড় থেকে পরিত্রাণের একটা উপায়। যখনই আমরা সমস্যাটাকে বিশ্লেষণ করবো, তখনই দেখবো বিদ্যমান যে পণ্যটা আছে তার চেয়ে আরও ভালো সমাধান হয়তো আমার মাথায় চলে আসতে পারে। মশারীকে যদি আরও উন্নতি করতে চাই তাহলে এক সময় মশারীর ভিতর বাতাস ঢুকাই বন্ধ হয়ে যাবে। মশা কিন্তু ঢুকবেই। কারণ মশারও বুদ্ধি আছে। আমি যেটা বলতে চাই, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য এখন অনেক কিছু বেরিয়েছে, গুডনাইট লিকুইড বেরিয়েছে, ভাইব্রেশন বেড়িয়েছে, এমন ভাইব্রেশন যে মানুষের কানে আসবে না কিন্তু এলাকা দিয়ে কোনো মশা থাকতে পারবে না। ইদুর মারা কলটা নিয়ে গবেষণা না করে ইদুরের উপদ্রব নিয়ে গবেষণা করলেই দেখা যাবে আরও নানা সমাধান বের হয়ে আসছে। যেমন, একটা ঘরের মধ্যে একটা বিড়াল পাললেই তো হয়।
এই জন্য প্রত্যেকটা প্রোডাক্টকে বলা হয় সলিউশন। তাই প্রবলেমটাকে যতো বেশি গবেষণা করা হবে অল্টারনেটিভ সমাধান বের হয়ে আসবে।
অর্থসূচকঃ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে মার্কেটিং এর এমন কোনো তত্ত্ব এসেছে কী যা বেশ সাড়া জাগিয়েছে?
ড. মীজানুর রহমানঃ একটা সময় প্রডাক্ট, প্রাইস, প্লেস, প্রমশন এই ৪টা মৌলিক উপাদান নিয়ে মার্কেটিং কাজ করতো। একটা যুতসই প্রোডাক্ট বের করতে হবে, এমন মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, যা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সহজে মানুষ পায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রচার প্রচারণা করতে হবে। এই ৪পি যেটা ছিলো, সেটা পরবর্তী পর্যায়ে কটলার এবং তার সহযোগীরা এসে বললেন, এটা তো কোম্পানি দিক থেকে বলা হয়েছে, কাস্টমারের দিক থেকে চিন্তা করলে তখন হয় ফোর সি। এটা হলো কাস্টমার সলিউশন, কস্ট, কনভিনিয়েন আর কমিউনিকেশন। কিন্তু এখন অ্যাডভান্স লেবেলের চিন্তা করা হচ্ছে। জগদিশ শেট এবং তার সহযোগীরা বলছেন, এর চেয়ে আরও ভালো হয়, ফোর সি না বলে ফোর এ বলা। ফোর এ হলো-এক্সেপটিবিলিটি, মূল্য আমরা যেটাকে বলি সেটা হতে হবে এফরটেবল। অর্থাৎ এটা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। এক্সেসিবিলিটি অর্থাৎ মানুষ যেন সহজেই এটার কাছে পৌঁছাতে পারে। ডেলিভারি থেকে আরম্ভ করে পেমেন্ট পর্যন্ত সুবিধা থাকতে হবে। আগামী ১০ বছর পরে মানুষ দোকানে যাবে না। সবাই অনলাইন নির্ভর হয়ে যাবে।
অর্থসূচকঃ সম্প্রতি এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমন অবস্থা একটু যদি বলতেন, একজন ছাত্র মার্কেটিং কেন পড়বেন, এই সাবজেক্টের সম্ভাবনা কতটুকু?
ড. মীজানুর রহমানঃ শুরুতেই আমরা বলি সবাইকে মার্কেটিং পড়ার দরকার নাই (হাসি)। তবে ব্যবসায় অনুষদের যে কোন সাবজেক্টে পড়তে চাইলে অবশ্যই মার্কেটিং লাগবে। কারণ মার্কেটিংয়ের কাজ হলো কাস্টমার ধরা, প্রোডাকশনের কাজ হলো প্রোডাক্টগুলো মেইনটেইন করা, হিউম্যান রিসোর্সের কাজ হলো দক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়া, ট্রেইনিং দেওয়া, মোটিভেট করা, প্রমোশন করা, রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের কাজ হলো নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনার জন্য কাজ করা, ফাইন্যান্সের কাজ হলো হিসাব মেইনটেইন করা। এগুলো হলো কোম্পানির ডিপার্টমেন্টাল কাজ। কিন্তু পুরো কোম্পানির কাজ কি? কোম্পানির কাজ হলো, সবাই মিলে কাস্টমার ধরবে এবং ধরে রাখবে। এটা একা মার্কেটিং বিভাগের কাজ না। আমি যত মার্কেটিং ম্যানেজার নিয়োগ দিই, যদি আমার প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট পঁচা জিনিস তৈরি করে, তাহলে উনি বিক্রি করতে পারবে? হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার যদি অদক্ষ লোক নিয়োগ দেয়, তাহলে প্রোডাকশন ম্যানেজার কি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবে? তাই এইচআরএম ম্যানেজার, মার্কেটিং ম্যানেজার, ফাইন্যান্স ম্যানেজার সবারই মার্কেটিংয়ের জ্ঞান থাকতে হবে। সবাইকে মার্কেটিং পড়তে হবে এটা বলছি না। তবে বিজনেস অনুষদে যারা পড়বে তাদের মার্কেটিংয়ের ন্যূনতম জ্ঞান থাকতে হবে।
অর্থসূচকঃ আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন