মাহমুদুর রহমান মান্না। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি। ২২ মাস কারাগারে কাটানোর পর সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পান। চলমান রাজনীতি নিয়ে নিজের ভাবনার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিচ্ছেদের পটভূমি ব্যাখ্যা করেছেন দলটির একদা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী এই নেতা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান
প্রথম আলো : আপনারা তৃতীয় ধারার কথা বলে মাঠে নেমেছেন। তৃতীয় ধারা এখন কোন ধারায় আছে?
মাহমুদুর রহমান মান্না : আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি ধারায় প্রতিনিধিত্ব করে। দীর্ঘদিন তারা দেশ শাসন করলেও সত্যিকার জনকল্যাণমুখী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। জনজীবন আরও নিরাপত্তাহীন। এ অবস্থায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় নতুন রাজনৈতিক ধারা বা শক্তির আবির্ভাব জরুরি হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষও মনে করে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দিয়ে কিছু হবে না। সমমনা দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। অচিরেই এটি শক্তিতে রূপ নেবে বলে আশা করি।
প্রথম আলো : কিন্তু জনগণের মধ্যে কোনো আশা কি আপনারা জাগাতে পেরেছেন?
মাহমুদুর রহমান মান্না : সঠিকভাবে বললে, না। কিন্তু যাঁরা এ রকমই ভাবেন, তাঁদের মধ্যে চিন্তা ও ভাবের আদান-প্রদান হচ্ছে। কথাবার্তা চলছে। কিন্তু এখনো সাংগঠনিক রূপ হয়তো পায়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে একসঙ্গে কর্মসূচিও নিচ্ছে।
প্রথম আলো : রাজনীতি সম্পর্কেই তো মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা বা অনাস্থা তৈরি হয়েছে?
মাহমুদুর রহমান মান্না : অনাস্থা বলব না; তবে হতাশা আছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আদর্শের কথা যদি বলেন, সেটি অনেকটা পদদলিত হয়েছে। এখন ব্যক্তির ইচ্ছা, দলের ইচ্ছা এবং গ্রুপের দ্বন্দ্বই সামনে এসেছে। মানুষ অসহায় বোধ করছে। এ ক্ষেত্রে যাঁরা বিরোধী দলে আছেন, তাঁরাও ভূমিকা রাখতে পারছেন না। তবে এই হতাশাই চূড়ান্ত কথা নয়। আইয়ুব খান যখন উন্নয়ন দশক পালন করেন, তখনো অনেকে বলেছিলেন, কেউ সরাতে পারবে না। এরশাদ নয় বছর দেশ শাসন করেছেন। নব্বইয়ের ৪ ডিসেম্বরও ক্ষমতায় থাকার নানা ফর্মুলা দিয়েছেন। ৬ ডিসেম্বরই তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
প্রথম আলো : এখন সে রকম কোনো পরিস্থিতি দেখছেন কি?
মাহমুদুর রহমান মান্না : আমি মনে করি, পরিস্থিতিটা খারাপ। সময়টা ধোঁয়াশা, কুয়াশা ও অন্ধকারের মতো লাগছে।
প্রথম আলো : কিন্তু সেই অন্ধকারে আলো জ্বালাবে কে?
মাহমুদুর রহমান মান্না : একটি স্ফুলিঙ্গ দাবানল তৈরি করতে পারে। সরকার নিজেকে যতই শক্তিশালী মনে করুক না কেন, জনগণের সমস্যার তো সমাধান করতে পারছে না। এই যে পরিবহন খাতে কয়েক দিন ধরে নৈরাজ্য চলল, তাতে তো সরকারকে অসহায় মনে হয়েছে। তারা নতিস্বীকার করেছে। অথবা কয়েক বছর আগে বিক্রমপুরে যে বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল, গণ-আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত তাদের পিছু হটতে হয়েছে।
প্রথম আলো : আপনি আট বছর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তখনকার আওয়ামী লীগ আর এখনকার আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য আছে কি?
মাহমুদুর রহমান মান্না : তখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মধ্যে একধরনের গণতন্ত্রের বাতাস ছিল। কথাবার্তা বলা যেত। সভা হতো এবং সেখানে সিদ্ধান্ত হতো। সংসদেও একধরনের গণতন্ত্রের চর্চা হতো। এখন সবকিছু সংকুচিত। ধরুন, রামপালের ঘটনা বা ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারকের মতো ঘটনা নিয়ে কোথাও আলোচনা হচ্ছে না। দলে বা সংসদীয় দলেও না। নেতা দল চালাবেন। কিন্তু অন্যদের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ তো থাকতে হবে। সেটা নেই।
প্রথম আলো : ২০১৯ সালের নির্বাচন নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। দুই প্রধান দল পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না : বিএনপির কাছে ক্ষমতাটাই মুখ্য। আমাদের কাছে গণতন্ত্র মুখ্য। এই নির্বাচনে আমরা গণতন্ত্রের প্রত্যাশাকে সামনে আনব, ব্যাখ্যা করব। গণতন্ত্র হলো মানুষের মৌলিক ও বাক্-ব্যক্তির স্বাধীনতা। এ কারণেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বলয়ের বাইরে থাকা বাম গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে আমরা লড়ার চেষ্টা করব। তবে নির্বাচনের আগে খেলার মাঠ সবার জন্য সমতল করতে হবে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে, তারা নির্বাচনের অংশীদার হবে না কোনোভাবেই।
প্রথম আলো : কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা বলছেন, তাঁদের অধীনেই নির্বাচন হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না : হ্যাঁ, তাঁরা বলছেন। বিরোধী দল আন্দোলন করে দাবি আদায় করতে না পারলে হয়তো তা-ই হবে। সেই অবস্থায় বিএনপি নির্বাচন করবে না, তা কিন্তু বলছে না। অর্থাৎ, তারা নির্বাচন করবে আর বিএনপি নির্বাচন করলে আমাদেরও করতে হবে। আমরা আমাদের মতো করে গণতান্ত্রিক ও কল্যাণধর্মী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি দেব।
প্রথম আলো : আপনারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনে যাবেন। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্রমাগত খর্ব হওয়ার পরও তো প্রতিবাদ নেই।
মাহমুদুর রহমান মান্না : প্রতিবাদ নেই, তা পুরোপুরি মানছি না। যদি রাস্তায় আন্দোলন বলেন, সেটি হয়তো অনুপস্থিত। কিন্তু সমাজে প্রতিবাদ আছে। সামাজিক গণমাধ্যমে দেখুন, কীভাবে প্রতিটি ঘটনার প্রতিবাদ হচ্ছে।
প্রথম আলো : আপনি কি মনে করেন, এখন যা ভাবেন, তা লিখতে বা বলতে পারছেন?
মাহমুদুর রহমান মান্না : আমাকে তো এখন কেউ লিখতে বলছেন না। জেলে যাওয়ার আগে প্রথম আলোসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় আমি লিখতাম। এখন ভয়ের সংস্কৃতি চলছে। এই ভয় জয় করতে হবে।
প্রথম আলো : কিন্তু সরকার তো বলছে দেশে গণতন্ত্র আছে, উন্নয়নও হচ্ছে। আন্দোলনের কী প্রয়োজন?
মাহমুদুর রহমান মান্না : গণতন্ত্র চলছে না। আমি মনে করি, উন্নয়নও হচ্ছে না। তাঁরা শুধু পরিসংখ্যান দিচ্ছেন, এতগুলো সড়ক বানালাম, এত জিডিপি বেড়েছে। কিন্তু ফলাফল কী। আর যে অর্জনের কথা বলা হচ্ছে, তা তো ২০ বছর ধরেই চলে আসছে। এটি ধারাবাহিকতা। গণতন্ত্র মানুষের বাঁচার মৌলিক উপাদান—এটি অস্বীকার করলে চলবে না।
প্রথম আলো : আপনার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তাতে অভিযোগ আছে, আপনি সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছিলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না : সরকার উৎখাতের চেষ্টা বা এ ধরনের কোনো কাজ আমি করিনি। বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে আমার কথোপকথনের যে সিডি প্রকাশিত হয়েছে, তা তো আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওই কথোপকথনে লাশ শব্দটি নেই। অথচ প্রচার করা হয়েছে, আমি লাশ ফেলে দেওয়ার কথা বলেছি।
প্রথম আলো : এটি কি আপনাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ছিল?
মাহমুদুর রহমান মান্না : ফাঁদে তো ফেলেছে। ওই সিডি ধরেই তো মামলা হয়েছে। যিনি বা যাঁরা কথা বলেছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে ফাঁদ পাতা হয়েছে, সেটি আমার মনে হয়নি। আমার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে উসকানি দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই মামলায় আমি যঁার সঙ্গে কথা বলেছি বলে সরকার দাবি করছে, তাঁকে আমার আগে জামিন দেওয়া হয়েছে। টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ অসত্য। কারাগারে তিনি আমাকে বলেছেন, ওই কণ্ঠ তাঁর নয়।
প্রথম আলো : যে প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি আপনাকে উসকানি দিয়েছেন কি না?
মাহমুদুর রহমান মান্না : আমি তাঁকে চিনি না। ওই কথোপকথনেও আমি কিছু বলিনি। তিনিই বলেছেন। আমি এখনো বলি, যেহেতু আমি রাজনীতি করি, যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে পারি, তিনি যদি আমার উদ্দেশ্য ও আদর্শ জানতে চান। এটি তো রাজনীতির অংশ। আমি কি বলব আপনি যেহেতু সেনাবাহিনীতে, পুলিশে আছেন, আপনার সঙ্গে কথা বলব না। এখন তো দেখছি অনেক পুলিশ কর্মকর্তা রাজনীতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন। আমি কোনো সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলিনি।
প্রথম আলো : আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপনার বিচ্ছেদ ঘটল কেন?
মাহমুদুর রহমান মান্না : আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দল। দুই দলের দুই নেত্রীর কথার বাইরে গাছের পাতাও নড়ে না। আমি যা বলেছি, কমিটিতেই বলেছি, সেটি যদি পছন্দ না হয়, আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। পরবর্তী সম্মেলনে পদ দেওয়া হয়নি।
প্রথম আলো : তার কারণ কী? ১/১১-পরবর্তী সরকারের সময়ে আপনার ভূমিকা?
মাহমুদুর রহমান মান্না : ১/১১-পরবর্তী সরকারের সঙ্গে আমি সহযোগিতা করিনি। কেউ রেকর্ড দেখাতে পারবে না। বরং আমি যে বিরোধিতা করেছি, তার রেকর্ড আছে। আমি তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদকে বলেছি, নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগ বা বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির একটি সভা হয়েছিল শেরাটনে, সংস্কার নিয়ে। সেখানে আমি বলেছি, সংস্কার তো হবে না। দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করার পর জনগণের সহানুভূতি তাঁদের পক্ষে চলে গেছে। আমি বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে দলের সভানেত্রী পদে রেখেই সংস্কার করতে হবে।
প্রথম আলো : দলের ভেতর থেকে আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে মনে করেন?
মাহমুদুর রহমান মান্না : আমার মনে হয় না। আমি যাঁর ওপর ভরসা করে আওয়ামী লীগে নেতা হয়েছিলাম, তিনি হয়তো মনে করেছেন, আমি তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমি আমার মতো চলছিলাম। কিন্তু ষড়যন্ত্র পরে হয়েছে। নেত্রীকে বোঝানো হয়েছে, আমি রাষ্ট্রদ্রোহ করেছি, সেটি হয়তো তিনি বিশ্বাস করছেন। আবার সেই মামলায় ছাড়াও পেলাম। ছাড়া পাওয়ার পর দলের সাধারণ সম্পাদক হাসপাতালে এসে আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাতে কী মনোভাব প্রকাশ পায়? আমি তখন বলেছিলাম, দুই নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। না হলে সংস্কার হবে না। আমি শাস্তি পাচ্ছি কিন্তু যাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাঁরা মন্ত্রী হয়েছেন। আমি তাঁদের পক্ষে কথা বলিনি। বিরোধিতা করেছি। সে কথা আমি প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি। ওই সেমিনারের বক্তৃতা শুনে জিল্লুর রহমান সাহেব বলেছিলেন, ‘তুমি খুব সাহসের পরিচয় দিয়েছ।’
প্রথম আলো : আপনি আওয়ামী লীগে থাকতে পারেননি, এ নিয়ে অনুশোচনা আছে কি?
মাহমুদুর রহমান মান্না : আমি আওয়ামী লীগে ঢুকেছিলাম সংশয় নিয়ে। মনে করেছিলাম, এই সংশয় দূর করেই দলের জন্য কাজ করতে পারব। সেটি হয়নি। আমি হতাশ হলাম। কিন্তু দল ছাড়তে চাইনি। ভেবেছিলাম, বড় দলে থেকে জনগণের সেবা করা যাবে। কিন্তু ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যা হয়েছে, তারপর আর ওই দলের প্রতি আস্থা রাখতে পারলাম না। আজ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ নেই বলেই যে তারা যা খুশি করবে, সেটি হতে পারে না। সরকারকে গণতন্ত্রের জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। না হলে তারাই বিপদে পড়বে। জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে। সরকারকে একটি অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, যদি দেশকে ঠিক পথে রাখতে চায়। বিএনপির অনেক দোষ আছে, কিন্তু গত সাত-আট বছর যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, তার দায় তো বিএনপির ওপর দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্র তো নিছক ভোটের খেলা নয়, এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। জেলে দেখেছি, মানুষ ২০ থেকে ২৫ বছর বিনা বিচারে আছেন। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সেটি হবে কেন? এ নিয়ে বিএনপি কথা বলছে না। বিএনপি ক্ষমতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা ছাড়া কিছু করছে না। এই যে সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোর কথা বলেছে সরকার, তাতে নাকি মুসল্লিদের অসুবিধা হয়। এ কথা কীভাবে বলতে পারেন।
প্রথম আলো : হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপসরফাকে কীভাবে দেখছেন?
মাহমুদুর রহমান মান্না : এই কৌশল কোনো কাজে আসবে না। হেফাজতের ভোট আওয়ামী লীগ পাবে না। বরং প্রগতিশীল চিন্তার যেসব মানুষ আওয়ামী লীগকে সেক্যুলার দল হিসেবে সমর্থন করেছিলেন, তাঁদের আস্থা হারাবে। অনেকে ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েও বলেছেন, তাঁরা এর মধ্যে নেই। কোনো ধর্মকে রাষ্ট্রের ওপর বসিয়ে দেওয়া যাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সব নাগরিকের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মূলনীতিও তা-ই।
প্রথম আলো : আপনাকে ধন্যবাদ।
মাহমুদুর রহমান মান্না : আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথআলো
পাঠক মন্তব্য
বি এন পিকে সম্পূর্ন পাকিস্তানপন্থী ও বাংলাদেশের জন্য সর্বদাই ধংসকারী ও গুপ্তঘাতক বলে নির্নয় করি। এরা সর্বদাই ধংস কার্যে লিপ্ত থাকবে। এরা দেশের মানুষের জন্য মহা বিপদ। আওয়ামীলীগে জনাব তোফায়েল আহম্মদের বয়সের ভারে কার্যক্ষমতা কমে গেলে আমাদের নেত্রী হাসিনা ভার সামলাতে পারবেন বলে সন্দেহ আছে। বংগবন্ধুর পরে কোন শক্তিবান ব্যাক্তি যদি থেকে থাকেন তিনি একমাত্র তোফায়েল আহম্মদ। নতুন প্রজন্মদের ১৯৭১ এর চেতনা থেকে দূরে রাখা বাংলাদেশের জন্য মহা বিপদজনক ও পাকিস্তানের ধংসকার্য পরিচালনা করার মহা সুযোগ। পাকিস্তানপন্থীরা বুদ্ধিজীবিদের হত্যাযজ্ঞ্য অত্যান্ত গোপনে পরিচালনা করবে, এদের রূখবার শক্তি আওয়ামীলীগের নাই ও কোনদিন হবেও না। আমি যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করেছি, চার নেতা ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহম্মদ ও জনাব সিরাজুল আলম খানের নির্বাচনের মাধ্যমে ভারত থেকে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাইনিং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত যুদ্ধকাজ করার সুযোগ পাই, ১৯৭১ ১৯৭২ ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ এর পরও পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে কাজ করি, স্বচক্ষে দেখি যাহা স্বৃতিতে আজও বিদ্যমান। যে স্বৃতি কাহারও সাথে মিলাতেও পারি না। যাহা জানতেন জনাব কাজী আরীফ আহম্মেদ, যাহার চেয়েও অনেক বেশীই জানেন জনাব তোফায়েল আহমেদ। আপাতত সমাপ্ত।
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন